যেহেতু অতিরিক্ত কিছু উপার্জন, বউয়ের গঞ্জনা (কারণ বউ মনে করে মাটি কাটার চাইতে রিকশা চালানোতে সম্মান বেশি) থেকে মুক্তি এবং এদিক-ওদিক বেড়ানোর খায়েশ নিয়ে আমাদের মনু মিয়া ঢাকা শহরে রিকশা চালাচ্ছে...
এই রিকশা চালাতে চালাতেই একদিন মনু মিয়া টের পেলো রাত ১১টার পর থেকে রিকশা চালানো টাকা-চোখ কিংবা জিহ্বার লালারস নিঃসরণের দিক দিয়ে বেশি লাভজনক কারণ তখন পুরুষ মানুষের চেয়ে বিশেষ বিশেষ মেয়ে ম...
মায়ের বুকের কাছে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে তৃণার। কেমন একটা নরম ওমের গল্প সেখানে! সে কল্পনায় অনুভব করার চেষ্টা করে কেমন হবে সেই দেশ! কিন্তু মাকে বলতে পারে না, কেমন সঙ্কোচ হয়। মা আবার তাড়িয়ে দেয় যদি? যদি বলে যা যা, চলে যা?
মা নিতো না তৃণাকে। তৃণা ওর ঠাকুমার সঙ্গে সঙ্গে থাকতো সবসময়, ঘুমাতো ও ঠাকুমার সঙ্গে। মায়ের সঙ্গে ঘুমাতো ছোট্টো ভাইটা। একেকদিন মায়ের সঙ্গে ঘুমাতে চাইলে মা ঠ...
[ মাঝে মাঝেই কিছু গল্প উপন্যাস পড়ে আমার খুব ইচ্ছে করে এর পরে কি হল কিংবা এই একই ঘটনা যদি অন্য কারো মুখ থেকে আসত তাহলে কি হত। যেমন পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে কুবের আর কপিলা কোথায় গেল কিংবা সাতকাহনে দীপাবলি কি একাই কাটিয়ে দিল বাকি জীবন। আমার সাথে যদি লেখকদের চেনা জানা থাকত তাহলে আমি খুব অনুরোধ করতাম তাদের এই থিম নিয়ে লেখার জন্য। অনেকদিন ধরে মনে হচ্ছে নিমাই এর মেমসাহেব উপন্যাস (আমার খুব...
শেষ হোটেল
“আরো জোরে!” টমি রিভিয়েরা বলে উঠলো। “আরো জোরে!”
“৮৫ তে আছি” কেলসো ব্ল্যাক বললো।
“পুলিশ আমাদের ঠিক পিছনে,” রিভিয়েরা বললো, “৯০ এ তোল।“ জানলা দিয়ে বাইরে তাকালো। পলায়নরত গাড়ীটার পিছনে একটা পুলিশের গাড়ী। সাইরেনের বিলাপধবনি আর লাল আলোর ঝলকানি দিয়ে যাচ্ছে।
“সামনের সাইড রোড দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি, “ ঘোঁতঘোঁত করলো ব্ল্যাক। গাড়ীর চাকা ঘুরিয়ে কাঁকর বিছানো আঁকাবাকা পথটাতে মোড় ন...
“দেখা হয় তবু, এমনই কপাল!
মনের আড়াল যায় না।
দু’জনার মাঝে কাচের দেয়াল-
ব্যবধান এক আয়না!”
বেশ ছোট্টটি থাকতে, মনের চোখ-কান ঠিকমতো ফুটে ওঠার আগেই এই গীতিকাব্যের দেখা পেয়েছিল রাজন, একটা টিভি নাটকে। মানে না বুঝলেও, মনে থেকে গিয়েছিল সেই শব্দ-দৃশ্য আর সময়ের ঘ্রাণ, এক বিরল গভীর ভালোলাগার আবেশসমেত। তবে, এই দেখাটা যে কেন হ’তেই হয়- রাজন তা জানে না! জানেনি আজ পর্যন্ত, তিরিশ বছরের বুড়ো ধূসর চোখে যে...
