Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

ইনফার্নো

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ৮:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“মৌ, দেখো, গণ্ডোলা! আমরা গণ্ডোলায় চড়ব!”


গ্রাম বাংলার উপকথা : ছালাবুড়ির গল্প

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৬/২০১৩ - ৫:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক গ্রামে টুইন্না কইয়া এক পোলা আছিলো। বড্ড দুরন্ত আছিলো টুইন্না, সারাদিন দুষ্টামি করতো। কখনো এর গাছের আম পাড়ে, কখনো তার গাছের লিচু খায়। সবসময় একটা না একটা কিছুতে তার দুষ্টামি আছেই। টুইন্নার জ্বালায় তার বাপ মাও অতিষ্ঠ। পড়াশুনায় মন নাই। পাঠশালায় গেল কি গেল না, সারাদিন হয়তো দেখা যাইবো খেলার মাঠে, নয়তো কারো বাড়ি গিয়া ফলমূল চুরি, এই-ই চলে। লোকজন আগে বাপ মারে নালিশ করতো, এখন নিজেরাই লাঠি নিয়া দৌড়ায়।


কনে দেখা অন্ধকার

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ১২/০৬/২০১৩ - ৮:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাজ্জাক ঘটক একটু গলাখাকারি দিয়ে বললেন,
- মেয়ের সবই ভালো খালি একটু মুখ খারাপ।
আমি উৎকণ্ঠিত হয়ে বললাম,
- চেহারা খারাপ? মুখে ব্রণ ?
- না না, চেহারা মারাত্মক। স্কিন খুবই সুন্দর। মুখ খারাপ মানে একটু মুখের ভাষা একটু খারাপ আরকি।
- ও, ব্যাপার না।


লেনদেন মোহর

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শনি, ০৮/০৬/২০১৩ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বড়মামা ক্ষেপে উঠে বললেন, দুই লাখ থেকে চার আনাও বেশী না। তুই কথা না বলে মুখে টেপ মেরে বসে থাক। এমন কোন হালুয়া মেয়ে না যে বিশলাখ টাকা দেনমোহর দিতে হবে।

মামার বলার দরকার ছিলোনা, আমি এমনিতেই মুখে টেপ না হলেও রুমাল মেরে বসে ছিলাম। তবে মেয়ে একটু হালুয়া আছে। গাজরের না হলেও সুজির তো অবশ্যই।

মেয়ের খালা বললেন, মেয়ের বড়বোনের বিয়ে হয়েছে বিশ লাখে। ছোটবোন কি বানের জলে ভেসে আসছে?


গ্রাম বাংলার উপকথা : বাইল্লাচুলীর গল্প

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৬/২০১৩ - ৪:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোন এক গ্রামে এক বুড়ি আর তার মাইয়া থাকতো। বুড়ির চাল-চুলাই সম্বল। বুড়া মারা গেছিল সে অনেকদিন আগে। রাইখা গেছিল একটা ছাগল। গ্রামের এক কোনায় বুড়ির বাসা। বাসার থিকা একটু হাঁটলেই বন। বুড়ির মাইয়া ঐ বনে ছাগল চড়াইতো, পথের ধারের শাক-লতা-পাতা, গাছের ফল কুড়াইতো, লাকড়ি টুকাইতো। সেই শাক লতাপাতা খাইয়া আর বাড়ি বাড়ি লাকড়ির যোগান দিয়া কোনমতে তাগো দিন কাটতো। বুড়ির মাইয়ার নাম আছিলো দুলি।


পোস্টার

দীপ্ত এর ছবি
লিখেছেন দীপ্ত [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৬/২০১৩ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমজাদ মিয়া কবে থেকে শহিদুলের দোকানের সামনে দাঁড়ায়ে থাকা শুরু করে তা টিকাটুলি এলাকার মানুষের স্মরণে আসে না। নবাব আলির কাছে শুনলে চায়ের কাপে কনডেন্সড মিল্ক মেশাতে মেশাতে সে জানায়, যে বছর এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি হয় আর এক সপ্তাহের মধ্যে ড্রেনে চারটা লাশ ভেসে ওঠে, সেই বছরের বর্ষাকালে আমজাদ মিয়াকে প্রথম টিকাটুলি বাজারের পুবদিকের ঘিঞ্জি গলির শেষ মাথায় শহিদুলের মোবাইল রিচার্জের দোকানের সা


