কেতুব ও বদি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে- এখন তাদের কি করা উচিৎ তা ভেবে পায় না। বদি আলের পাড়ের শুকনা খড়ের মত উশখুস করতে থাকে – ভেজা এঁটেল কাদার মত নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে কেতুব বলে ওঠে – ‘ও তাতেন কি আর করবা-লও ছালখান ছাড়ায়া লই’, তাতেন কেতুবের দিকে হিংস্র চোখে তাকায় ভেজা ভেজা কন্ঠে বলে ওঠে ‘তুমি জাননা,ল্যাদা আমার ছাওয়াল এর লাহান?’ প্রত্যক্ষ অপমানে কেতুবের কালো চামড়ায় ভাঁজ পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বদ
আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। আকাশ মেঘলা থাকার কথা কিন্তু আকাশ মেঘলা না। প্রচন্ড রোদের তাপ। মাঝে মাঝে মৃদু বাতাস বইছে। কিছুক্ষন আগে ওহাব সাহেবের চাকরীটা চলে গেল। ওহাবের চাকরীটা চলে যাবে এটা জানা কথা। প্রতিদিন দেরি করে অফিসে আসলে চাকরী থাকার কথা না। অবশ্য এই নিয়ে ওহাব সাহেবের কোন আফসোস নেই। এবার একটু অবসর পাওয়া গেছে। অনেক দিন দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। ঘোরা-ঘুরির শখটা ওহাব সাহেবের ছোট বেলার। এখন দুপু
[justify]মিন, মিনু, মিনি - এক ভাই, দুই বোন। বয়স সপ্তাহখানেকের মত হল। ছোট ছোট পাখা গজিয়েছে সবেমাত্র। উড়াউড়ির প্রাইমারী ট্রেনিংটাও মোটামুটি রপ্ত হয়েছে তাদের। ব্লাড সাকিং মেথডোলজি সম্পর্কে থিওরিটিক্যাল জ্ঞান রপ্ত করলেও, প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিংটা এখনো করা হয়ে উঠেনি ওদের। এতদিন তো মা নিয়ে আসতো, আর ওরা আরামসে চুষে খেতো। তবে সেই সুখ বোধহয় আর বেশিদিন থাকার নয়। কারণ জীবনের প্রথম শিকার অতিশীঘ্রি সম
১.
পুলিশ ষ্টেশনের ঘন্টা যেন কেমন! একঘেয়ে, বিষন্ন আর মাঝে মাঝে ভূতুড়ে! রাত ১২ টার ঘন্টা আরও বেশি কেমন কেমন! একে তো মাঝরাত তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার ঘন্টা এই সময় টাতেই বাঁজে।
ঢং ঢং ঢং...
গুনে গুনে ১২ বার। রাতের নিরবতা আর গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে প্রতিটি ঘন্টার বাড়ি যেন বুকে এসে আঘাতকরে। আর যদি সেই ঘন্টা শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়, তাহলে তো কথাই নেই।
[justify]
রেজওয়ান বলল, ‘ফারুকের বাসায় যাবি নাকি?’
আমি জবাব দিলাম না। আগের মতই সিগারেট টানতে টানতে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলাম। স্রোত আসছে-যাচ্ছে। ব্রীজের উপর থেকে নদীটা অবশ্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না, অন্ধকারের সাথে কিছুটা অনুভব করে নিতে হয়। আমার বেশ লাগে। কতদিন এই নদী থেকে দূরে ছিলাম। এই নদীর দিকে চেয়ে থাকলে কেমন একটা হাহাকার ধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়।
মফস্বলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদবী নিয়ে যিনি জীবন যাপন করেন, তিনি সৎ,আদর্শবান নিরীহ টাইপ হবেন এটাই স্বাভাবিক। রাম নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন সাহেব এর ব্যতিক্রম নয়। উনি উনার জীবনটা একটা নির্দিষ্ট রুটিনের আওতায় প্রায়ই কাটিয়ে দিয়েছেন। ফজরের নামাজ পড়ে একটু হাঁটাহাঁটি করেন। ঘরে এসে স্ত্রীর সাথে গল্প করে করে বেলা বিস্কুট দিয়ে চা খান। তারপর ছেলেমেয়েদের ঘুম
অনেক ক্ষণ ধরে আমি এই বিশাল রুমটাতে একলা আছি। মাঝখানে একজন বামুন টাইপ লোক এসে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে গেছে । তীব্র ফিনাইলের গন্ধ পাচ্ছি । কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো কাজ শুরু হয়ে যাবে ।
মাথার উপর একটা বিশাল ফ্যান ঘড় ঘড় শব্দ করতে করতে ঘুরে যাচ্ছে।যতটা না বাতাস পাওয়া যাচ্ছে তার চেয়ে শব্দই বেশী হচ্ছে । রুমের দেয়ালে চুনকাম করা। সেখানে এক কোণায় দেখতে পেলাম লাল কালিতে বড় বড় করে লেখা
আমি গল্পকার নই। তবুও গল্প ঘোরে মাথার ভিতরে। কোনোটিই পরিণতি পায় না। অর্ধেক মূর্ত হয়ে বাকিটুকুর প্রার্থিতায় মাথাকুটে মরে। তাকে সঙ্গত দিতে আমিও সঙ্গি হই তার। তাই এ লেখাকে গল্প না বলে গল্প ভাবনার পরিণতি প্রত্যাশা বলাটাই ভালো। এটা একটা প্রচেষ্টা । দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে এটা বেসুরো ঠেকবে হয়তো। মন্তব্য জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
রোদ ধরা খেলা
আগেকার দিনে পরিবারের নানী-দাদীরা বিশ্বাস করতেন, সদ্যভূমিষ্ঠ সন্তানের মুখে কয়েক ফোঁটা মধু দিলে নাকি সে বড় হয়ে মিষ্টভাষী/মিষ্টভাষিণী হয়। কিন্তু সদ্যভূমিষ্ঠ সন্তানের আনন্দে আত্মহারা পিতামাতা যদি মধু জোগাড় করতে মধুরভাবে ব্যর্থ হন তাহলে চিনি কিংবা স্যাকারিন এর প্রয়োগ ঠিক একই কর্ম সম্পাদনে ব্যবহৃত হতে পারে কিনা এই বিষয়ে তারা কিছু বলে জান নাই। কেউ এর প্রয়োগে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন বলেও আমার অন্তত জানা নাই।
ব্যস্ত সমস্ত নগরীতে সকাল হয়েছে বেশ খানিকটা আগেই, শহর ঘুমায়না, শহর জেগে থাকে তার বাড়ন্ত সুসময়ের সন্ধিক্ষণে এমনকি তার ধংসাস্তুপের মর্মর ধবনি শোনার আগ পর্যন্ত সে জেগে থাকবে। সুতরাং শহরের ঘুম ভাঙ্গার প্রশ্নই ওঠে না, বরং এই বনসাই আর বারান্দার মানিপ্ল্যান্ট পরিবেষ্টিত শহরে পাখি বলতে যে কেবল কাক ই অবশিষ্ট আছে তা আশে পাশে তাকালে স্পস্টই বোঝা যায়। শহরের সবচে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তা প্রান বিবর্জিত আবার