পালাতে আমাকে হবেই
“এখানে কি করছি আমি?” হঠাৎ করেই অবাক হয় ভাবলাম। প্রচন্ড ভয় পাচ্ছিলাম। কিচ্ছু মনে করতে পারছিলাম না। একটা এটমিক ফ্যাক্টরির আসেম্বলি লাইনে কাজ করছি আমি। শুধু জানি আমার নাম ডেনি ফিলিপ্স। মনে হচ্ছিল এইমাত্র ঘুম থেকে জেগে উঠলাম। জায়গাটা পাহারাদার দিয়ে ঘেরা, প্রত্যেকেই সশস্ত্র। হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে কেউই ছেড়ে কথা বলবে না। আরো কারা জানি কাজ করছে, দেখে মনে হয় যেন জিন...
আগের পর্ব : শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় - বন্ধুত্বের দিনগুলো : পর্ব ১
আমরা তখন “সঙ্গম” নিয়ে মেতে উঠলাম।প্রথম সংখ্যা বের করতে হবে। লেখা জোগাড় হচ্ছে। লেখা আসছে। আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছি। দীনভাই কবিতা দিলেন। শেখভাই গল্প। পলাশ, ঋতো, জাহিদ, সুমন লিখলো। পলাশের একটা বড়োকবিতার খন্ডাংশ চারপাতাজুড়ে সেখানে গিয়েছিলো। পুরোকবিতাটা পরে তার বইয়ে এসেছিলো। সাদিক একটা প্রবন্ধ দিয়েছিলো। খুবই বাজে টাইপ...
ইশ! জীবনটা যদি ফাহিম ভাইয়ের মতো হতো!
পাঠক ফাহিম ভাই কে, তার পরিচয় দেয়ার আগে আমার আফসোসের কথাটাই একবার বিস্তারিত বলতে চাই। কারণ এই না হতে পারার আফসোসটা আমাকে মাঝে মধ্যেই তাড়িয়ে বেড়ায়। এই যেমন আজকেও উথলে উঠলো আবার।
নাটকের কোর্সে ভর্তি হয়েছি অঁলিয়সে। নারায়ণ স্যারের ক্লাস করছিলাম। নাটকের ব্যাকরণ শিখাতে গিয়ে স্যার আমাদের ক্রিয়েটিভ রাইটিং শিখাচ্ছেন। সেদিন ক্লাসে স্যার বলছিলেন, ...
নাই কাজ তো খই ভাজ । আমারো কিছু করার নেই তাই বসে থাকি, শুয়ে থাকি আর চিন্তা করি । যত সব হাবিজাবি চিন্তা , কোন মানে নেই এমন সব চিন্তার । যত রাত বাড়ে তত চিন্তা বাড়ে । রাতের চিন্তা গুলা আসলে বিপদজনক । নিজের কাছেই নিজের ধরা পড়ে যাওয়ার চান্স থাকে । দিনে সবার সামনে যা লুকিয়ে রাখি তাই যেন রাতে আড়াল ছেড়ে বের হয়ে আসে যেন বলতে চায় আসলে তুমি এরকম । মাথার ভিতর কে যেন বলে উঠে যতই চেষ্টা কর তুমি পারবে না ...
মেঘগুলো একটু আগে গোলাপী ছিলো,এখন সোনালী কমলা। ওই দূরে নীল জলরেখার থেকে লাফ দিয়ে ওঠে ঝকমকে সূর্য। ফেনামাখা ঢেউগুলো আসছে আর আসছে,ভেঙে পড়ছে পায়ের কাছে। দুধসাদা ফেনার রঙ লালচেসোনালী লাগে। আকাশটা পালিশ করা নীলাপাথরের মতন নীল!
আজকে কি ঝকমকে দিন! বেশ গরম হবে দুপুরটা। আমার চিকনবেলার দেশে এমন দিন আসতো শুধু শরতের সকালে, কাশফুল দোলা ভরা মাঠের উপর দিয়ে ভেসে আসতো ঢাকের বোল-ঢ্যাম কুড়কুড় বা...