ক্লিমেন্তিনের মৃত্যুর পর।

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: রবি, ০২/০৬/২০১৩ - ৮:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার এখন নিজেকে বর্ষার পর পিচ উঠে গিয়ে গর্তে ভরে যাওয়া সড়কের মত মনে হয়। হৃদয় বল, মন বল- আমার সমগ্র অস্তিত্বে এখন শুধু ক্ষত আর ক্ষত। একটা বিশাল ক্লান্তি। ঝড়ে বিধ্বস্থ ফসলের মাঠের মত এলোমেলো হয়ে গেছি। ক্ষতগুলো সারতে ক'দিন লাগবে জানিনা, আদৌ সারে কিনা কে জানে।অনেকে বলে, সময় সমস্ত শোকের অসুখ সারিয়ে তোলে। আমি নিজেও বলেছি একথা কয়েকজনকে, এখন মনে পড়ছে। কিন্তু আমার উপর আঘাতগুলো এসেছে একটার পর আরে


ফিশট্যাঙ্ক দেখে চিন্তাভাবনা

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৫/২০১৩ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফিশট্যাঙ্ক দেখে চিন্তাভাবনা


বৃত্ত

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৫/২০১৩ - ৭:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

।।এক।।

ছুটির দিনের শেষ বিকেল। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। আনোয়ারা বেগম বসে আছেন আট তলার ফ্ল্যাট বাড়ির ড্রয়িং রুমের সামনের এক চিলতে বারান্দায়। সদ্য বৃষ্টির পরের রোদটা তেমন জোরালো না। ফ্লাট বাড়িটার সামনেই রাস্তা। রাস্তার ওপারের মুখোমুখি বাড়িটা দোতলা। অনেক গাছ গাছালীতে ভরা। তারপর সামনে যতদূর দৃষ্টি যায় সারি সারি উঁচু উঁচু বিল্ডিং। আকাশে এখনো দল বেঁধে চলেছে মেঘের সারি। মেঘের দলের ফাঁক দিয়ে এক চিলতে রোদ এসে পড়েছে সামনের বাড়িটার জানালার ছাদে, কার্নিশে। ফুরুৎ করে একটা ছোট্ট শালিক উড়ে এসে বসল কার্নিশের ওপর। সরু চঞ্চু দিয়ে জমে থাকা বৃষ্টির পানি শুষে নিচ্ছে শালিকটা। ওর দেখাদেখি আরও একটা শালিক উড়ে এলো। এক টানে অনেক খানি পানি খেয়ে নিলো দ্বিতীয় শালিকটাও, যেন অনেক দিন খায় নি এমন স্বাদু বৃষ্টির পানি।


শেষ গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৬/০৫/২০১৩ - ৯:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]রুমটায় খুব অস্বস্তি হচ্ছে আমার। যেন এখানে কিছু একটা অশুভ ব্যাপার আছে, যেন কেউ এ রুমটাকে কোন এক অভিশাপ দিয়ে গেছে। গা গুলানো একটা ভাপসা গরম এখানে, যেন এক টুকরো নরক। ছাড়াছাড়াভাবে কিছু স্মৃতি মনে পড়ল আমার। গত কদিন ধরে নতুন ধরনের এক হতাশায় ভুগছি আমি। জীবনের অর্থ, বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা, মহাবিশ্বের অপার বিশালতা- এসব বড় বড় ব্যাপার নিয়ে ভাবার চেষ্টা করছিলাম আমি। এক সময় বুঝতে পারলাম য