অনেক আগের কথা। মুসাহি প্রদেশের এক গ্রামে মোসাকু আর মিনোকিচি নামে দুই কাঠুরে বাস করত। যে সময়ের কথা বলছি সে সময় মোসাকু বুড়িয়ে গিয়েছিল, আর তার শিষ্য মিনোকিচি ছিল আঠারো বছরের এক ছেলে। প্রতিদিন তারা গ্রাম থেকে পাঁচ মাইল দূরের বনটায় কাঠ কাটতে যেত। যাবার পথে বড় একটা নদী পড়ত যার সাথে ছিল ফেরী পারাপারের নৌকা। অনেকবার ফেরীর জায়গাটায় ব্রীজ বানানো হলেও বন্যার টানে ভেঙ্গে পড়ত ওগুলো। নদীর ও জায়গাটা এতোই খরস্রোতা ছিল যে কোন সাধারণ সাঁকোও টিকত না।
সূচি-অশুচি - s-s
আমার এমন হয় ।
দীর্ঘ প্রস্তুতির বিনিময়ে কোন কোন কাজ শেষ করতে গিয়ে, শেষ মুহুর্তে আমাকে আঁকড়ে ধরে অবসন্নতা । মনে হয়, থাক । বরং বাদ দেই, বরং ফিরে যাই…
প্রথম যেদিন রিমি’র জামার বোতাম খুলেছিলাম-আমার দীর্ঘ প্রস্তুতি ছিল সেটা,মনে আছে । কারো কারো এইসব সহজে হয়ে যায় । আমার হয়না । বেশ তো ক’দিন হয়ে গেল । এখনো মনে আছে, রিমি’র জামায় পাঁচটা বোতাম ছিলো । ও চ...
হুঁক্কুঁ
জুলফিকার কবিরাজ
মণ্ডল বাড়ির বংশ রক্ষার মত উপায় নাই। এই চিন্তায় মণ্ডল বাড়ির সবচেয়ে বর্ষীয়ান মরুব্বি টেনু মণ্ডল ৮০ বছরের কিনরায় বসে লাঠিতে ভর দিয়ে দুই হাটুর মাঝে মাথা গুঁজে ঝিম মেরে আছে। মাঝে মাঝে চোখ তুলে দূরে তাকাচ্ছে কিন্তু চৈত্রের রোদ ঝলমল দুপুরেও চোখে তার কুয়াশার মেলা। দুই হাতে চোখ রগড়ে আবার তাকায়; কিন্ত বংশ রক্ষার চিন্তায় চিন্তায় চোখে তার ঘোলার পরত বারতে থা...
আমাদের সামনের রাস্তায় প্রথম যেদিন বাস চলল সেদিন আমরা ভাবলাম পৃথিবীটা আক্ষরিক অর্থেই ছোট হয়ে আসছে, খুশী হলাম, এবং মাত্র আধমাইল দুরবর্তী আদমপুর বাজারে যাবার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বুঝলাম প্রখর রৌদ্রে বসে থাকার মধ্যেও আনন্দ আছে। তাছাড়া বাসগুলোতে নতুন নতুন হিন্দী গান বাজছিল বলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভব করলাম মনে, প্রকৃতপক্ষে বাসের চারটি চাকা মানুষকে যার যার গন্তব্যে নেয়া ছাড়াও আর কি কি করতে সক্ষ
[justify]ব এর সাথে ন এর খুব দোস্তি ছিলো। প্রায়ই তারা একসাথে ঘোরাঘুরি করতো। ভবনে, পবনে, বনে, জীবনে, যৌবনে।
ড় এর সাথেও ন এর সম্পর্ক ভালো ছিলো। তাই তার সাথেও সে ঘোরাঘুরি করতো, প্রায়ই। তাড়না, বুঝলেন, তাড়না।
একদিন ন এর সাথে দেখা হলো ব-এ শূন্য র এর। ন একগাল আহ্লাদি হাসি নিয়ে র এর পাশে গিয়ে বসলো।
র চোখ লাল করে কিছুক্ষণ আগাপাস্তলা ন কে খুঁটিয়ে দেখে, বললো, "তর মাথায় টুপি ক্যা?"
ন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ব...
১।
রাস্তাটা পাশাপাশি এক মানুষ লম্বা হলেও দৈর্ঘ্যে বেশ বড়ই হবে। ভাঙ্গা চাঁদের আলোয় যতটুকু দেখা যায় তাতে তাই মনে হল পরিতোষের দেখে।
‘ধ্যাত শালা! আবারও হারিয়েছি!’
ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসেছিল ও কদিন বেড়াবার জন্য। এমনিতেই করে এক বিরক্তিকর চাকরী, আর এ কবছরের খাটুনিতে অস্থির হয়েই ও ঠিক করেছিল যে নাহ, গ্রামের দিকে এবার একটা ঢু মারতেই হবে, অনেকদিন যাওয়া হয় না। তিনদিন কাটিয়ে আজকে রাতের গা...
“কি গো আমাদের মেয়ের নাম কি ঠিক করলে?” সাথীর আচমকা প্রশ্নে সম্বিত ফেরে আবীরের। আবারও সাথীর খোঁচা “কি গো মেয়ের বাপ হয়েছো বলে কি এখন থেকেই দুশ্চিন্তা শুরু করে দেবে”!
মুচকি হাসি ফেরত দিতে দিতে নার্সিং হোমের বেডে সদ্য মা হওয়া সাথীর মাথায় হাত বুলাতে থাকে আবীর
এক-একটা দিন আসে যখন মনে হয় যা হচ্ছে যা ঘটে চলেছে সবই যেনো ভালো হচ্ছে, বোধহয় এর থেকে ভালো আর কিছু হ...
গলির মুখে পা রাখতেই দপ করে সব বাতি নিভে গেলো। রাত নটার মতন বাজে। আর শহরের এই অংশটায় রাত নটা মানেই যেন লোডশেডিং। হঠাৎ করে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রাশেদ একটু থামে। পিডিবির পাশাপাশি প্রকৃতিও এই মুহুর্তে আলোর কোন ব্যবস্থা রাখেনি।
গলির একটু সামনেই পাড়ার ক্লাবঘর। ওখান থেকে হৈ হুল্লোড়ের শব্দ শোনা যায়। ক্লাবঘরে প্রতি সন্ধ্যাবেলাতেই সিনেমার আসর বসে- কিংবা নাটক হয়। সিনেমা কিংবা নাটকে ব্...
„শালারা সব অকৃতজ্ঞের দল!“ বললো সৈন্যটি। থু করে একদলা থুতু ফেললো সীমাহীন ঘৃণায়। বালিময় উত্তপ্ত মাটিতে সে থুতুর দলা মুহৃর্তের মাঝেই মিলিয়ে গেলো। সাদা একটি বৃত্তাকার দাগ কুশ্রী এক চিহ্ন রেখে পড়ে রইলো কিছুক্ষণের জন্যে।
„ব্যাটাদের জন্যে এই মরুভুমির দেশে জান বাজী রেখে লড়তে এলাম আমরা, অথচ এরাই আমাদেরকে ঘৃনা করে! বিকট চেহারা একেকটার! মুখভর্তি দাড়ি, ময়লা পোষাক আসাক, দেখলেই ডাকাতের ম...