Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

এ্যা জার্নি টু মেক্সলক্সিগঞ্জ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৭/১১/২০১৩ - ১০:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাকরিটা যখন পাই তখন চাকরিটা নিব কি নিব না সেটা নিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলাম। কাছের সবাই বলছিল ভালো কোম্পানি, ভালো সেলারি, সুতরাং কোন রকম ভাবা-ভাবি না করে যেন চাকরিটা নিয়া নেই। সব কিছু বিবেচনা করে অবশেষে চাকরিটা নিয়েই নিলাম। চাকরিটা নেয়ার পেছনে ভালো কোম্পানি, ভালো সেলারি ব্যতীত আরেকটা অন্যতম কারণ ছিল, সেটা হল- চাকরির পারপাসে প্রায়ই আমাকে বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাভেল করতে হবে।


মহাভারতে তিন রাজনৈতিক নারী। ৩। দ্রৌপদী। পর্ব ৬

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বুধ, ১৩/১১/২০১৩ - ১২:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নারদের বুদ্ধিতে একেক ভাইয়ের ঘরে দ্রৌপদীর বার্ষিক পালা ঠিক হইবার পর অর্জুন যাইচা অপরাধ করে পাঁচ বচ্ছরের নির্বাসন-শাস্তি নিয়া পথে পথে তিনটা বিবাহ কইরা শেষে ফিরছিল দেশে। আর বনবাসের শুরুতেই আবার সে অস্ত্র সংগ্রহের নামে আরো পাঁচ বচ্ছরের লাইগা চইলা যায় দ্রৌপদী থাইকা দূরে। তাই এইবার অর্জুন ফিরা আসলে সমস্ত পালাটালা ভাইঙ্গা যুধিষ্ঠির দ্রৌপদীরে বরাদ্দ দেয় অর্জুনের ঘরে। কিন্তু এই অর্জুন তো আর সেই অর্জুন নাই।


অযাত্রা

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বুধ, ৩০/১০/২০১৩ - ১২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- বাবা সিটটা ইট্টু খুইজে দেও দিনি। চওয়াশমা আনি নাই; কিছু পড়তে পারি না...

খুলনা থেকে যশোর যাবার জন্য দুপুরে সাগরদাড়ি ট্রেনে উঠে বসতেই পাশে দাঁড়িয়ে টিকিট বাড়িয়ে দাঁড়ালেন বয়স্ক ভদ্রলোক। তার সিট আমার মুখোমুখি জানালায়। ছোট ব্যাগটা কোলে নিয়ে সিটে পা তুলে গুটিসুটি হয়ে বসলেন ভদ্রলোক- তোমাক দেখে পরিচিত মনে হতিছে তাই তুমি করে কলাম। তুমি কি আমার ছাত্র ছেলা?


গোডাইফার

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ২৬/১০/২০১৩ - ৫:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
সকাল থেকে মেজাজ খারাপ। বসের সাথে মুখ কালাকালি চলছে। ব্যাটা হাড় কেপ্পন টাকার কুমীর গতকাল এসেই হিসেব নেয়া শুরু করছে অফিসে মাথাপিছু কয় বোতল খাবার পানি লাগে। আন্তর্জাতিক গড় নাকি দৈনিক দেড় লিটার। গরীব হয়েও আমরা চার লিটার কেমনে খাই সেই হিসাব চাইল এডমিনের কাছে। এডমিন যথারীতি মিনমিন করে সুর মিলিয়ে বলেছেন তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন পানি খাওয়া কমাতে, কারণ তিনি জানেন পানি বেশী খেলে ঘনঘন বাথরুম পায় আর ঘনঘন বাথরুমে গেলে ফ্ল্যাশ টিপে প্রচুর পানি খরচ হয়। এর মধ্যে আর এক কামেল হিসেব করে বের করে ফেলেছে আধ লিটার জলত্যাগ করে এক গ্যালন পানি ফ্ল্যাশ করার ফলে কোম্পানীর মাথাপিছু ক্ষতির পরিমান সোয়া এক গ্যালন। এই বিষয়ে পানি সম্পদ বিষয়ক এক কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দৈনিক দেড় লিটারের বেশী পানি খেলে সেই বাড়তি পানির নিষ্ক্রমণ ব্যয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বহন করতে হবে।


আত্মজের জন্য

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২১/১০/২০১৩ - ১২:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-আ্যই ঘুমুবে না? অনেক রাত হয়ে গেল...পাশের ঘর থেকে নীলজের ঘুম জড়ানো গলা শুনতে পেল সেমন্তী।


