Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

প্রজন্ম

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৪/২০১৩ - ১০:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাইভেট অফিসে ‘অফিস টাইম’ বলে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই, তবে ঢাকা শহরের প্রতিটি রাস্তাতেই বাধ্যতামূলক জ্যাম যে থাকবেই তা এখন ধরাবাঁধা এক নিয়ম হয়েই দাঁড়িয়েছে । কোনোদিনই তাই রাত ন’টার আগে বাড়ী ফেরা হয় না উজ্জলের। অফিস গুলশানে আর বাড়ী শ্যামলীতে, পথে হুজ্জৎ কম নয়; তবু রাত ন’টা পার হয় না কখনও। উজ্জলের বৌ মিথিলা দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ডাক্তার বলেছেন পরের সপ্তাহেই প্রত্যাশিত তারিখ। এ সময়টা সত্যিই বিপজ্জনক, মিথিলাকে সব সময় চোখে চোখে রাখতে হয়।


বৈশাখী মেলায় কাজলাদিদির দাওয়াত ছিল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৪/২০১৩ - ১০:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পয়লা বৈশাখে আমি তোমার সাথে মেলায় যাব। প্রথমে মাটির প্লেটে আমি পান্তা ইলিশ খাব। আমি জানি ইলিশে তোমার এলার্জি আছে। তাই তুমি খুব ঝাল মরিচ আর ঝাঁঝালো পেঁয়াজ দিয়ে পান্তা খাবে। মরিচ আর পেয়াজের ঝালে তোমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়বে, আমি আমার শাড়ির সাদা আঁচল দিয়ে সে পানি মুছে দেয়ার সময় মিটিমিটি হাসবো। সেই দৃশ্য আমার বান্ধবী কাজলা তার মেঠো ফোনের হাই রেজোলেশন ক্যামেরা দিয়ে বন্ধী করবে। কাজলা সেই


কামরুলের ইন্টারভিউ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৪/২০১৩ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘরের বাতিটা নিভিয়ে তারাতারি শুয়ে পড়ল কামরুল। আগামীকাল তার ইন্টারভিউ আছে। এর আগেও সে দুটি ইন্টারভিউ দিয়েছে। কোনটাতে তার চাকরী হয়নি। শুয়ে শুয়ে ঘরের চালের দিকে তাকিয়ে সে ভাবছে পুরনো দিনের কথা। কত তারাতারি সময়গুলো চলে গেল। ভাবতেই অবাক লাগে। মশাড়ির ভিতর কয়েকটা মশা ভনভন করে উড়ছে। চাকরিটা পেলে একটা মশারি কিনতে হবে। ইতিমধ্যে মশারীতে কয়েকটি তালি মারা হয়ে গেছে। এই মশারি থাকা আর না থাকা একই কথা। চাকরি পেলে ত


একটি নিরীহ কৌতুক (অনুভূতিতে আঘাত লাগার কুনু চান্স নাই!!!)

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৪/২০১৩ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল কৌতুক করতেও ভয় ভয় লাগে কেমন যেন! সবার যে অনুভুতি প্রবণ মন,কে কোন্‌ দিক দিয়ে আঘাত পেয়ে বসে বোঝা মুশকিল। তারপরও ভাবলাম বলে ফেলি একটা নিরীহ গোছের কৌতুক,কিই আর হবে! আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে শুরু হওয়া আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা দেখে কয়েকদিন ধরেই এই গল্পটা মাথায় ঘুরছিল-


ওরা

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ (তারিখ: বুধ, ১৭/০৪/২০১৩ - ১:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কখন, কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে এবং তা কে ঘটাবে সে সম্বন্ধে জানতে রাষ্ট্রযন্ত্রের এখনো বাকি……হারবার্ট, নবারুণ ভট্টাচার্য


বড়দের ঈশপের গল্প ৬: ফোনের অপর পার্শ্বের লোকটি

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফুল আরেফীন (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৪/২০১৩ - ১০:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.

: হুজুর ঐ লোক আসছে।
: একজন মাত্র?
: জ্বী না হুজুর, চারজন আছে। দুই পরিবার। খুবই গরীব।
: আশেপাশের না তো? বুঝই তো।
: না না ... সেই একেবারে বর্ডার এলাকার লোক এরা। ওয়াজ শেষ হইবো, সাথে সাথে ট্রেনে তুলে দেব। পরের বেলাতেই শহরের বাইরে।
: ঠিক মতন সব বুঝাইছো তো ওনাদের? বিষয়টা সুন্দরভাবে বুঝানোর জরুরত আছে।
: জ্বী হুজুর। বুঝানো হইছে।


ছেঞ্ছেতিব

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৪/২০১৩ - ৮:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোকরা দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলে, উ উ উ উ ডাক্তার সাব ব্যথা।
আমার প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ হয়ে গেল এবার। এইরকম আজব পেশেন্ট আমার বিশ বছরের জীবনে দেখিনি। আর কসম খোদার আমি বিশ বছরের ডাক্তারি জীবনে নিতান্ত কম দেখিনি। একবার এক রোগী এসে কাঁচুমাচু হয়ে আধা ঘণ্টা বসে ছিল। বারবার জিজ্ঞেস করি সমস্যা কি। মিনমিন করে লাজুক গলায় কি যেন বলে। অবশেষে একটা ধমক খেয়ে একটু জোর গলায় বলে,
- ডাক্তার সাহেব আমার হিট হয়না।


মতি সমাচার

সুবোধ অবোধ এর ছবি
লিখেছেন সুবোধ অবোধ (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৪/২০১৩ - ৩:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মতি সাহেব বড়ই ফাঁপড়ে আছেন! দুই পক্ষের চাপাচাপিতে একেবারে চিড়েচেপ্টা অবস্থা। তার বিশাল বক্ষও শুকিয়ে চিমসে মেরে গেছে। আগে তিনি বক্ষ যেন না বুঝা যায় সেজন্য শার্টের নিচে টাইট স্যান্ডু পড়তেন। অথচ এখন টি-শার্ট পড়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ তাকাচ্ছেও না। এটা অবশ্য একটা ভাল ব্যাপার। কিন্ত ঝামেলা লেগেছে অন্যখানে! গতকাল রাতে এক সুললিত কন্ঠের নারী ফোন করে বলল-“মতি ভাই,ভাল আছেন?”


অহর্নিশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৪/২০১৩ - ২:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমাদের ঘরে রাতের বেলা কখনও আলো জ্বলে না।

সবই ঠিক আছে। সবার মত আমরাও সকালে উঠি, গোসলে যাই। খেয়ে-টেয়ে যে যার কাজে যাই, আবার ফিরে আসি। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় সন্ধ্যা হলেই। ঘরে আলো জ্বালানো হলেই মা চেঁচিয়ে বলেন, ‘আলো জ্বালাইল কে রে? কে জ্বালাইল? ওরে চোখ যে জ্বালা করে...’


দুইটি বিভ্রান্ত খণ্ড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৩/০৪/২০১৩ - ১১:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় গল্পকার শাহাদুজ্জামানকে

১।