আমাদের ক্লাসের অপু আর দীপুর নাম কিভাবে লছাগু গছাগু হয়ে গেল সেই গল্প বলি। অপু আর দীপুর মধ্যে মিলের চেয়ে অমিলই বেশী ছিল। অপু লম্বা, চিকন। অপুর বুদ্ধিশুদ্ধিও বেশ লম্বা লম্বা, চিকন চিকন। ক্লাসের ফার্স্ট বয় না হলেও পড়াশোনায় ভালোভাবেই উতরে যেত। খেলাধুলায় ভালো। আবার বিতর্ক করতো বেশ। দীপু গোলগাল, বেঁটে। বুদ্ধিও বেশ গোলগাল। পাশ ফেল ছাড়াও বিবেচনায় উত্তীর্ণ বলে যে একটা গ্রেড আছে সেটা আমরা দীপুকে দেখে
কিছু কিছু দিন আসে যার পুরোটাই খারাপ। এমন দিনের শুরু হয় ঘড়ির অ্যালার্ম ঠিকমতো না বেজে। এরপরে তাড়াহুড়ো করে শেভ করতে গিয়ে গাল কেটে যায়। গাড়ীতে উঠে দেখা যায় তেলের কাটা শূন্যের কাছে। স্টারবাকস এ কফি নিতে গিয়ে দেখা যায় রুম ফর ক্রিম বলার পরেও ব্যাটারা টইটুম্বুর করে কফি ভরে দিয়েছে। পেছনের গাড়ীটা অযথাই হর্ন দিয়ে মেজাজ খারাপ করে দেয়। কিউবে যাবার পথে বসের সাথে দেখা হয়ে যায়, আড়চোখে একবার ঘড়ি
সন্ধ্যার আগে বৃষ্টি হয়েছে। এখনো জলের গন্ধ আসছে।
মফস্বলের ছোটো একটি শহরের একপ্রান্তে টিনের ঘর। তার বারান্দার বসে আছে মথি উদয় ও হারাধন। এই দুজনকে পণ্ডিত স্যার বিশেষ স্নেহ করেন। একা মানুষ তিনি। স্কুল শেষে তার বাড়িতে এ রকম দুটি-একটি ছেলেকে পড়ান।
বসন্ত কাল। জ্বলন্ত হলুদে ঝলসে আছে প্রকৃতি। চারপাশে এতো হলুদ যে চোখ ঝাঁঝিয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে থাকা বন। হঠাৎই গাছে গাছে বিদ্রোহ শুরু হল। চারপাশ দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। হুতাশন, সর্বত্র হুতাশন। নাকে এসে পোড়া গন্ধ জ্বালা ধরায়। ধড়মড় করে জেগে উঠলেন রংবালা। ততক্ষণে আগুন স্নানঘর, রান্নাঘর ছাড়িয়ে পাশের ঘরের পূবদিকের আলমিড়া পর্যন্ত চলে এসেছে। স্বপ্ন ও জাগরণের দ্বিধান্বিত সাঁকো পার হতে কয়েক সেকেন্ড সময়
ইউসুফ মিয়া গাড়ি নিয়ে বেরুনের সঙ্গে সঙ্গেই একটা ভাল খ্যাপ পেয়ে গেলো। ছেলেটার মাথা দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ছে। মেডিক্যাল যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভাড়াটাও বেশি পাওয়া যাবে। আবার মেডিক্যাল থেকে ভাল ফিরতি খ্যাপও পাওয়া যায়। মেডিক্যালের ভাড়া মারতে তার সবচেয়ে ভাল লাগে। অসুস্থ, দূর্বল, মৃতপ্রায় লোকগুলো বেশি ভাড়া দিতে কৃপণতা করে না।
[justify]
বন্ধ দরজা খুলে শেখ মুজিবুর রহমান বেরিয়ে এলেন। দেরী হয়ে গেছে। বেলা আড়াইটায় রেসকোর্সের সভা আরম্ভ হবে কথা ছিলো। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের নানা আলোচনায় এই ৩২ নম্বরেই আড়াইটা বেজে গেলো।
দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু হল সূর্যের আলো ফুটতেই। সকালে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম সকাল ৭.৩০ টার মধ্যেই। আবার ও ভাত আর মুরগি, সাথে ডাল। পথে খাওয়ার জন্য বিস্কিট কিনে নিলাম সবাই কারণ মাঝে খাওয়ার জিনিস কেনার মত জায়গা পাওয়া যাবে না। হালকা ওষুধপত্র ও কেনা হল।
পশুসমাজে শিয়ালের স্থান খুব একটা সম্মানজনক না হলেও রাত বিরাতে তাদের হুক্কাহুয়ার চিৎকার শুনলে মনে হবে এই বনে একটাই মাত্র প্রাণী -তার নাম শিয়াল। অথচ এই বনে শিয়াল ছাড়াও অগুনতি পশু আছে। হাতি, ঘোড়া, বাঘ ভাল্লুক সিংহ বানর গরু ছাগল সব রকমের পশু বাস করে শান্তিপূর্নভাবে।
শাহবাগ বাসস্ট্যান্ডের একটু সামনের দিকেই যেই পেট্রোল পাম্পটা, আনিস প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে সেইখানে দাঁড়ানো। চেহারায় বিরক্তি এবং উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। এমনিতেই বাসা থেকে বের হতে দেরি হয়ে গেছে, তারউপর একটাও ক্যাব পাওয়া যাচ্ছেনা।
মধ্য বয়সে এসে এমন একটা ক্যাচালে জড়িয়ে পড়বেন স্বপ্নেও ভাবেননি খবিরউদ্দিন। বিশ বছর ধরে সরকারী চাকুরী করে যা কামিয়েছিলেন তা দিয়ে শহরে দুইটা বাড়ি তৈরী করে বউ বাচ্চা নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন। আরো দশ বছর এই চাকরীতে আরাম করে কাটানো যাবে।