আজ শুক্রবার। রাশেদ অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছে। একটু দূরে দাঁড়িয়ে রাশেদকে দেখছে মিলি। মিলির অস্থির লাগছে। কিছুদিন হল, রাশেদ কিছু একটা নিয়ে বেশ বিরক্ত। মিলি কি হয়েছে জানতে চাইলে, রাশেদ শুকনো হাসি দিয়ে বলে সব ঠিক আছে। আজ প্রায় ১ বছর হল, ওরা এই বিদেশে এসেছে, রাশেদের চাকুরী নিয়ে। দুজনে মিলে মোটামুটি গুছিয়ে নিয়েছে বাসা। আর ২মাস আগে যখন মিলি রাশেদকে বলল, “তুমি বাবা হতে যাচ্ছ।” এতো খুশি সে রাশেদকে কখনও
মতিন মুখ কাঁচুমাচু করে বলে,
- ভাই মেয়েরা এমন কেন?
বদরুল ভাই চায়ে ডালপুরি চুবিয়ে খাচ্ছিলেন। মতিনের কথা শুনে উদাস হয়ে গেলেন। হয়তো কোন পূর্ব স্মৃতি মনে পড়লো। ডালপুরি চায়ের মধ্যে গলা ডুবিয়েই রইল। আমরা উৎকণ্ঠার সাথে এই গেল এই গেল ভাবতে ভাবতে অপেক্ষা করছিলাম কখন ডালপুরি গলে চায়ের ভেতর টুপুস করে খসে পড়ে। কিন্তু না, দেখা গেল ডালপুরিরা মোটেও বিস্কুটের মতো চরিত্রহীন না। চায়ে গলা ডুবিয়ে রেখে দিলেও দিব্যি ঝুলে থাকে, গলে পড়ে না।
আমার লেখা এক পর্ব "মাসুদ রানা"
মন চাইলে পড়তে পারেন...
১
চারিদিকে একেবারে বরফ টরফ জমে একাকার। টানা দুইদিনের তুষারপাতে একেবারে অচলাবস্থার কাছাকাছি পৌছে গেছে শহরটা। এর মধ্যে দশ মিনিট বাইরে দাঁড়িয়ে থাকাও অসম্ভবের কাছাকাছি কাজ। মোবাইল স্ক্রিনটা দেখে নেয় চট করে, তাপমাত্রা মাইনাস এগার দেখাচ্ছে। এখানে আবার তাপমাত্রার সাথে আরেকটা জিনিস লেখা থাকে, যেটাকে বলে ‘ফিলস লাইক’, দেশে থাকতে এই ব্যাপারে তার কোন ধারণাই ছিল না। হুহু করে ঠান্ডা বাতাসও বইছে, তাপমাত্রা মাইনাস
আমি ফুটপাত থেকে নেমে কয়েক পা পিছিয়ে এলাম । তারপর রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ডাকলাম – “ তিথিইইইইইইইইইইইইইইইই” ।
কোন সাড়াশব্দ নেই !
চারতলা বাড়িটার দিকে মুখ উঁচু করে আমি আবারো ডাকলাম “ তিথিইইইইইইইইইইইই” ।
কেউ সাড়া দিল না ।
হাত দুটো মেগাফোনের মত মুখের কাছে ধরে ডাক দিলাম – “ তিথিইইইই” ।
কিন্তু এই দুপুর রাত্রিতে আমার ডাক কেউ শুনলনা । রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমি আর আমার ছায়া ।
অনুবাদ সাহিত্যে হাতেখড়ির জন্য ছোটোগল্পের চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারেনা, তার উপর গল্পটি যদি হয় ও হেনরি'র। এই গল্পটি মূলত অনুবাদ নিয়ে নিরন্তর আগ্রহের ফসল। প্রথম ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ হিসেবে ভুল-ভ্রান্তিগুলো সবাই আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার সমালোচনা ও পরামর্শ একান্তভাবে কাম্য।
পরিশেষে, বন্ধু ফাহিমা আল ফারাবি ও ফরহাদ হোসেইন মাসুমকে ধন্যবাদ। তাদের পরামর্শ অনুবাদটিকে আরো প্রাঞ্জল হতে সাহায্য করেছে।
যারা মূল গল্পটি পড়তে চান, এখানে ঢুঁ মারতে পারেনঃ http://www.ciudadseva.com/sevacity/stories/en/henry/mammon_and_the_archer.htm
১.
তুহিন অনেকক্ষণ ধরে চোখ কুঁচকে আকাশ দেখে, তারপর হাল ছেড়ে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মোটা লোকটাকে বলে, "বাবা, প্লেনটা তো আর দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় গেলো?"
তুহিনের বাবা আড়চোখে ছেলেকে পরখ করে নিয়ে বলেন, "এই তো বাবা, প্লেনটা এখন অনেএএএএক ওপর দিয়ে উড়ছে। তাই তুমি দেখতে পাচ্ছো না।"
সে এক দিন গেছে। তারপর এখন দেখছি সবই বদলে গেছে এই বলে অমিতা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিষন্ন বদনে বসে রইল।
বিয়ের আগে ও পরের পরিস্থিতি এক করলে তো হবে না। কিন্তু এই তফাৎ টা এত বেশী নয় যে জীবন বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়তে হবে। এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। বিজ্ঞ ভাবে মন্তব্য করল সমর। তার পর খাট থেকে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় পায়চারি শুরু করল।
মৃত্যুটা ঠেকান গেল না। দুপূর দুটো নাগাদ খবর পাওয়া গেল যোগমায়া মারা গেছে। আগের সন্ধ্যায় নিজেই যখন কেরোসিন গায়ে ঢেলে ও আগুন ধরায় তখন খবর পেয়ে আমরা ওদের বাড়ী গিয়ে দেখি একটা সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার ঘটে গেছে। ফর্সা এবং মোটাসোটা চেহারার যোগমায়ার শরীর দিয়ে মাংসপোড়া গন্ধ বের হচ্ছিল। ঐ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।