Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

সার্কিট হাউস রোড

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ২৬/০৮/২০১২ - ২:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"হারামীর বাচ্চা হারামী!!"

মেজাজটা বিলা হয়ে গেছে। সেই কখন ভাত খাইছি এখনো বিকালের নাস্তা করি নাই। বিকালের নাস্তাটা কি হবে তা অবশ্য ঠিক করা হয়নি। বিকালের নাস্তাটা সবসময়ই অনিশ্চিত থাকে। কখনো কলামুড়ি, কখনো বনরুটি- চা,কখনো কাবাব পরোটাও টুপ করে জুটে যায়।

এই রাস্তায় কেবল আমার রাজত্ব। এখানে আর কেউ আসবে না। বলা আছে, অন্য কেউ আসলে ঠ্যাং ভেঙ্গে হাতে ঝুলিয়ে দেয়া হবে। সেই কাজটা আমাকে করতে হবে না। করার লোক আছে। আমাকে শুধু আওয়াজ দিতে হবে গলা উঁচিয়ে। সাথে সাথে ব্যবস্থা হয়ে যাবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এখানে আসতে পারবে না।


বাংলাদেশ

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২২/০৮/২০১২ - ১:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে অনেক কিছু লিখব ভেবে বসেছিলাম, অথচ কেন জানি উপরে শিরনামটা লিখেই হাত থেমে গেছে! যদিও এটা আমারই দোষ, চরিত্র মাফিক রাগ-জেদ, আহ্লাদ, আব্দার সব বাজে স্বভাব খুব সহজে বাড়াবাড়ি মাত্রায় প্রকাশ করতে পারলেও, কখনো নিজের ভালোবাসার কথাটাই সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারিনা!


আবাহন

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৮/২০১২ - ১:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

"উনি একজন বুজরুক ছিলেন।" শামীমের কণ্ঠস্বরে তাচ্ছিল্যের কোনো কমতি রইলো না।

সোমা একটু শাসন করার চেষ্টা করলো স্বামীকে, "নিজের দাদাকে কেউ বুজরুক বলে এভাবে?"


ফোর্থ ডাইমেনশনের হেরফের

আশরাফুল কবীর এর ছবি
লিখেছেন আশরাফুল কবীর (তারিখ: শনি, ১৮/০৮/২০১২ - ৬:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬১ সনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও প্রদেশের আকাশে। জনৈক বৈমানিক একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে আকাশে উড়ছিলেন, আকাশ ছিল ঝকঝকে পরিষ্কার। আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা আকারের সাদা মেঘের ভেলা। বৈমানিক সেই মেঘের মধ্য দিয়ে ভেসে যেতে যেতেই দেখতে পেলেন একটি বিষ্ময়কর দৃশ্য।


অচিন

ঈপ্সিত আর চম্পাকলি এর ছবি
লিখেছেন ঈপ্সিত আর চম্পাকলি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৮/০৮/২০১২ - ১:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)
-"হ্যালো হলধরবাবু, আমি সমীর বলছি, মিত্র আন্ড সন্স মিউজিক গ্যালারি থেকে। আপনার জন্য একটা দারুন জিনিস জোগাড় করেছি"
-"হ্যাঁ হ্যাঁ ক্লাসিকালের লং প্লেয়িং, খোদ ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ সাহেবের গাওয়া।"
-আরে না না, খাঁ সাহেবের গাওয়া হলেই কি জনপ্রিয় হতে হবে? আপনাকে তো আগেও খাঁ সাহেবের গাওয়া কয়েকটা লং প্লেয়িং দিয়েছি, কলকাতায় কজন সে সব রাগ শুনেছে হাতে গুনে বলতে পারবেন।"


আটপৌরে স্বপ্ন

শামীমা রিমা এর ছবি
লিখেছেন শামীমা রিমা (তারিখ: শনি, ১৮/০৮/২০১২ - ১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাছে যে অনায়াসে উঠতে পারে তার জন্য বাসের ছাদে উঠা একেবারে নস্যি । তাইতো ‌চ্যাংড়া ছেলেটাকে আছড়ে পাছড়ে উঠতে দেখে মজিদ মিয়া না হেসে আর পারল না । ছেলেটা অবশ্য তার হাসি দেখতে পায়নি । দেখতে পেলে মজিদ মিয়ার পাশে সে বসত না । খুব সহজ হিসেব এটা । মজিদ মিয়া ছেলেটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে । গায়ে লাল রংয়ের হাফ শার্ট আর চাপা প্যান্ট। চেহারাটা ..... এবার তার দেখার মাঝে ছন্দপতন হলো । হঠাৎ শুনতে পেল ....‌‌‍''আমি হলাম রোমিও,লেডি কিলার রোমিও....''। বুক পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বের করল ছেলেটা । তারপর গদগদ গলায় কথা বলতে শুরু করল । মজিদ মিয়ারও খুব শখ একটা মোবাইল ফোন কেনার । ছেলেমেয়ে আর বউটার সাথে মাঝেমধ্যে একটু আধটু কথা বলতে পারবে । মেয়ে দুটো অবশ্য খুব বকবক করতে পারে । কিন্তু তার বউ কথাবার্তা বলে একবারে কম । দোকান থেকে যখন সে ফোন করে ওপাশ থেকে বউ শুধু ‌'হ্যালু' বলে চুপ করে থাকে । তবুও ভালো লাগে মজিদ মিয়ার । পেশায় সে রিক্সাচালক । আয় একবারে খারাপ না । তবে মাঝেমাঝেই পেটের পীড়ায় ঘরে শুয়ে থাকতে হয় । তা না হলে সংসার তার খারাপ চলতো না ।


