"দেখছনি কারবার! " তৃতীয় বারের মত স্বগতোক্তি করলেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান ওরফে খালেক মেম্বার।
বাঘের কম্বল
আকাশলীনা নিধি
এক দেশে ছিল এক বাঘ। সেই দেশে ছিল অনেক অনেক শিত।
বাঘ সুনেছে মানুষ নাকি কম্বল গায়ে দেয়। আর ওখানে একটা বুড়ি থাক্ত।
বুড়ির বাড়ি যেতে হলে ঊচা পাহার হেটে নদী পার হয়ে ভেরার বাগান পার হয়ে যেতে হয়।
তারপর বাঘ ভাবল আমার জদি কম্বল থাকে আর শিত লাকত না।
বাঘ তারপর পাহার হেটে নদী পার হয়ে ভেরার বাগান পার হয়ে বুড়ির কাছে গেল।
[justify]“কায়েমীস্বার্থবাদী ভাবনার অর্গল ভেঙ্গে তুমি ঠিক কি প্রতিষ্ঠা করতে চাও? জনস্বার্থ থেকে তোমার ব্যক্তিগত স্বার্থ তো আর তুমি চাইলেই আলাদা করতে পারবানা বাছা, সেখানেও হাজারটা ফ্যাঁকড়া। কিংবা যদি কোনভাবে পেরেও থাকো সেক্ষেত্রে অন্যান্যদের মতো তোমাকেও করাপশনের দুষ্টচক্রে বেঁধে ফেলা হবে। সুতরাং তোমার অবস্থাও সেই থোড়-বড়ি-খাড়া অথবা খাড়া-বড়ি-থোড়ের মতোই হবে।”
নিজের প্রতি বসের মুগ্ধ দৃষ্টি চোখ এড়ায় না রিমির। অফিসের সর্বোচ্চ কর্তার এই মুগ্ধ দৃষ্টি রিমির গোপন অহঙ্কার। গোপন সুখও বটে! অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান এই লোকের জন্য অফিসের বেশীরভাগ মহিলা কর্মী পাগল হলেও বস যেন শুধু ওর দিকেই মুগ্ধ দৃষ্টি হানেন। যদিও রিমি জানে বস ফ্লার্টিং করছেন, তবুও ব্যাপারটা চরম পুলকের।
সতেরো বছর আগে সোফিয়াকে যখন আমি প্রথম দেখি তখন সে ঘুমন্ত মায়ের পাশে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সারাহ রেস্তোঁরার পাশে অগ্রণী ব্যাংকের বন্ধ কলাপসিবলের সামনের ছায়াটুকুতে মা মেয়ের অস্থায়ী নিবাস। আর ঠিক সেই জায়গায় আমার অফিসের গাড়ি থামতো। সকাল সাতটায় প্রতিদিন অফিস যাবার সময় আমাদের দেখা হতো। অমন সুন্দর শিশু আমি এই শহরে আর একটিও দেখিনি। সবুজ চোখের সোনালী কোঁকড়া চুলের দুধে আলতা বর্ণের শিশু
[justify]মাঠের বিস্তীর্ণ সবুজ ঘাস দেখলেই তার ইচ্ছে করে সেখানে চিৎ হয়ে শুয়ে আকাশ দেখতে। এভাবে আকাশ দেখতে দেখতেই তার ভেতর মানুষ হয়ে জন্ম নেবার আক্ষেপটা প্রকট হয়ে ওঠে। সে ভাবে এরকম দু’পেয়ে মানুষ হবার চেয়ে বরং সে যদি গাছের সবুজ কচি পাতা হয়ে বছরান্তে একবার জন্ম নিতো আবার ঝরে যেতো। এই বারবার জন্ম নেওয়া এবং ঝরে পড়ার নিষ্পাপ পৌনঃপুনিক প্রাকৃতিক ক্রীড়াচক্র অনাবিল প্রশান্তিতে বুক ভরে দেয়। এই জনাকীর্ণ রেসকোর
উঠানের একপাশে রেবেকার লাশ রাখা। দু'টো ভারি বিছানার চাদর দিয়ে লাশের খাটিয়া ঘিরে দেওয়া হয়েছে। লাশের মাথার কাছে রাখা চেয়ারে একজন বয়স্কা মহিলা বসা। মহিলার হাতে লাল দানার সুন্দর একটা তজবিহ। মহিলা তজবিহ জপছেন আর মাঝে মাঝে বলছেন, ‘মুদ্দার গোছল সারা হইছে, আপনারা সবাই দূর থেইকা দোয়া করেন, ম্যায়া মুদ্দারে পুরুষমানুষ দ্যাখতে পারবো না।’ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কারো মধ্যে লাশ দেখবার কোনো আগ্রহ আছে বলে মনে হচ্ছে
১
"মন্ত্র কী জানো তো?"
"না, কী?"
জটাধারী মাটিতে আঁক কষতে কষতে মুখ টিপে হাসলেন আর গুনগুনিয়ে গাইতে শুরু করলেন। ঘুরঘুট্টি অমাবস্যায় মশালের আগুনে তার ব্যস্ত হাত মাটিতে চক্রাকারে কী যেন এঁকে চলেছে। জটাধারী গাইছেন,
"স্বপন পাড়ের ডাক শুনেছি, হু হুম হু হু হু হুম ..
কেউ কখনো খুঁজে কি পায়.. হু হুম হু হুম হুম"
প্রথম জীবন.
প্রথম জীবনটা দারিদ্রক্লিষ্ট। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা, তীব্র অভাব আর টানাটানি। টিউশানি করে পড়ার খরচ, একাংশ সংসারেও যায়। সমাজ ভাঙার স্বপ্ন দুচোখে। পড়াশোনার সাথে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার আন্দোলনে। নতুন সমাজ গড়ে তোলার আকাংখা। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার ছেয়ে যায় স্বপ্ন শ্লোগানে। সারা রাত চিকা মেরে ভোরবেলা ঘুম। উই শ্যাল ওভার কাম, উই শ্যাল ওভার কাম সাম ডে.... নতুন দিন একদিন আসবেই। পূর্ব দিগন্তে নতুন সূর্য।