Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

মিলওয়াকি'র মানুষখেকো-০১

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৫/০১/২০১৫ - ১:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই গল্পের ঘটনা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন। এক সময় এ নিয়ে অনেক তোলপাড় হয়েছিল। আমি নিজে যে শহরে থাকি সেখানে এমন ঘটেছে জানার পর এ ব্যাপারে আমার লেখার আগ্রহ জন্মায়, কিন্তু কয়েক পাতা লেখার পর থামতে হল। ঘটনা এত অসুস্থ রকমের যে এ নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে যেয়ে আমি নিজেই মানসিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে যাই। যাহোক কি কারণে জানি না, একদিন এক বন্ধের দিনে এই ঘটনার বেশিরভাগ যেখানে ঘটেছে, সেখান থেকে ঘুরে এলাম। কিছু ছবিও তুলে নিয়ে এলাম। এরপর আবার লেখার আগ্রহ জন্মাল। গল্পাকারে লেখা এক বীভৎস সত্য কাহিনী। নিজ দায়িত্বে পড়ুন।


তাবিজের অন্ধকার

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৫/০১/২০১৫ - ১:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.জয়নব বছর বিয়োনি। দশ বছর হলো ওর বিয়ের। একটা বছরও শান্তি পায়নি জয়নব। নারী শরীরের অনুর্বরতা যেখানে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় সেখানে নিজ শরীরের ধারণক্ষমতায় খুশি না হয়ে সকাল থেকেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছে জয়নব। মাঘ মাসের এই অসহনীয় শীতের সাথে শরীরের বেকায়দা অবস্থা জয়নবকে আরও অসহায় করে তুলেছে। এই বছর শরীর আর টিকবে না। গত বছরও এমন মনে হয়েছিল জয়নবের। কিন্তু ওর শাশুড়ি সুফিয়া বেগমের নির্বুদ্ধিতার জন্য সে আবারও বেঁচে


আমাদের গল্পগুলো - ১ম পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/১২/২০১৪ - ৯:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[b]স্বপ্নের জোনাকিপোকা[/b]

১০ ডিসেম্বর

আমার মনে হচ্ছে আমি একটু একটু করে বড় হয়ে যাচ্ছি। আমার আম্মুর ভাষায় আমার জ্ঞান-বুদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু এই বড় হয়ে যাওয়াটা কেন যেন আমার ভালো লাগছে না। আমার ইদানিং খুব ইচ্ছে করে আম্মুকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে কিন্তু পারছি না। সেদিন অনেক বুদ্ধি করে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আম্মুর পাশে শুয়ে শুয়ে বলেছিলাম -


পারুলের সংসার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/১২/২০১৪ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শীতকাল আসি আসি করছে। দুপুরের দিকে এটা বেশ টের পাওয়া যায়। ছোট ছেলেটাকে খাইয়ে বিছানায় দিয়ে এসে পারুল রান্না ঘরের সাফসুতরো করতে করতে শাড়ির আঁচলটা একটু ভালো মতো জড়িয়ে নেয় পিঠের কাছটায়। ঠাণ্ডা বাতাসটা সবার আগে সে তার পিঠেই টের পায়। এই বাসাটার সমস্যা হলো কলঘরটা মূল বাড়ির বাইরে। এই একগাদা বাসন, হাড়ি পাতিল এখন সেখানে গিয়ে ধুতে হবে। এখন কি আর ইচ্ছে করে এগুলি ধুতে!


আমার আর্টিস্ট না হওয়া এবং মানিক ভাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/১২/২০১৪ - ৬:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি একদম আঁকতে পারি না এখন, অথচ হয়তো আমার খ্যাতি এখন দেশজুড়েও হতে পারত !

ছেলেবেলা থেকেই অবশ্য আর্টের প্রতি তীব্র অনুরাগ ছিল। সবাই বলত, বাহ সামিনের তো খুব ভাল আঁকে! অন্য বাচ্চারা যখন কম্পিউটারে ভিডিও গেমস, বাইরে খেলাধুলা করত, আমি একমনে এঁকে যেতাম। আর্টের যে কোন কম্পিটিশনে আমি যে ফার্স্ট হব এটা যেন নিয়মই হয়ে গিয়েছিল। আমি গ্রামের দৃশ্য আঁকতাম, কলসি নিয়ে গ্রামের বঁধু যাচ্ছে এটা ছিল আমার প্রিয় সাবজেক্ট। এছাড়া মাঝি নৌকা চালাচ্ছে, কৃষক ক্ষেতে কাজ করছে, বাচ্চারা গাছে উঠছে এগুলো আমি অনায়াসে এঁকে ফেলতাম। পেন্সিল কালার, প্যাস্টেল কালারে আমি ভাল হলেও জলরংটা একেবারেই পারতাম না। একদম ছ্যাঁড়াবেড়া করে ফেলে আর্টের মুডটা উঠে যেত, আর বসতেই ইচ্ছে করত না।


