১। একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। স্বপ্ন , অথচ এত স্বাভাবিক ঘটনার মত আর এত স্পষ্ট যে স্বপ্ন বলে মনে হয় না প্রথমে। একটা কাহিনি, পরপর ঘটতে থাকা ঘটনামালা, ঠিক যেন একটা বহুমাত্রিক মুভি, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে চরিত্র গুলোর মনের ভাবও যেন দেখা যাচ্ছে নানা রঙের আলোছায়ায়। গোলাপি-সোনালি আলোর আনন্দ, ধূসরাভ নীল আলোর বিষাদ, সবুজাভ আকাশি আলোর ভালোবাসা, গাঢ় লাল আলোর রাগ, লালচে বেগুনী আলোর অভিমান, কচিকলাপাতা রঙে শিশির দোলা
তিনি মরিয়াছেন। তিনি মরিয়া বহু মানুষের উপকার করিয়া গেছেন আপাতত। জীবিত অবস্থায় উনার আস্ফালনে মহারাষ্ট্র রাজ্যটির রাজপাঠ এর স্বঘোষিত দন্ড উনার হস্তেই ছিল। নামকরণের মাহাত্ম মাথায় নিয়া তিনি বালের প্রতীক হইয়া উঠিয়াছিলেন
আগেকার পর্বগুলি এইখানেঃ
পর্ব ১ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46479
পর্ব ২ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46554
পর্ব ৩ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46617
পর্ব ৪ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46698
পর্ব ৫ –
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46791
~যবনিকা~
অনেক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল আফসারুল আমিনের। আসলে তিনি ঘুমানইনি। ঘুমের ভান করে পড়েছিলেন। মাঝখানে একটু তন্দ্রামত এসেছিল। তারপর যাকে তাই। না ঘুমিয়ে মড়ার মত ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করাটা খুব কষ্টের, অস্বস্তিকরও বটে। তবুও তিনি সেটা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ফিরোজার কারণে। ফিরোজা তার স্ত্রী। তিনি বারবার এপাশ ওপাশ করায় সে কছিুতেই ঘুমাতে পারছিল না। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে সে বলেই ফেলেছিল, “দিন শেষে শান্তিমত একটু ঘুমু
একটু বেলা করে ঘুম ভাঙ্গে শিশিরের। সে যতক্ষণে ঘুম থেকে ওঠে তার অনেক আগেই দৈনিক পত্রিকাটা দরজার নিচ দিয়ে বাসায় ঢুকে যায়। পেপারটা হাতে নিয়ে একটু পাতাগুলো ওলটায় শিশির। পেপার পড়তে তাঁর ভাল লাগে না। শুধু দুঃখের সংবাদ। তাঁর পরেও একটু চোখ বুলায়। হঠাৎ পেপারের একটা অংশে চোখ আটকে যায়। আর সাথে সাথে তার মনটাও বেশ ভাল হয়ে যায়।
স্বর্গে সূর্য অস্তমিত প্রায়। দূরে জায়হুন নদী বহমান। পাখপাখালির কলকাকলিতে সন্ধ্যার আকাশ মুখরিত। গুহা হইতে বাদুড়ের পাল আলস্যভরে গা ঝাড়িয়া ডানা ঝাপটাইয়া বাহির হইতেছে।
আদম একটি সরাইখানায় ইয়ার-বকশী লইয়া একটি টেবিল দখল করিয়া আড্ডা গুলজার করিতেছে।
আদমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিবরিল সন্দিগ্ধ কণ্ঠে কহিল, কিন্তু শয়তান কেন তোমার স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছে?
কাল রাত থেকে এখন দুপুর। কোনো দানাপানি পেটে পড়েনি। কোনোকিছু কিছু মুখে দিতে পারেনি। এ অভিজ্ঞতা একেবারে নুতন। আচম্বিত আকস্মিক। গত সন্ধ্যেয় যখন মাথাগরম হয়, একবার ভেবেছিল তমালের বাসায় যাবে। সেই একজন বন্ধু যার কাছে মন খুলে সব বলা যায়। বলার মধ্যে সে যত তিক্ততার কথা হোক। কিংবা দুঃখের। মনে এক আশ্চর্য হাল্কাবোধ এসে যায়। খানিকক্ষণ সে ভাবনা নাড়াচাড়া করে। তারপর বুকের মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে আবার চুপসে গেল। না যাবে ন
আজ অনেকদিন পর মায়ের বাসায় নিজের পুরনো বই-খাতাগুলো নিয়ে বসলো নূপুর। টেনে নিলো বেশ ক'বছরের অবহেলায় ধুলো জমা গাদাখানেক নোটবুক। যেন খুঁজে পেয়েছে এমন একটা ভাব করে তুলে নিলো সেখান থেকে একটা, দ্রুত হাতে উল্টাতে থাকলো ওটার পাতাগুলো, শেষে এক জায়গায় এসে থেমে গেলো সে, চোখ আটকে থাকলো ছোট্ট একটা লাইনে -- 'আমার নাম সাজেদা'। কেউ জানলো না, কি তীব্র ঝড় বয়ে যেতে লাগলো তার ভেতর দিয়ে!
কোহিনুরের যমজ (১)
কোহিনুরের যমজ (২)
দিয়ার কথা