একটা ছেলের নাম বলুন।
খোকন?
আচ্ছা, ঠিকাছে। এইবার একটা মেয়ের নাম বলুন।
সুমি?
ঠিকাছে। ঐ যে দেখুন, রিকশায় চড়ে বেড়াতে বেরিয়েছে এক যুগল। খোকন আর সুমি। ঐ যে বেগুনি গেঞ্জি, ধূসর জিন্সের প্যান্ট পরা, ও খোকন। আর ঐ যে হালকা কমলা শাড়ি আর গাঢ় কমলা ব্লাউজ পরা ...।
ও-ই সুমি। বুচ্ছি।
বাহ, খুব অবজারভ্যান্ট আপনি। নিশ্চয়ই ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছিলেন?
হ।
আদম গলা খাঁকরাইয়া কহিল, আমার কোন প্রকার দোষ নাই। সব দোষ ঈভের।
কারাগারের বাহিরে দাঁড়াইয়া গিবরিল বিষণ্ন বদনে কান চুলকাইতেছিল, সে কহিল, তোমাকে তো বমাল ধরা হইয়াছে আদম। একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়িয়াছ। দোষ নাই বলিয়া কি পার পাইবে?
আগের পর্ব এইখানে -
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46479
ফিরে দেখা - পর্ব দুই – মেলায় মেলাই খাবার
নীলক্ষেতের রাস্তার পাশের দোকান থেকে ‘উইজডোম অফ বোনস’ বইটা কিনছিলাম। হঠাৎ চোখ পড়ে গেল ‘ইস্পাতে’র (How the steel was tempered) ওপর। সাথে সাথে মনে প্রচন্ড ক্ষোভ জেগে উঠলো । রাগের চোটে হাতে একটা বই নিয়ে মুচড়ানো শুরু করেছিলাম। আর দোকানদার মামা না ঠেকালে হয়ত ঝাপিয়েই পড়তাম ‘ইস্পাতে’র ওপর।
রোগমুক্তি
[justify]
কায়েস চৌধুরীর মাথার ভেতরে চিন্তা চলছে ঝড়ের গতিতে। সম্মেলনকেন্দ্রের ভেতরের মৃদু শব্দে চলা এয়ার কন্ডিশনারটাও পারছে না তার কপালের ঘামের ফোঁটাগুলোকে থামিয়ে দিতে। কফির কাপে চুমুক দিচ্ছেন কায়েস চৌধুরী। তেতো কফি- অন্য সময় হলে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন তিনি এটাকে- এই মুহুর্তে ভ্রুক্ষেপও করছেন না সেদিকে। ভয় পেয়েছেন, কায়েস চৌধুরী ভয় পেয়েছেন...
প্রথম যেবার তারা ফ্ল্যাট কিনল- চারতলার দুটো ঘর; নতুন বিয়ে, নতুন চাকরী, নতুন ফ্ল্যাট। জানালা গলিয়ে একটি চড়ুই পাখি একদিন সত্যি সত্যি এসে তার মাথার ওপর বসেছিল। সাহসী সে চড়ুইকে সে তারপর অনেক আদর করে জানালার বাইরে উড়িয়ে দিয়েছে।তখনো বিকেলের ছাঁদ ভালো লাগে, মধ্যরাত ভালো লাগে, নিয়ন্ত্রণ হীন শরীর ভালো লাগে।তখনও কাগজের বিশ্বস্ততাকে ভয়ানক মূল্যবান মনে হয়। তখনও-‘ওকে না হলে আমার আর আমাকে না হলে ওর জী
কোন এক মনোহর বৈকালের ঘটনা, হ্যাঁ; ঠিক কবেকার সংযোগ তাহা মনে নাই। তবে সেই দিনটি বড্ড মনোহর ছিল। আমাদিগের সহিত ঠেলাকাকার পরিচিতি ঘটিয়াছিল তাহা স্মৃতির পাতা ঝাড়িয়া বাহির করিতে পারি না আপাতত। তবে দিনটি মনোহর ছিল উহা মনে করিতে পারি। কেননা কাকার কুষ্ঠির নাম মনোহরপ্রসাদ বিশ্বাস এবং পরিচিতিকালে কাকা ঐ নামেই নিজের গুণকীর্তন করিয়াছিলেন। তবে সামান্য কাল অতিবাহিত হওয়ার পর কাকা আমাদিগের আড্ডায় থিতু হইলে স্কন্দ
~উপক্রমণিকা~
- “হ্যালো, রিমি পালের সাথে কথা বলা যাবে?”
- “হ্যাঁ, বলছি, আপনি কে বলছেন?”
[justify][left]আমি বা। বয়স একুশ। দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল। মাসে মাসে বাপের পাঠানো টাকা, হলের খাবার আর অল্প-স্বল্প পড়াশুনা আমার অবস্থা এক কথায় বোঝানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।