Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

বুকের বাঁশরী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৮/২০১৩ - ১১:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিকে দিকে রটে গেল হারু মাঝির বাঁশির কথা। আগে তো কেবল মাঝ নদীতে বাঁশি বাজাত। কখনো বর্ষার সন্ধ্যায় বা পূর্ণিমার রাতে একাকী লাগলে বাজাত। সেই বার যখন রাজার মন্ত্রী গ্রামে আসছিলেন, তখন মাঝ নদীতে তাঁর বজরার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল হারু মাঝির ডিঙি। তার ছেলে দাঁড় বাইছিল। মাঝি বোকাসোকা লোক। মন্ত্রীর বজরা দেখে কোথায় নৌকা থামিয়ে প্রণাম ঠুকবে আর সেবায় এগিয়ে আসবে, তা না। সে যেন এতবড় বজরাটা খেয়ালই করে নি এমন


বাদার বিক্রম - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ১৮/০৮/২০১৩ - ১১:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীর বুকে কোন এক স্থান। ভোররাত, ১৬৪৫ সাল।

নৌকার দুলুনি ছাপিয়েও পাটাতনের নিচে বসা বিক্রম টের পেল পাশের কিশোর ছেলেটি থরথর করে কাঁপছে। শিকলবাঁধা হাত নাড়ানো বেশ শক্ত তাই কনুই দিয়ে সে একটু ঠেলা দিয়ে বলল, এই কি হইসে?

হেঁচকি তুলে কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটি বলল, কানাই বলছে বেচার আগে আমাগো সবাইর নাকি বিচি কাইটা দিব? সত্য দাদা?


চড়

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ১৭/০৮/২০১৩ - ৪:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের সবাইকে তাজ্জব করে প্রফুল্ল আমার কানের উপর বিশাল একটা থাবড়া মেরে বসলো। আমি কখনো ভাবিনি এই জায়গায় আমাকে কখনো থাবড়া খেতে হবে। কুংফু কারাতের সকল প্রতিরক্ষা ব্যর্থ হয়ে আমি গড়িয়ে পড়লাম ৯ নম্বর মাঠের কোনায়।

হারামীটাকে আমি একটু আগেই আইসক্রিম কিনে খাওয়ালাম। আইসক্রিমের ঝোল এখনো তার ঠোঁটের কোনায় লেগে আছে। তবু সে এভাবে মারতে পারলো?


বন্ধু, বন্ধুত্ব অথবা একজন ক্লাসমেটের গল্প

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব ময়ূখ রিশাদ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৮/২০১৩ - ১০:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

# এনাটমি ডিসেকশন রুমের বুড়ো কংকাল আজ কেমন আছে? ক্যালসিয়ামের অভাবে ক্ষয়ে গিয়ে কী ঝরে পড়েছে মাটিতে? সুভাষ দাদু তার শত ব্যবহার্য ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলেছেন সব? ডিসেকশন রুমে ঢোকার মুখে বড় বড় তিনটা চৌবাচ্চার মতো বাথটাবে ফরমালিন গোসল কেমন হচ্ছে নাম না জানা মানুষগুলোর?


পরিমামার গল্প

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৮/২০১৩ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- পিউ, ওরে ও পিউ।

পরিমামার গলা পেয়েই মন ভালো হয়ে গেল। পরিমামা অর্থাৎ পরিতোষ-মামা সম্পর্কে লতায়-পাতায় দূর সম্পর্কের। কিন্ত মনের হিসাবে তিনি এ বাড়ির সবার-ই খুব কাছের জন। সেই কোন ছোটবেলে থেকে উনি মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ি এসে ঘুরে যান! পরি-মামা এসেছে মানে গল্প এসেছে। সবাই জানে পরিমামার গল্পের কোন বাস্তব-অবাস্তব নেই, সম্ভব-অসম্ভব নেই। যেমন একদিন এসে বলল
- চাঁদে ঘুরে এলাম। আমি যখন চাঁদে বসে বই পড়তে পড়তে পড়া থামিয়ে হাত নাড়ছিলাম এখান থেকে অনেকে আমায় দেখে হাত নেড়েছে।
আমরা জানি সেটা হয় না। কিন্তু পরিমামাকে সেই প্রশ্ন করতে নেই। বরং জিজ্ঞেস করতে হয়
- তারপর?
আর তখন গল্প এগোতে থাকে। একটু পরে পরে এক কাপ চা, সাথে টুকটাক মুখে ফেলার মত কিছু। ব্যস, গল্প চলতে থাকে।


দিপুর গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৮/২০১৩ - ১০:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিপু যেনো বিশ্বাসই করতে পারছিলো না! আজ এই পরিস্থিতিতে সে সন্ধ্যাকে দেখবে কখনো চিন্তাই করেনি। সন্ধ্যাও দিপুকে দেখে চমকে উঠলো। মুহূর্তটা ফ্রিজ হয়ে থাকলো কিছুক্ষন। দিপুই প্রথম প্রকৃতিস্থ হলো। সন্ধাকে এড়িয়ে ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসারকে জিজ্ঞেস করলো রোগীর আত্নীয় স্বজন কেউ আছে কি না।


অণুগল্প - প্রশ্ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৪/০৮/২০১৩ - ৫:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শহরে হঠাৎ জলোচ্ছাস। তীব্র স্রোতে ভেসে যাচ্ছে অনেক কিছু। বাজারের জ্যান্ত মাছ, পাখিসুদ্ধ পাখির খাঁচা, রিকশা, টং দোকান...আরো অনেক কিছু। মানুষও ভেসে যাচ্ছে। তবে শহর হওয়ার কারণে মানুষ ভাসছে কম। কেউ স্থির বাসের ছাদে, কেউ একতলা একতলা বাড়ির ছাদে, কেউ গাছে, কেউ বা জানালার সানশেডের উপর আশ্রয় নিয়েছে। স্রোত আর মানুষের চিৎকারের শব্দ চারিদিকে। প্রকৃতির এই আচমকা স্ফুর্তিতে সবাই আতংকিত, ভীত এবং কিছুটা বিহ্বল।


ভোঁতায়ন

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ০৩/০৮/২০১৩ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের গ্রামে হেলাল চোরা খুব জনপ্রিয় ছিল মাইর খাওয়ার জন্য। যখন-তখন যে কারো তাকে লাত্থিগুঁতা দেবার অধিকার ছিল বলে তার নামে থানায় যেমন কোনো মামলা ছিল না তেমনি তাকে নিয়ে কোনো বিচার সালিশও হতো না কোনোদিন। কারো ইচ্ছা হলে তার উঠানে গিয়ে ডাক দিলেই হতো- এই হারামজাদা বাইরে আয় তোরে পিটাব এখন...


দুর্ধর্ষ দুরন্ত দল এবং ডাকাত সংক্রান্ত গল্প

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০২/০৮/২০১৩ - ১০:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ওহোহ-হোওওওওও! বাড়ী’র কাছ থেকে হালিম ভাইয়ের চিৎকার ভেসে আসে, সাথে একটা ছয়-ব্যাটারি’র টর্চ তিনবার জ্বলে আবার নিভে যায়। আমরা (আমার বন্ধু নরজুল দ্রষ্টব্য) সবাই বসে আছি স্কুল ঘরের বারান্দায়, সেখান থেকে সমস্বরে আমরা-ও চিৎকার দেই- ওহোহ-হোওওওও!