ভ্যাপসা বিচ্ছিরি একটা গরম। জ্যৈষ্ঠ মাসের এই সময়টায় বৃষ্টি হলে একটা আরামদায়ক আবহাওয়া বিরাজ করলেও বৃষ্টি না হলে অসহ্য গরমে টেকা দায় হয়ে যায়। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি তো নেই-ই সাথে কাঁঠ ফাঁটা রোদ। খড়খড়ে মাটির উপর দিয়ে একটু বাতাস গেলেও ধুলো ওড়ে। বড় গাছগুলো মাটি থেকে সাধ্যমত রস শুষে নিয়ে প্রাণপণে নিজেদের সতেজ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে যেন। আশেপাশের ছোট গুল্ম আর ঘাসেদের ভাগে জুটছে না কিছুই তেমন। পানির অভাবে লত
: আমার জন্য, কি করতে পারো তুমি?
- আমি তোমাকে সূর্যের ঐপারের ঘোর অন্ধকারে পাঠিয়ে দিতে পারি।
: মানে!
- দেখবে অন্ধকার আর অন্ধকার। চারপাশে কেউ নেই। কেউ নেই। কেউ না।
তুমি ভয়ে কুঁকড়ে যাবে।
চিৎকার করে ফেটে যাবে।
কিন্তু কাউকে পাবে না তুমি। কাউকে না।
তুমি সহ্য করতে পারবে না। ধ্বংশ হয়ে যেতে চাইবে।
ঠিক তখনই বুঝতে পারবে
অন্ধকারের মধ্যে আরও গাঢ়ো অন্ধকারের মতন একজন
দাঁড়িয়ে আছে একাকী
আমি
মহাদেও,আসাম
১। ১৮/৪/১৯৭১
রেণু,
‘এইটা আপ্নের কেমুন বিবেচনা চেয়ারমেন সাব’?
১।
রোগীর প্রায় মরে থাকা বা বৃদ্ধাঙ্গুলের সুতাসদৃশ শিরায়ও সর্বদা অব্যর্থভাবে ক্যানুলা করতে পারত সেই সাইকেল ডাক্তার...কিন্তু যেদিন মাথাখারাপ নবনীর তিন মাইল দূর থেকে দেখা যাওয়া সদা জেগে থাকা তরতাজা শিরায় সামান্য একটা বাটারফ্লাই ক্যানুলা সাইকেল ডাক্তার দিতে পারেনা সেদিনই নবনী স্পষ্ট করে বুঝতে পারে জগতে সবকিছু জাগতিক না বরং তাতে হঠাৎ হঠাৎ স্বর্গ দেখা দিয়ে ওঠে....
শ’য়ে- শ’য়ে নাকি হাজারে হাজারে কিছু পাখি উড়ে যাচ্ছে- যারা মানুষের মতো দেখতে; দুটো হাত একটু এঁকেবেকে গিয়ে ডানার মতো হয়ে গেছে, ডানা ঝাপটাচ্ছে অনভ্যস্ত ভঙ্গিতে।
ঘোরপাখি
গৃহশিক্ষক। (১)।
অনেক কায়দা করে রাফসানের আব্বার কাছ থেকে আগের দুই মাসের বেতন আদায় করলাম। আজব মানুষ। প্রথম যেদিন পড়াতে গেলাম সেদিন ছাত্রের থেকে ছাত্রের পিতার আগ্রহ বেশি।
- কোথায় পড়েন?
- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
- কুন সাবযেক্ট?
- এগ্রোটেকনলজী।
- সেটা আবার কোন সাবযেক্ট? কি পড়ায় তাতে?
- এগ্রোনোমি, বায়োটেকনোলজী, বায়োকেমিষ্ট্রি, ষ্ট্যাটিস্টিক্স, সয়েল সাইন্স, !!!!
এক নিঃশ্বাসে বলে গেলাম।
-কিরে ব্যাটা, কতক্ষন ধইরা তোর ফোন বাজতাছে। ধরস না ক্যান?
=কি বাজতাছে?!? এইডা তো বাজার জিনিস না, ধইরা ঝাকানোর জিনিস। বাজবো ক্যান?
-ধুর হালা, কি কস উলটা পাল্টা। তোর ফোন বাজতাছে, মোবাইল ফোন।
=ও, আইচ্ছা। ফোন শব্দটা একটু ভালোমতো উচ্চারন করবি তো। আমি শুনলাম তুই মানবদেহের কোন অঙ্গ বাজা’র কথা কইতাছস।
২৮ নং ইন্সব্রুকার ষ্ট্রাসে; বাসার গায়ে ঠিকানা লেখা। হ্যাঁ এটাইতো সেই বাসা । পাহাড়ের চুড়ায় পুরাতন একটি বাসা। ঠিক ভাঙ্গাচোরা বলা যাবেনা; তবে তাতে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। জার্মানীতে বাসা পাওয়া বিশেষ করে এইশিয়ানদের জন্যে খুব কঠিন কাজ। আমি সেই কঠিন কাজটি করেছি এক রকম সহযেই। প্রথম পরিচয়ে বাড়িওয়ালীকে দেখে ভাল লাগল। চামড়া কুচকে যাওয়া সাতাত্তর বছরের বৃদ্ধা মিসেস ভেহ্ এবং আশি বছরের মিষ্টার ভেহ্। এক আলোচনাতে আমর