Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

কাঁটা

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৫/০১/২০১৪ - ৪:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)

ট্রেনটা মিস করে ফেললাম। পরের ট্রেন ঘণ্টা খানেক পরে। এদিকে ওয়েটিংরুমটা বড্ড নোংরা, ওটাতে বসার রুচি হচ্ছে না। আধঘণ্টা বাইরে পায়চারি করে তবু ওই আস্তাকুড়ের মধ্যে গিয়ে বসলাম। খানিক বাদে একটা রিনরিনে কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে চমকে গেলাম আমি।

-চিনতেই পারো নি, নাকি ভাণ করছ?

খুব চেনা স্বর। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে পেলাম ঝিল্লির মুখ।

-থিয়েটার ছাড়ো নি বুঝি?


অপর বাঁশতব

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: রবি, ১৯/০১/২০১৪ - ৮:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডাগরতাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হায়াত মণ্ডল খুব আরাম করে ঘুমাচ্ছিলেন।


অপরাজিতা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ১৮/০১/২০১৪ - ৭:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১। আমার সঙ্গে যদিও বহুকাল অনীশের দেখা নেই, তবু বসে বসে খাতায় লেখালিখি মকশো করে যাই। অনীশ শুনেছি বেড়াতে গিয়েছেন পাহাড়ে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিন ভাগ্নেভাগ্নী গ্যাঞ্জামা, নিশঙ্কা আর ঝঞ্ঝাকে। যাবার আগে আমায় কিছু ডেডলাইন দিয়ে গিয়েছেন , যাতে এসেই পাকড়াও করতে পারেন। অনীশ হলেন পাক্ষিক সাহিত্যপত্রিকা "আনন্দঝর্ণা"র সম্পাদক।


"মায়াবতী"

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০১/২০১৪ - ১০:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
-"এই যে শুনছেন? "


কবন্ধের এলোমেলো পোঁচে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৫/০১/২০১৪ - ৫:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবন্ধের এলোমেলো পোঁচে
শুভচিহ্ন মুছে যাচ্ছে একে একে,অমাবস্যা আরো
গাঢ় হয়ে নামে চরাচরে।
কুঠার শানায় ওরা,ঘন ঘন ফুলকি ওড়ে
ফলে অন্ধকার অধিক আঁধার
বলে মনে হয়,মধ্যযুগ কাফনের মত আপাদমস্তক
মুড়ে ফেলে দশদিক।তবুও মানুষ
হাটুতে ঠেকিয়ে মুখ বসে থাকে,যেন সে পাথর।


বই প্রতিরক্ষা!

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ১৩/০১/২০১৪ - ৪:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অভিজাত এলাকার এক ধনকুবের গেছেন নগরের সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকানে। দোকানটা বিশাল একটা হলরুম যেন। প্রথমে ঢুকতে মনে হয় না বইয়ের দোকান, মনে হয় কোন প্রাচীন মিউজিয়াম।

শহরে বইপত্র বেচার এমন একটা জায়গা আছে তিনি কল্পনাই করেননি। নিউইয়র্কের বার্নস এণ্ড নোবলে একবার ঢুকেছিলেন। এক কাপ কফি খেয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ইতালীর বন্ধুর সাথে।


সা লি শ ।। সা গ র র হ মা ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০১/২০১৪ - ৩:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সা লি শ ।। সা গ র র হ মা ন

আতামিয়ার গাঢ়ের রগ ত্যাড়া। সে রগ ত্যাড়া গাঢ় আরেকটু ত্যাড়া করে বললো, আপনেগো সালিশ আমি মানি না।
মনা হিস্ হিস্ করে বললো, তুই এইসব কি কস্? তোর মরণের সাধ হইছে, নাহ্?


পাশের বাসার মানুষটি!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০১/২০১৪ - ৫:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

; যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন সব কিছু সহজ লাগত। পাশের বাসায় যাওয়া মানে ছিল দুধভাত। আমাদের মাঝে অন্যরকম এক সৌহার্দের সম্পর্ক ছিল। বিকেলের আড্ডা থেকে শুরু করে কারও বাসায় মেহমান আসলে আমাদের উপস্থিতি, আমারা যেন সবাই আপন মানুষ ছিলাম। শুধু আমাদের পাশের বাসা নয়, আমাদের পাশের বাড়ি এবং তার সবগুলো পরিবার ছিল আমাদের চেনা জানা। আপন মানুষ। একবার আমাদের পাশের বাড়িতে তিন তলায়, এক ছোট্ট শিশু ঘরের ভেতর থেকে দরজার ছিটকি


গণতন্ত্র

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: সোম, ০৬/০১/২০১৪ - ২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মে ১৫, ১৯৭১

যুদ্ধটা শেষ পর্যন্ত শুরু হয়েই গেল। সানাউল্লাহ ভাই কিছুদিন চারিদিকের ভাও বোঝার চেষ্টা করে শেষপর্যন্ত মিটিং ডেকেই ফেললেন। লোকজন নিতান্ত কম না। এলাকার মুরুব্বী, আধা মুরুব্বী, চ্যাংড়া, ছেলে ছোকরা, চার আনা, আটআনা, দশপাই, পাঁচপাই সব মিলিয়ে দুইশ এর মতো লোক। কমবেশি সবাই সানাউল্লাহ ভাইকে মানে। সানাউল্লাহ ভাই একটু গলা খাঁকারি দিয়ে শুরু করলেন,


সর্বোচ্চ দেশপ্রেম

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ০৩/০১/২০১৪ - ৭:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইস্কাটন থেকে পাক মোটর সামান্য পায়ে হাঁটা রাস্তা, তবুও আনিসুল হাইয়ের ভয় লাগে। যদি কিছু হয়?

জুন মাস নাগাদ এসে ছাত্রলীগের গুণ্ডাপাণ্ডারা সেনাবাহিনীর মার খেয়ে অবশ্য অনেকটাই ঠাণ্ডা হয়ে গেছে, কদাচিৎ সীমান্তবর্তী এলাকায় কিছু দুমদাম ঠুশঠাশের উড়ো খবর কানে আসে কেবল। ঢাকায় দমবন্ধকরা পরিস্থিতি খুব মন্থর গতিতে আবার স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে।