পর্ব চার –ফিরে দেখা
ঘরে ঢুকে আলো জ্বালাতেই থতমত খেয়ে যায় অনিক। ড্রইংরুমের সোফায় আয়েস করে লোকটা বসে আছে, সামনে ধোয়া ওঠা চা। অনিককে দেখে সে এমনভাবে হাসে যেন ও তার অতিপরিচিত জন। অথচ অনিক নিশ্চিত, এই লোকের সাথে তার পূর্বপরিচয় নেই! অনিককে ভড়কে যেতে দেখে লোকটা বেশ মজা পায়। হাসতে হাসতেই সে বলে, অনিক সাহেব আসস্লামালাইকুম। তারপর বসা অবস্থাতেই হ্যান্ডশেকের ভঙ্গিতে হাতটা বাড়িয়ে ধরে, আমি কাশেম। মোহাম্মদ আবুল কাশেম।
মৈথুনরতা বীচটার অভিব্যক্তিহীন মুখটা ভুলতে পারছে না শিরিন।
ব্যলকনিতে ইজি চেয়ারে দুলতে দুলতে স্ট্রীট লাইটের হলদে আলোয় অপার্থিব লাগছিল দৃশ্যটা।একটুও অশ্লীল নয়, বরং সৃষ্টি-তত্ত্বের একটা অঙ্কের নির্ভুল মঞ্চায়ন- মনোযোগ দিয়ে দেখল কতক্ষণ।
চাকরীটা হয়ে গেলো শুভর। ঠিক সে মুহূর্তে খুব সম্ভবত পৃথিবীতে ওর চেয়ে বেশী দরকার আর কারওই ছিলনা চাকরীটার। পাঁচ বছরের কন্ট্রাক্ট। ঠিক এক সপ্তাহের মাঝে জয়েন করতে হবে। হ্যা, ওরা প্রচুর টাকা দিবে। তবে
১.
একজন রানি এত সাধারণ হতে পারেন! কি সাদামাটা বেশভূষা! গায়ে দামী কোন অলংকার পর্যন্ত নেই! গরীব দেশের রানি হলেও না হয় একটা কথা ছিল। শম্পা তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকে টিভির ক্ষুদে পর্দাটির দিকে। তার দুচোখ থেকে ঠিকরে বেরুচ্ছে বিস্ময় রশ্মি! ঝরে পড়ছে মুগ্ধতা!
আগের দুই পর্ব এখানেঃ
পর্ব ১ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46479
পর্ব ২ -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46554
~ রাউন্ড ৩ – ‘অন্নপূর্ণার হেঁসেল’ ~
আছোঁয়া
---শাশ্বত স্বপন
প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মা কি যেন মন্ত্র টন্ত্র পড়ে মাথায় ফুঁকে দেন। আমি হাসি। আসলে মা’রা পারেও।সব সময়ই মা আতঙ্কে থাকেন এই বুঝি কিছু হল, কোন দাঙ্গা শুরু হল। মা’র ভাষায় আমরা সংখ্যালঘু। মা’কে কত বোঝাই, তোমার বাবা এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে গেছেন, তোমার আবার কিসের ভয়? তুমি আমার বন্ধু গুলাকে দেখনি? আমাকে দিনে একবার না দেখলে, খোঁচা না দিলে এগুলার পেটের ভাত হজম হয়?
প্রথম প্রথম যখন প্রেমের গল্প পড়ি, বয়স তখন ৬ কি ৭। মাথামুন্ডু তার কমই বুঝেছিলাম।
তবে ছেলে মেয়েতে যে রসায়ন ভিন্ন ধরনের তা বুঝতে বই পড়ার দরকার ছিল না। স্কুল ছিল সকল লিঙ্গের, সুতরাং বয়স কম থাকলেও ছেলে-ছেলে বা মেয়ে-মেয়ের রসায়নের চেয়ে ছেলে-মেয়ে রসায়ন ভিন্ন তা বুঝতে সময় লাগেনি।
শঙ্করের কথা
বছর দেড়েক হল কলকাতা ফিরে এসেছি। এসেই যা চাপ, কী-বোর্ডে আঙুল বসানোর সময়ই পাই না। অনেক কষ্টে পুজোর ছুটির মধ্যে এটা নামালাম। ভালো লাগ্লে বলবেন কিন্তু।
দিয়ার কথা