আমার হিয়ার মাঝে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৮/০৮/২০১২ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা গোটা রাত জেগে থাকার ভারী অবসাদ আর সকালে তেল চুপচুপ পরোটা আর ভুনা গরুর মাংসের ভূরিভোজন-পরবর্তী ঝাঁঝালো ঢেকুর-এই দুইয়ের সাথে লেপ্টে রইল সকালবেলার আলস্য জড়ানো অথচ টান্ টান্‌ কামেচ্ছা-আমার সংক্ষিপ্ত বাস যাত্রাটা এই তিনের ঘোরে ঢুলুঢুলু কেটে যেতে পারত। কেটেছিলোও কিছুটা;বেশ আয়েশি একটা অবশতা। কিন্তু আচমকাই ছিঁড়ে গেল এই ত্রিকোন ঘোর। সামনে তাকিয়ে দেখি চলমান জেগে উঠতে থাকা শহরটাকে আগলে কে যেন বসে আছে। একটা মেয়ে। কাঁধের উপর ছড়িয়ে থাকা চুল থেকে উঠে আসছে একটা অভিজাত করপোরেট সুবাস;সদ্য স্নানের ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত পানির বিন্দু চারপাশে ছড়িয়ে দিয়েছে এক আবেশী মৌতাত। বুকের অনুমোদিত উপরি অঞ্চল-অবধি নগ্ন সুন্দরীর ছবি সাঁটা সাবানের ভুরভুরে গন্ধটাও পেলাম।সব মিলিয়ে একটা ঘন জমে থাকা মাদকতা যেন। এইসব চটকে ঘুম ঘুম আমেজটা ছিঁড়ে গেলেও বাইরের বাস্তবতা ঘাড়ে চেপে বসতে পারেনি তখনো।


রুবা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৮/২০১২ - ৪:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
আমার অন্য সব গল্পের মত এটাও একটা বানোয়াট গল্প। বানোয়াট গল্প লিখতে বসার কিছু ঝামেলা আছে।কাহিনী কিছুদূর এগোনোর পরই দেখা যায়, আর আগামাথার ঠিকুজি রাখা যাচ্ছে না।বৈরাম খাঁ হয়ে যাচ্ছে হরতন বিবি, দস্যু বীরাপ্পণের গপ্প গিয়ে ঠেকছে রাজা হরিশ্চন্দ্রের শবযাত্রায়।

যেমন আজকের গল্পটা সম্পূর্ণ অবান্তরভাবে শুরু হবে নিখিল হাজরাকে নিয়ে। নিখিল হাজরা যদি বাস্তবের কোন চরিত্র হতো, তাহলে এতদিনে তার আমার মতই গলায় টাই ঝুলিয়ে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির চাকরি করার কথা, বিবাহবার্ষিকীর দিন বউ নিয়ে পুরান ঢাকায় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বেড়াবার কথা। ছেলেবেলায় আমাদের অবশ্য দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, নিখিল বড় হয়ে রবীন্দ্রনাথ হবে। রবীন্দ্রনাথের মত কবিতা লিখতো ও। বিশেষ করে ক্লাস সিক্সে ইদ্রিস স্যারের পেটের অসুখের কাহিনী নিয়ে তার লিখা কবিতাটাতো ছিল রীতিমত অসাধারণ।


দম দেয়া ঘড়ি

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৮/২০১২ - ৬:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আনোয়ার শাহাদাতের জন্য গল্পঃ হুজুর সন্ধ্যা

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৩/০৮/২০১২ - ৭:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[i](ভূমিকথাঃ আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পকার আনোয়ার শাহাদাতের সঙ্গে আমার প্রায়ই দেখা হয় বারনস এন্ড নোবলসে। এটা ইউনিয়ন টার্নপাইকে। সেন্ট জোন্স ইউনি'র পাশ দিয়ে যেতে হয়।