স্বলেহন

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: রবি, ১৩/১০/২০১৩ - ৭:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি মেধাবী সেটা আগেই জানতাম কিন্তু বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাবার পর সেটা বাকিরাও জানল। আম্মা এসে জড়ায়ে ধরে বলল, মানিক তুই বংশের মুখ উজ্জ্বল করলি। চাচা বললেন, গুড জব। এই বংশের ছেলেরা ডিপ্লোমা বিআইটি ইত্যাদি হাবিজাবিতে চান্স পাইলেও বুয়েটে এই প্রথম। পাড়া প্রতিবেশী সবাই হৈহল্লা করে দেখতে আসল পাড়ার মেধাবী ছেলেকে। কেউ গায়ে হাত বুলায়, কেউ মৃদু চিমটি কাটে, কেউবা ফিসফিস করে বলে, কি মেধাবী গো।


থিবো সায়েবের দৌলত - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ০৬/১০/২০১৩ - ১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরব সাগর থেকে তাপ্তি নদীতে জাহাজ ঢুকল এইমাত্র। সুরাট বন্দর আসন্ন। জাহাজ আসছে সেই মছলিপটনম থেকে, মেলা লম্বা রাস্তা। মাঝে থেমেছিল কোচিন কালিকট আর গোয়ায়। জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে ফরাসী জহরত ব্যাপারি জঁ পিয়ের থিবো দেখতে লাগলেন উঁচু দেয়ালে ঘেরা সুরাট দূর্গের পাশ দিয়ে জাহাজ ধীরে ধীরে এগুচ্ছে কাস্টমস হাউসের দিকে।

নভেম্বর। ১৬৪২ সাল।


ফুল ও গুমের গল্প...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১০/২০১৩ - ১০:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মার্চের শেষের দিকের এই সময়টায় ধীরে ধীরে গরম বাড়তে শুরু করে। দূর থেকে রাস্তার ধারে দাড়িয়ে থাকা ঘামে চিকচিক করা মানুষগুলোকে দেখলে গরম যেনও আরও বেশী অনুভূত হয়। বেশ কিছুক্ষণ হলও জাহানারা বারান্দায় এদিকটায় এসে দাঁড়িয়েছেন। প্রায় অনেকদিন ধরেই তারা এলিফ্যন্ট রোডের একটা ফ্ল্যাট বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাদের বারান্দা থেকে ব্যস্ত শহরটার প্রায় অর্ধেকটাই খুব সহজে দেখা যায়। মেইন রোডের এতো অসংখ্য মানুষ


টু ট্রিট এ হাঙরি বার্ড

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১০/২০১৩ - ২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-সকাল থেকে তোমার রকম সকম দেখে তো ভাল ঠেকছে না, বল না কী হয়েছে?
কনুই দিয়ে ছোটকু মানে ছোটকাকাকে গুঁতো মারল টুসকি। ছোটকু তবু মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে। গুনগুন করে কোন এক গানের কলি ভাজছে। বেশির ভাগ গানেরই গীতিকার সুরকার তিনি নিজে, কাজেই এক গান দুবার শোনা যায় নি কখনো তার মুখে!


বাদার বিক্রম - শেষ পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বুধ, ২৫/০৯/২০১৩ - ৯:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(দ্বিতীয় পর্বের পর)

রাত্রি দ্বিপ্রহর। সুবাদার শাহবাজ খাঁর খাস তাঁবুর বাইরে দাঁড়ানো ছয়ফুটি তাগড়া পেয়াদাকে ফৌজদার আলী নকভী বললেন, সরে দাঁড়াও। হুজুরের সাথে আমার বিশেষ প্রয়োজন। মাথা নেড়ে পেয়াদা বলল, হুজুর ব্যস্ত। সকালে আসুন।

স্থির চোখে পেয়াদার দিকে তাকিয়ে ফৌজদার বললেন, আমার এখনই প্রয়োজন। চিটঠি এসেছে। হুজুরকে বল গিয়ে যাও।

তাঁবুর ভেতরে যাবার হুকুম মিলল। ভেতরে ঢিলে জামা পরা শাহবাজ ফৌজদারকে বললেন, রাতে আমার মাথা ভাল কাজ করেনা তুমি ভাল করেই জানো। হয়েছে কি?

বিক্রম বাজিতপুরে আমাদের হয়ে বিষ মেশানোর সাথে অন্য ধান্দা করছে হুজুর। সে তার গাঁ থেকে ধরে আনা আরো কয়টা দাসের সাথে পালানোর মতলব করছে।

শাহবাজের মুখ হাসি হাসিই থাকল, কেবল চোখ দুটি কঠিন হয়ে গেল।