।১।
'ভালো থাইকেন ওস্তাদ'
ওস্তাদ তার পোকায় খাওয়া দাঁত বের করে হাসলেন । জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলেন । আমি ও হাত বাড়ালাম ।
অর্ধেকে নেমে আসা 'অফিসার্স চয়েজ' এর বোতলটা হাতে চলে এলো । ওস্তাদের শুভেচ্ছা...
... আসলে অজন্তার কোন অলটারনেটিভ ছিলো না। সুতরাং বাধ্য হয়েই...।
সমস্ত গন্ডগোলের মূলে ছিলো তার মা। আরে বাবা, মেয়েটা নাহয় ফড়িং হয়ে একটু বেশিই উড়ে বেড়াচ্ছিলো- তা উড়ুক না, এ তো ওড়ারই বয়স। তাই ...
কমবেশী দশ/পনেরটি গল্পের একটি ছোট গল্প সংকলন তৈরীর কাজ শুরু করলাম। আপনারা আপনাদের পছন্দ মত গল্পজুড়ে দিতে পারেন।
প্রথমে লেখালেখি ক্লিক করুন। বইয়ের পৃষ্ঠা ক্লিক করুন। তারপর শিরোনাম দিয়ে প্যারেন্ট বা মূল বই হিসেবে "সচলায়তন ছোট গ...
[justify]
আদম বিড়বিড় করে, "এই স্বর্গটা শালা পুরা দুই নাম্বার হয়ে গেছে!"
ঈভ বলে, "বিড়বিড় করে কী বলো? গালি দাও নাকি?"
আদম উষ্ণ হয়ে ওঠে, বলে, "ঐ, তোমারে বিড়বিড় কইরা গালি দিমু ক্যান? জোরে গাইল দিতে পারি না? আমার নাম আদম, কোন হালারে আমি পুইছা চলি না, বোঝলা? আর গাইল তোমারে দিমু না ক্যান, বাপের বাড়ি থিকা কিছু আনছো যে সোহাগ কইরা কথা কমু?"
ঈভ ক্ষেপে ওঠে, বলে, "অ্যাদ্দিন চিল্লাচিলি্ল করলা, আমার লাইগা তোমার ...
লম্বা পায়ে হেঁটে যত্নহীণ উঠোনটা পেরিয়ে পুরনো বাড়িটার দরজার সামনে এসে দাঁড়ায় পড়ন্ত ত্রিশের ঝাঁকড়াচুলো মতি।
বড় করে দরজার পাশে বাসার নাম্বার লেখা ৯৬। এটাই তো? আলগোছে কোটের পকেট থেকে একটা কালো নোটবুক বের করে ও, একটা পাতা উলটে মিলিয়ে নেয় নাম্বারটা, এর পর কড়া নাড়ে। কড়া নাড়ার প্রায় সাথে সাথেই মতিকে চমকে দিয়ে দরজাটা খুলে যায়। বেনী করা আঠারো-উনিশের একটা মেয়ে। বড়...
পাহাড়ী দেশ৷ রুক্ষ, পাথুরে৷
গাছপালা সব দূরে দূরে,
তবু তার ফাঁকে ফাঁকে,
বছরের ধস ছাড়া বেঁচে,
জমি যা আছে, যেটুকু টিকে
তা মহাজনের৷ সেই জমিতে
সারাদিন,পাথরে কোদালে
শব্দ ওঠে তালে তালে
ঘেমেনেয়ে একাকার মহিলা;
মাটি কোপায় আরতিবালা৷
...
গিন্নী আর ছোট ভাই মইনুদ্দিন – ফকরুদ্দিন সাহেবের সংসারে প্রাণী বলতে এই তিন জন। কারওয়ান বাজারে কাঁচামালের আড়ত খুলে দু’হাতে বিস্তর কাঁচা পয়সা হাতিয়েছেন তিনি। দেখ...
বেলা ৯ টা। মেয়েরা দুজনেই বেরিয়ে গেছে বাসা থকে। সরকারী সাপ্তাহিক ছুটির বাড়তি দিনটায় আলম সাহেব একলা হয়ে খুব একটা "একাকী" জাতীয় কষ্ট আজ বোধ করছেন না। বরং মেয়েরা বাসায় থাকলে অতিরিক্ত যত...
[justify]মিতুন খুব খুঁতখুঁতে মেয়ে। সে সব কিছুতে শুধু ভুল ধরে।
মিতুন বড় জেদি। কোনকিছুতে জেদ চেপে গেলে সে আর হাল ছাড়ে না।
মিতুনদের বাড়িতে কাজ করতে এসেছে দুলি। দুলি আগে কখনো শহরে আসেনি। এই প্রথম সে গ্রাম থেকে এসেছে। তার কথায়, চেহারায়, শরীরে তার ফেলে আসা গ্রাম কুসুমপুরের ছবি এখনো দেখা যায়।
দুলির বয়স মিতুনের চেয়ে সামান্য বেশি। কিন্তু দুলি রান্না করতে পারে। মিতুন পারে না।
মিতুন কিন্ত...
[justify]লুলুদের বাড়ির পাশে একটা মস্তবড় একতলা বাড়ি আছে, যার ছাদ টিনের। সেই বাড়িটাতে বাস করে বদমেজাজী মোমবাতি দাদু। মোমবাতি দাদুর নাম মোটেও মোমবাতি নয়, কিন্তু তিনি খুব ফর্সা, আর খুব রোগা, আর সবসময় ধবধবে সাদা লুঙ্গি আর কুর্তা পরে থাকেন বলে সবাই তাঁকে আড়ালে মোমবাতি সাহেব ডাকে। কে যেন একবার সামনাসামনি মোমবাতি ডেকে ফেলেছিলো, আর মোমবাতি দাদু ভীষণ রেগে একটা ছড়ি হাতে নিয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন পেটা...