সো হোয়াট

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৫/১২/২০১৪ - ১২:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসা থেকে বের হতে না হতেই মাসুদ করিম সাহেবের কেনা এ্যাপেক্সের নতুন কেডস জোড়া থকথকে গোবরে আটকে গেল। স্ট্রিট লাইটের আলোতে চারপাশ বেশ ভালই দৃশ্যমান তবু কেন যে তিনি গোবর দেখলেন না ঠিক বুঝতে পারছেন না। বরং তার মনে হচ্ছে গোবরের স্তূপ ফেলা হয়েছে তিনি রাস্তায় পা রাখবার পর পরই। আজকের সকালটাই শুভ ছিল না, সেখানে সন্ধ্যা শুভ হবে আশাই করা যায় না। সকালে ঘুম ভাঙতেই তিনি বাম পা’টা নাড়াতে পারছিলেন না। রাতের নির্ধা


বিধাতা

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: রবি, ১৪/১২/২০১৪ - ৮:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাঘের বড় উপদ্রব। মানুষ অস্থির হইয়া উঠিল। গরু বাছুর, শেষে মানুষ পর্যন্ত বাঘের কবলে মারা পড়িতে লাগিলো। সকলে তখন লাঠি সড়কি বর্শা বাহির করিয়া বাঘটাকে মারিল। একটা বাঘ গেল- কিন্তু আরেকটা আসিল। শেষে মানুষ বিধাতার নিকট আবেদন করিল- "ভগবান, বাঘের হাত হইতে আমাদের বাঁচাও।"

বিধাতা কহিলেন- আচ্ছা।


পাহাড়ি ফুল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৮/১২/২০১৪ - ৭:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পায়েলের নানুমণিকে সবাই যাদুমণি বলে ডাকে।

কেমন করে এ নাম হল কেউ জানে না। এটা কিন্তু নিছক আদর বা ওরকম কিছুর নাম নয়। উনাকে জিজ্ঞেস করলে বৃদ্ধা মিটমিট করে হাসেন। পায়েলের মা অবশ্য বলেন, আম্মা যখন সুস্থ ছিলেন তখন নাকি বেশ ভাল ম্যাজিক দেখাতে পারতেন। সে কারণেই সবাই তাকে এ নাম দিয়েছিল। তিনি ম্যাজিক শিখেছিলেন তার বড় ভাইয়ের কাছে। উনি ছিলেন শখের যাদুকর। পায়েলের নানুমণি হাত সাফাইয়ের ম্যাজিক প্রাকটিস করে করে এমন দক্ষ হয়ে গিয়েছিলেন যে তার বড় ভাইয়ের থেকেও হাত সাফাইটা তিনি ভাল করতে পারতেন। আজকাল অবশ্য দেখেন না একদমই। সামনেই একটা চোখের অপারেশন করতে হবে। ডাক্তার নাকি বলেছেন, ডায়াবেটিকসটা কন্ট্রোলে আসলেই নাকি অপারেশন হবে।


শিকার

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/১২/২০১৪ - ১০:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"তোমরা ছেলেরা এতো অগোছালো কেনো?" নাক মুখ কুঁচকে বলে লাইনা। কাঁধের ব্যাগটা নামিয়ে রেখে ধপ করে পড়ে বিছানায়। মাতাল চোখে চারদিক দেখে শুয়ে শুয়ে। ঘরটা মাঝারি আকৃতির, সারা ঘরে হাবিজাবি জিনিসপত্রে ভরা। বইগুলো সব কম্পিউটার ডেস্কে ডাই করে রাখা।

"বিয়ার চলবে নাকি?" জেসন জিজ্ঞেস করে, বিছানায় এলিয়ে পড়ে।

"না বাবা, অনেক খেয়ে ফেলেছি। মাথাটা এমনিতেই কেমন ধরে আছে।"


চিহ্ন

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৩/১২/২০১৪ - ১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল সাড়ে নয়টায় লিমা কোর্টের বারান্দায় এসেছে। দুইজন পুলিশ লিমার কাকা আফসারের বাসায় যেয়ে লিমা আর ওর বাবা জয়নালকে এখানে নিয়ে এসেছে। আগের দিনই থানা থেকে পুলিশ যেয়ে বাড়িতে খবর দিয়ে এসেছিল। জয়নাল মিয়ার গত কয়দিনের অস্থিরতার সাথে সেই থেকে যুক্ত হয়েছে ভয়। মেয়েকে নিয়ে কোর্টে জবানবন্দি করাতে হবে! কোর্টে গেলে কী হবে? কী হয়? কী এক অচেনা দুর্ভাবনায় জয়নাল মিয়া সারা রাত বিছানায় ছটফট করেছে!