Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

অপরিচিত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৯/২০১৩ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সীমার সাথে আমার দেখা হয়েছিল প্রায় পনেরো বছর আগে, আমার মত করে। এর পরে যে দেখাটা হয়েছিল সেটাকে আমি কখনও মনে করি না, করতে চাইও না।

পনেরো বছর অনেক লম্বা সময়,অন্তত আমার কাছে। এই পনেরো বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে। আমি হয়ত বদলে যাই নি। আমি হয়ত আমিই আছি, আর আমার এই আমি থাকাটাই আজকে আমার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


সেই রোববারে

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ০৪/০৯/২০১৩ - ২:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শেখ মুজিব রোড ধরে গত ত্রিশ বছর আসা যাওয়া করছি কিন্তু এই দোকানটা কখনো চোখে পড়েনি।

যমুনা ভবনের পাশে একটা খালি জায়গা, তার পাশেই দোকানঘরটা। হ্যাঁ, দোকানঘরই। ঘর এবং দোকান দুটো মিলে টু-ইন-ওয়ান। শহরে এরকম দোকান দেখা যায় না। দোকানের পেছনে আবাসিক ব্যবস্থা। দোকানীর কাঁধের উপর দিয়ে উঁকি দিয়েও দেখা যায় পেছনের ঘরটিতে রয়েছে একটা চৌকি, তাতে বিছানা পাতা, চৌকির নীচে খানকতক ডেকচি, একটা স্টোভ, নানান সাইজের কিছু বৈয়াম ইত্যাদি সাংসারিক উপাদান। বোঝাই যাচ্ছে রাতের বেলা এখানে কেউ থাকে।


নছিহত

স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৯/২০১৩ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এককালে এখানে রেস হতো।
লম্বা-লম্বা আরবি ঘোড়াগুলোর উপরে রোগা-পটকা জকিদের হট-হুরর শব্দের সাথে দর্শকদের চিল-চিতকার প্লাস সভ্য মানুষের মৃদু করতালি; খোলামকুচির মতো উড়তে থাকা ব্যাংকনোট আর কাঁচাটাকার ঝনঝনানি- সব মিলে ঘোর লাগা এক অদ্ভুত উতসব।


অরিত্রি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০২/০৯/২০১৩ - ১০:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মায়িশা তার সামনে বসা মানুষটার দিকে তাকাল।

লোকটা ফোনে কথা বলছে আর দাঁড়িতে হাত বুলাচ্ছে। লোকটার মুখভর্তি দাঁড়ি। মায়িশা দাঁড়িওয়ালা মানুষদের এমনিতেই পছন্দ করে না। তাদের ম্যাথ টিচার, দবিরউদ্দিন, ওই লোকটারও এরকম দাঁড়ি; অবশ্য খুবই কাটছাঁট করা। তার বন্ধুরা বলে, দবিরউদ্দিন চুলের থেকে দাঁড়ির পিছনে সময় বেশি খরচ করে।


মুক্তিযুদ্ধ মানে কী, বাবা?

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ০২/০৯/২০১৩ - ৪:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[এই গল্পের যদি কোন ভাল দিক থেকে থাকে, তবে তা ষষ্ট পাণ্ডবের। তিনি একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ কী। আমি একে গল্প বানাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। হয়নি বা কতটুকু হয়েছে বা হবে নির্ভর করছে আপনাদের মূল্যবান মতামতের উপর। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত কাহিনীর গল্পে উত্তরণ সহায়ক হবে। আমাদের জাতীয় কোন বিষয় নিয়ে কিশোর কিশোরীদের উপযোগী কোন গল্প কবি


বাদার বিক্রম - দ্বিতীয় পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শনি, ৩১/০৮/২০১৩ - ৩:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের পর)

গঙ্গার তীরে মুঙ্গেরের কোন এক জায়গা। সুবাদার শাহবাজ খাঁর কাফেলার তাঁবু।

সকাল।

তাঁবুর পাশে মাঠের চিপায় উবু হয়ে বসে মুর্গীর হাড্ডি কড়মড় করে চিবানোর পর থু থু করে করে ফেলে দিয়ে বিক্রম পাশে দাঁড়ানো পাইককে জিজ্ঞাসা করল, আর কতদিন এরম হাঁটাহাঁটি জানেন নাকি কত্তা?


ফুটবল ম্যাচ

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৮/২০১৩ - ৪:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্কোর লাইন উল্টা হলে ঠিক ছিল। উল্টা হবার-ই কথা ছিল। হবার কথা ছিল বিয়ত ৪ - ১ আন বিয়ত। অথচ হয়ে গেল বিয়ত ১ - ৪ আনবিয়ত।


নিখোঁজ ষোড়শীবালা

ব্রুনো এর ছবি
লিখেছেন ব্রুনো [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৮/২০১৩ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পরিষ্কার দিনের আলোতে অবনি দেখতে পায় যমুনার মাঠের ভিতর নৃসিংহপুর গ্রাম তার মুমূর্ষু ঘরবাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারে অনাদি শীলই ঠিক, সেই ভুল। কিন্তু অনাদি কি পুরোটাই ঠিক বলেছে? তা কীভাবে হবে! অবনির ভাঙ্গা নাক অনাদির ঘুষির কীর্তি হলেও তার কাটা ঠোঁট তো তা না। কারণ অনাদির সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হয় কাল রাত্রে সে কিছু শোনার আগেই বলেছিলো, ‘আপনার ঠোঁটতো দেখি বিশ্রীভাবে কেটে গেছে।’ তাহলে?


শোধ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৮/২০১৩ - ১১:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'অবসেশান' শব্দটার যুতসই কোন বাংলাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিকশনারী ঘেঁটে যে কয়টা বাংলা শব্দ পাওয়া গেছে সেগুলোর কোনটাই ঠিক সুবিধার না। ডিকশনারিগুলো লেখে কারা? মনে মনে তাঁদের উদ্দ্যেশ্যে যুতসই কয়েকটা গালাগাল দিলেন। কিন্তু মাথা ঠান্ডা হল না। অদ্ভুদ বাংলা অনুবাদ শব্দগুলোর, অবসেশান মানে আচ্ছন্ন, অন্ধাকারাচ্ছন্ন, আবেশ, বদ্ধসংস্কার, ঘোর? এরকম শব্দ বাংলায় কেউ ব্যবহার করে?


ফ্রিজিং রেইন

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৮/২০১৩ - ১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দীর্ঘ ছুটির পরে কাজে ফিরেছে মিলি। বিচ্ছিরি অসুখের চিকিৎসায় ভেঙ্গে পড়েছে শরীর। নিজেকে টেনে টেনে চলে ও। এ শহরের বাসগুলো ইচ্ছে করলেই নিচু করা যায়। বয়স্ক কিংবা হুইল চেয়ারের যাত্রী দেখলেই বাসের চালকেরা বাস নামিয়ে নিচু করে দেয়। কিন্তু মিলিকে বাইরে থেকে দেখে ওর শারীরিক অবস্থা বুঝার উপায় নেই। তারপরেও চালককে অনূরোধ করলে, নিচু করে দিতো যাতে বাস থেকে নামতে সহজ হতো। মিলি কিছুতেই তা করবে না। অদ্ভুত এক আত্মমগ্ন অভিমানে ডুবে আছে ও। তাই প্রতিবার বাসে ওঠা নামা করতে কষ্টে নীল হয় ও। নিজেকে নিজেই বলে, “কষ্টেরা নীলই হয়, মিলি, নীলই হয়...”