অচেনা বিশাল শহরের আকাশছোঁয়া সব ইমারত কৃপণের মতো ছায়া গুটিয়ে জড়ো করে যে যার পায়ের কাছে। আকাশে অগ্রহায়ণের সূর্য সাগ্রহে তাকিয়ে আছে পৃথিবীর রৌদ্রকাতর গালের দিকে। লীনা ওড়না দিয়ে নিজের মুখটা মুছে নেয় আবার। এ নগরীর রুক্ষ উষ্ণতার অন্য রূপ সে জানে, তাই কাকার অপরাধী দৃষ্টির মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না সে।
বার্নস এন্ড নোবলের কফি কর্নারে জানালার পাশে বসে বই পড়ছিলাম। সুজান কলিন্সের 'ক্যাচিং ফায়ার'। বইটা ২০১২ এর বেস্ট সেলার লিস্টে আছে, ইদানিং সবকিছুই কেমন জানি উল্টা-পাল্টা হয়ে যাচ্ছে। কন্টেন্ট না জেনে বেস্ট সেলার লিস্ট দেখে বই পড়ি এবং আইএমডিবি রেটিং দেখে দেখি মুভি। এমন সময় চোখ ফিরিয়ে তাকে দেখলাম।
[justify](শুরুতেই বলিয়া রাখা প্রয়োজন, গল্পটির ঘটনা ও চরিত্রগুলি আগাগোড়াই কাল্পনিক। কাহারো সহিত কিছু মিলিয়া গেলে তাহা কাকতাল, ফাঁকতাল, ঝাঁপতাল, একতাল, ত্রিতাল, দাদরা বা কাহারবা যে যাহার যা ইচ্ছা তাহাই মনে করিতে পারিবেন)
পাথর মসজিদ লাগোয়া চত্বর, পাটনা। ১৬৪৪ এর গ্রীষ্মকাল।
সওদাগরের ছদ্মবেশে থাকা পেয়াদা জাফর নদীর দিকে মুখ করে উবু হয়ে বসে টুপি বাছতে বাছতে টুপিওলাকে বলল, বুড়ামিয়া মাথা ঠাণ্ডা রাখে এরকম একখান টুপি দেন। দুপুরের দিকে মাথা রুটির তাওয়ার মতন গরম লাগে।
লালচে দাঁত দেখিয়ে হাসল টুপিওলা, বিসমিল্লা বইলা ফুঁ দিয়া পরবেন। দেখবেন কেমন ঠাণ্ডা থাকে মাথা।
হাসনাত সাহেব দরজা ঠেলে ঘরটায় প্রবেশ করলেন। ঘরটা প্রকান্ড। আশেপাশের যে দশটা বাসায় ঘরগুলো দেখতে পাওয়া যায় তার সাথে এর কোনভাবেই মিল করা চলে না। ঘরটা প্রশস্ত, বিশাল। অনেকটা ক্লাসরুমের মত। হাসনাত সাহেব এ ঘরটায় প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারেন। আজকাল যে ফ্ল্যাট-রুমগুলো তৈরী হয় সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যায় না, দম বন্ধ হয়ে আসে।
মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে একমাত্র শিম্পাঞ্জি কিংকং যখন শেষরাতে খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে যায়, টের পায়নি কেউ। টের পাবার কথাও নয়, এই সময়ে পাহারাদারেরাও ঘুমিয়ে পড়ে। দিনের বেলা যে লোকটি খাবার দিতে এসেছিল, তার সাথে কিংকঙের কী চুক্তি হয়েছিল, সে খাঁচায় একটি কলার বদলে এক কাঁদি কলা রেখে দরজাটিও বন্ধ করতে ভুলে গেল, এসব খবরাদি জানতে হলে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে ডাকতে হয়। চিড়িয়াখানার পরিচালকদের এতো কিছু জানার আগ্রহও নেই, ট
১.
সোজা পথগুলো রূদ্ধ। বাঁকা পথেই রওনা দিল সে।
সবচেয়ে সোজা ছিল সল্টগোলা বারিকবিল্ডিং হয়ে আগ্রাবাদ পেরিয়ে টাইগার পাস লালখান বাজার। এটা হবে না, বারিকবিল্ডিং থেকে আগ্রাবাদ হয়ে দেওয়ানহাট পর্যন্ত দাউ দাউ জ্বলছে।
দ্বিতীয় বিকল্প পোর্টকানেকটিং রোড হয়ে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড দিয়ে বাদামতলি মোড় পেরিয়ে সোজা উত্তরে। তাতেও জ্বলছে আগুন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে।
আমাদের সেই বাড়িটা আর নেই। পুরনো ঢাকার কলতাবাজারের জরাজীর্ণ এলাকায় আরও জরাজীর্ণ শেওলা ধরা মাঝারি মাপের একটা বাড়ি। আমাদের শৈশব কৈশোর তারুন্নের সাক্ষী একটা বাড়ি। বাড়িটার ঘরগুলো খুব সাজানো গোছান প্রকৌশলীর হাতে বানানো ছিল না প্রথমে। বিশাল বিশাল সেগুন কাঠের বিম কড়িবর্গা। প্রথমেই ছিল বাবার কাজের ঘর তারপর বসার ঘর আমরা বলতাম মাঝখানের ঘর, মাঝে বারান্দা আসলে প্রতিটা ঘরের সাথেই বড় বারান্দা ছিল তারপরে আমাদের
বছরখানেক পর দেশে। বন্ধু শাজাহানের শান্তিনগরের বাসায় ভুড়িভোজন হলো। তারপর গল্প করতে করতে বিকেল অতিক্রম। এবার ফেরার পালা। রিকশা নিলাম একটা। সেটি বারবারই আটকে যায় ট্রাফিক জ্যামে। আমি নিজের ভাবনায় নিমগ্ন থেকেই এদিক সেদিক তাকাই। পুব-পশ্চিমে উড়াউড়ি, কাছের মানুষ, দূরের মানুষ, ঢাকার রাস্তাঘাট- রাজনীতি, এগুলোই তো পরবাসী জীবনের নাইয়র ভাবনা। এরই মাঝে সামনের রিক্সা থেকে এক লোক বলে উঠলেন,