‘মায়ের সাথে প্রথম দেখা’ বাক্যটি পড়েই অনেকে হয়তো ভাবছেন এটা আবার কেমন কথা? জন্মের পর পরই তো মায়ের সাথে প্রতিটি সন্তানের প্রথম দেখা হয়। কিন্তু আমাদের ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। জন্মের পরও আবার দীর্ঘ সময় পার করে মায়ের সাথে প্রথম দেখা হয়েছে আমাদের।
জীবনটা বইতে ইচ্ছে করে না আর হাসানের। মনে হয় বিনা কারণেই বেঁচে আছে। আয়ু আরো হাজার বছর বেশি হলেও মনে হয় এ জীবন নিজের কোনো কাজে আসবে না। যে কবি বলেছিলেন, পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলই দাও, বাস্তবে তিনিই ছিলেন স্বার্থপর। অক্ষম আর ব্যর্থ একজন মানুষ। দারিদ্র্যের কারণে বিপর্যস্ত আর সমস্যা-সঙ্কুল জীবনে হয়তো কামনা করতেন, কেউ এসে তাকে সংকট থেকে উদ্ধার করুক। আর সেই অসাধু উদ্দেশ্য থেকেই হয়তো কোন
(১)
“হ্যালো, অরুন বাসু বলছি, কি খবর রাজেশ? ”
“পাকা খবর পেয়েছি স্যার, দীপক জালাল আজ বিকেলের জেট-এয়ারওয়েসের ফ্লাইটে কলকাতা পৌঁছচ্ছে।“
১.
‘লোকটার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখেছিস? কেমন একটা ঘোর লাগা ভাব! মনে হয় এই পৃথিবীতে না, অন্য কোন জগতে অবস্থান করছেন। কেমন পীর পীর লাগে দেখতে!’- যূথী খেতে খেতে বলছিল সুজানাকে। দিনব্যাপী প্রোগ্রামের এখন মধ্যাহ্ন বিরতি চলছে। কয়েক ঘণ্টা একটানা প্রোগ্রাম করে খিদেও পেয়েছিল খুব। তাই বেশ আয়েশ করে মধ্যাহ্ন ভোজন সারছিল ওরা।
চন্দন যদি সেই মুহূর্তে কিছু না বলে অন্যান্য সময়ের মতো চুপ করে থাকতো ,তাহলে হয়তো এখন এই রাতে অফিস থেকে ফিরে তাকে শুকনো মুড়ি চিবোতে হতো না। গতকাল ছিল ছুটির দিন। ছুটির দিনে রূপা সাধারণত ওর মার বাসায় থাকে। বেছে বেছে গতকালই কেন জানি ও ওর মার বাসায় যায়নি। সারাদিন ঘরের সব জিনিসপত্রকে একবার উত্তরমুখী করেছে তো আরেকবার দক্ষিণমুখী করেছে। কোনো জিনিসপত্র একই ডেকোরেশনে টানা একমাসের বেশি থাকতে পারেনা । এগুলোর চি
রাজ্জাক সাহেব একজন লেখক। বড় মাপের কিছু নন, মাঝারি মানের হয়তোবা বলা চলে। প্রতিযোগিতার বাজারে প্রকাশকদের ফরমায়েশি লেখা লিখেই একরকম টিকে আছেন। এ এক গুণ তাঁর স্বীকার করতেই হয়; কখনও বাংলা টেক্সট বইয়ের নোট লেখা, কখনও সংবাদপত্রের সাহিত্য পাতার জন্য চটুল প্রেমের উপন্যাস, আবার কখনও ছোট্ট মণিদের মন রাঙাতে রূপকথার মনভুলানো গল্প, সবকিছুতেই সমান দক্ষতায় হাত চলে তাঁর!
একটা সময় ছিল যতক্ষণ অফিসে থাকতাম ততক্ষণ ইন্টারনেটে যুক্ত থাকতাম। মানে আমার পিসিটা সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সংযোগ প্রাপ্ত ছিল। এক যুগেরও বেশী সময় এই সুবিধা নিয়ে কাজ করেছি। অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে ইন্টারনেট ঘুরে বেড়াতাম। অগুনতি ওয়বের মধ্যে গুগল, ফোরাম, ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদির ভেতরই সেঁদিয়ে যেতে থাকি ক্রমশঃ। বছরের পর বছর কেটে গেল, একটা সময় এসে দেখা গেল কাজের ফাঁকে ফাঁকে আর ইন্টারনেটে ঘুরছি না। ইন্টারনেটে
আমাকে ঘিরে জটলাটা ক্রমশ বাড়ছে। নানান বয়সী দর্শকের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু আমি। ৩/৪ জন ছাড়া বাকিরা অবশ্য খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে। তাদের চোখমুখ ঠিকরে যেভাবে ঘৃণা উপচে পড়ছে তা দেখে আমার এ অবস্থায়ও কেমন আমোদ বোধ হয়। ভাগ্যিস কেউ কোমল চোখে তাকিয়ে নেই। ঘৃণার ভাষায় এতো অভ্যস্ত হয়ে গেছি, মমতায় আর্দ্র দৃষ্টিতে ইদানীং গা চিড়বিড়িয়ে ওঠে।
আমি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম, বলে কি এই ছেলে!আবার বললো, হাতটা ধর ।
- না, তুই চলে যা ।
- পরে কিন্তু আফসোস করবি ।
- করবোনা ।
- হুমম, যে চোখে কাজল দেয়া ফরজ সেই চোখ আমার সর্বনাশের কারণ । থাক তুই, গেলাম ।