Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

অকালবোধন

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৪/০৯/২০১৪ - ১১:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘প্রিয় বাতিঘর,

এই সম্বোধনে আপনার মুখে যে একচিলতে হাসি ফুটে উঠেছে সে আমি কল্পনা করে নিতে পারছি। আপনি উপহাসের হাসি হাসতে পারেন কিন্তু এ ছাড়া আর কোনো শব্দ খুঁজে আমি পেলাম না।


দ্বিতীয় পৃথিবী

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৮/০৯/২০১৪ - ৮:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রফিক হা করে সাবেরের দিকে তাকিয়ে থাকল। লোকটা নিজেকে সাবের হাসান নামে পরিচয় দিয়েছে। পদবী নিউ এরাইভ্যাল এডমিনসট্রেটর। সাবের মৃদু হেসে বলল,

আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না, না?

রফিক কি বলবে ভেবে পেল না। তার একবার মনে হয়েছিল এসব ভাওতাবাজি। কোথায় না কোথায় এসে পড়েছে। এরা তাকে ভোদাই বানিয়ে মজা নিচ্ছে। রফিক আমতা আমতা করে বলল,

না মানে...এ কি করে হয়? আমার বয়স কত বল্লেন?

সাবের বলল, পয়ত্রিশ বছর তিন মাস।

রফিক বলল, আমার জন্ম তারিখ ১৮-১০-১৯৭৭। ভাই, সে হিসাবে আমার বয়স চৌত্রিশ।

সাবের দৃঢ় গলায় বলল, আপনার বয়স পয়ত্রিশ বছর তিন মাস। আমাদের মেশিন যেভাবে ক্যালিব্রেট করা আছে তাতে ২/১ মাসের হেরফের হতে পারে, কিন্তু এক বছর অনেক বড় ব্যাবধান। এত বড় ভুল হবার কথা নয়।

রফিকের ধাই করে তখন একটা জিনিস মনে পড়ে গেল। তার সার্টিফিকেটের বয়স আর সত্যিকারের বয়স এক নয়। সরকারি চাকুরির বয়সসীমা থাকার কারণে অনেকেই এস এস সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের সময় বয়স কমিয়ে দেয়। তার বাবাও দিয়েছিল। সত্যিকারের বয়স হিসেব করলে তার বয়স দাঁড়ায় পয়ত্রিশ বছর তিন মাস। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তার হাত ঘেমে গেল।


পতিদেবতা

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০১/০৯/২০১৪ - ৬:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মধ্য দুপুরের ভয়ংকর রোদ। ঘোড়াটা থেমে থেমে চিঁহি আওয়াজ করছে। তেষ্টা পেয়েছে মনে হয়।

মুকুন্দরাম হাতের তালুর উলটা পিঠ দিয়ে কপালের ঘাম মুছে নিলেন। মুখটা তেতো হয়ে আছে, সকাল থেকে কিছু পেটে পড়েনি। সেই গত সন্ধ্যায় একটা পাখি ঝলসে খেয়েছিলেন চান্দার ঝিলের ধারে, এরপরে একটানা পথচলা। এলাকা সুবিধার না, আরো কিছুদূর যেতে হবে তবেই নিরাপদ জায়গা শুরু। থামা চলবে না, সে যতই তেষ্টা পাক।

তবে প্রস্রাবের বেগ ধরেছে, কোথাও থেমে নেয়া জরুরী। খামোকা চুড়িদার ভিজানোর মানে হয়না।


আলো-অন্ধকার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০১/০৯/২০১৪ - ৫:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুপুর প্রায় ১২:৩০টা বাজছে। কমপক্ষে ২০ মিনিট হোল হাফিজ সাহেবের গাড়ি মোটামুটি একই জায়গায় দাঁড়ানো। স্কুল ছুটির কাছাকাছি সময়ে এই রাস্তাটায় আসাই ভুল হয়ে গেছে আসলে।


মনে নেই

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩০/০৮/২০১৪ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিস্ট। যা যা কিনতে হবেঃ

১) চা।
২) দুধ।
৩) সকালের নাস্তাঃ ব্যাগল এবং ক্রিম চীজ।
৪) এনভেলপ।
৫) অরেঞ্জ জুস।
৬) মাংসঃ গরু এবং মুরগী দুইটাই।
৭) হলুদ।
৮) ডিশ ওয়াশিং সোপ।
৯) পেঁয়াজ।
১০) গার্বেজ ব্যাগ।


হাবিজাবি গল্প ১

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৮/২০১৪ - ১:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা জেব্রা আফ্রিকায় থাকতো। সারাদিন ঘাস খেতো আর সিংহ দৌড়ানি দিলে দৌড়াদৌড়ি করতো। বৃষ্টির পিছে পিছে একবার এদিকে আরেকবার সেদিকে করে সাভানায় চরে বেড়াতো। ভিল্ডেবিস্টের পালের সাথে নদীতে কুমীরের সাথে পাল্টি দিয়ে পার হতো।

হঠাৎ জেব্রার সাথে দেখা হলো এক কুঁজওয়ালা জেব্রার।


বন্ধু তোমায় মনে পড়ে

মরুদ্যান এর ছবি
লিখেছেন মরুদ্যান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৮/২০১৪ - ১১:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আম্মু বার বার বলছিল একটা ঘুম দিতে। দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমালে নাকি ছোটদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। আয়নায় নিজেকে তো প্রায়ই দেখি, স্বাস্থ্য তো ভালই মনে হয়। গাট্টা গোট্টা হাত-পা, গালেও মাংস টাংস আছে খারাপ না। হুহ্‌ ! দুপুরে ঘুমাতে আমার বয়েই গ্যাছে। ঐ যে আম্মু মনে হয় গোসল করতে ঢুকল। পা টিপে টিপে বের হয়ে গেলে কেমন হয়? ধরা খেলে অবশ্য কান দুইটা আস্ত থাকবেনা! ধুউরর কি আর হবে?? আম্মু বের হবার আগেই নাহয় চলে আসব।


ইচ্ছেঘুড়ি

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৫/০৮/২০১৪ - ৫:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- এই আপু কী করো ওখানে বসে?
- চুপ! আয়, খাবি একটু?
- চট করে আশপাশটা দেখে নেয় তপু। তারপর একান ওকান হাসি দিয়ে
আপুর সামনে হাত পেতে দাঁড়ায়।


পি’য়ের জন্য ফুল

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: রবি, ২৪/০৮/২০১৪ - ৫:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পি’কে জীবনে সে মাত্র একবারই দেখেছিল। অনেক দুর থেকে। তাও ত্রিশ বছর আগে।
এরপর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারে নি।


আসকিরিমের কাঠি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৩/০৮/২০১৪ - ১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০০০০

আমার ছোট মেয়েটার নাম মুনিয়া; ঠিক একটা পাখির মতোই কটকটি হইছে বেটি; সারাদিন তুরতুর তুরতুর করে! বয়স এখনো তিন পুরে নাই, কিন্তু পাকনা বুড়ির ঠাস ঠাস আধো-আধো কথাই আমার নিরানন্দ সংসারে আলো জ্বালায় রাখে!

সরকারী দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীর বেতন শুনলে রিকশাওয়ালাও মুখ ভেঙচিয়ে গর্বে বুক ফুলায়!