ভাইসকল, আমি একখানা গল্প লিখতে বসলাম। এর শেষ কোথায় কিভাবে হবে জানিনা তবে শুরু করলাম একটা কথা বলে, আমি মেয়েছেলের কান্না বিশ্বাস করিনা, একদমই করিনা। এইরে, আমি আমার লেখার শুরুতেই তো বিশাল দুইটা ভুল করে বসলাম। প্রথমত ভাই ও বোনসকল বলে স...
বাসা থেকে বেরিয়ে পাশের গলিটা দিয়ে বড় রাস্তায় নেমে সেটা টপকে ওপারে গেলেই মুচির আখড়াটা। একসারে বারো জন জুতোর কারিগর তাঁদের পসার সাজিয়ে তৈরি হয়ে বসে।
এক নজর দেখে যে খুব শ্রদ্ধা আসবে তা হলফ করে বলা যায় না।
বড় রাস্তার পাশের এঁদো পুকুরটা আড়াল করার জন্য সরকার যে হলুদ দেয়ালটা তৈরি করেছে - সেইটে ভর করেই পুরো আখড়াটা দাঁড়িয়ে। সব কারিগরের আস্তানা কম বেশি একই রকমের ক...
রাইন গাওয়ের নীচের অংশে নদীপারের সে বন্য, উদ্দাম ভাব আর নেই। সেখানে পাহাড়, বড় বড় পাথরের চাই আর দুর্গের ধংসস্তুপ, তাদেরই কোন এক হারিয়ে যাওয়া রহস্যময় উন্মাদনা নিয়ে আজও বিরাজমান। এসবের কাছাকাছি কোন এক অন্ধকারচ্ছন্ন এলাকায়, লোমহর্ষ...
রূপকথার কাহিনীর মতো জীবন সরল সহজ নয়, তা অনেকবারই শুনেছি আমরা । এই কাহিনীও সে কথাই প্রমান করবে আবার।
এক ধনী লোক হঠাৎ অনেক টাকা হারিয়ে ফেললেন। টাকাগুলো একটি কাপড়ের থলেতে সেলাই করা ছিল। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি দিলেন তিনি। আর সে সাথে...
নিম্ন আয়ের মধ্যবিত্ত দু'টি পরিবার। একই ফ্লোরে পাশাপাশি ফ্ল্যাট। ও পাশে মাঝে মাঝে গেট খোলা থাকে। ভেতরের কথাবার্তা স্পষ্ট কানে আসে। এ পাশে ড্রইং রুমে বসে আছি আমি। হট্টগোলে দরোজায় চুপিসারে কান পাতি। জাহিদ সাহেব আর তার স্ত্রীর বাক...
আমি ভুত । শহরের এক কোনায় একটি ভাঙ্গা বাড়িতে থাকি । নিজেকে কখনো দেখি নাই, কেউ বলেনি আমি দেখতে কেমন। তবে হ্যা, মাঝে মাঝে জনসমক্ষে বের হয়ে গেলে আমাকে দেখে মানুষের চেচামেচিতে বুঝেছি দেখতে কিম্ভুত-ই হব । আমি মনে করতে পারি না জীবিতাবস্...
রান্নার ঘরটাতে একটা হুটোপুটির মতন শব্দ হলো। বিছানায় শুয়ে সিলিং-এ নানারকম অদৃশ্য আঁকিবুকি কাটছিলাম আমি। খুব জোরে ঘুরতে থাকা পাখাটা অবশ্য প্রায়শই বাগড়া দিচ্ছিলো। মনে মনে একটা বাঘ কিংবা ভাল্লুক এঁকে শেষটানে হয়তো আঁকবো তার গোঁফ কিংবা লেজ, অমনি বিচ্ছিরি শব্দ করে ডেকে ওঠে সেটা। আর মনোযোগ নড়ে যায় আমার।
কী করে হতচ্ছাড়া পাখাটাকে সাজা দেয়া যায় ভাবছিলাম, ঠিক তখন গুটুরমুটুর শব্দে কান খ...
রাজসাক্ষী
বাড়িটার ছবি অনেকবার দেখেছি পত্রিকায়। এই বাড়ি নিয়ে প্রায়ই খবর ছাপা হয়। সঙ্গে ছবি। দুয়েকবার চোখ বুলিয়ে জেনেছি একজন আমলার বাড়ি ওটা। যার হাত-পা অনেক লম্বা ও শক্ত
রাজধানীতে মাঝে মাঝে এলে ওই বাড়িটার কাছেই একটা আস্তানায় ...
[justify]সত্তরের কোঠায় পা দিয়েও বেশ টনকোই আছে বুড়োটা, আমার মুখোমুখি বসে, এই ধোঁয়ায় ঢাকা পানশালায়। তার চুলগুলোতে যেন তুষার জমেছে, আর চোখগুলো ঝকঝক করছে বরফ ঝেঁটিয়ে পরিষ্কার করা পথের মতো।
'ওহ, লোকগুলো আহাম্মক বটে!' বললো সে মাথা ঝাঁকিয়ে, আর আমার মনে হলো, এই বুঝি তার চুল থেকে তুষারকণা ঝরে পড়বে। 'সুখ তো কোন যাদুসসেজ নয়, যে রোজ ওর থেকে লোকে এক এক টুকরো কেটে নেবে!'
'ঠিক!' বলি আমি। 'সুখ অত সস্তা মাল না...
শুরুতেই বলে নিই, কাহিনীর সকল নামই ছদ্মনাম শুধু আমার নামটি ছাড়া।
ছোট বেলা থেকেই আমার অনেকগুলো শখের মধ্যে একটি শখ ছিল মানুষের কথা শোনা। আসলে ছিল বললে ভুল বলা হবে, আজও আছে। বিশেষ করে দুখী মানুষের কথা শোনার মাঝে আমি এক আলাদা ধরনের মজ...