Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

ঘরে ফেরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০৮/২০১২ - ৯:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম ইন্ডিয়ান বর্ডারের কাছে এক জায়গায়। লোকাল এক লোক আমাদের বলল সামনের আখ-খেত পার হলেই ওপার থেকে গুলি করবে। ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি তখন, খেতের শেষ মাথায় কি আছে দেখতে নেমে পড়লাম। মাঝপথে হঠাত খুব জোরে বাঁশী বেজে উঠল, ভয়ে দৌড় দিলাম। কিভাবে যেন আমি পড়ে গেছি নালায়। এক বন্ধু টেনে তুলল। একটু দূরে দাড়িয়ে এক ফকির এইসব দেখে হাসছে, রাগ করতে পারলাম না, একটা দশ টাকার নোট ধরিয়ে দ


সহযাত্রী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০৮/২০১২ - ৩:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুড়িগঙ্গার কালচে পানি, হকারদের অবিরত ডাক আর এঞ্জিনের বিরক্তিকর শব্দ ছাপিয়ে মিষ্টি কণ্ঠটা নাহিদের কানে অনুরনন সৃষ্টি করল।
'একটু হেল্প করবেন প্লিজ।'
চাঁদপুরগামী স্টীমার ঈগলের স্টার্ন সাইডের রেলিংএ একা একা দাঁড়িয়ে ছিল নাহিদ। বর্ষাকাল দেখে স্টীমারে স্বাভাবিকের থেকে লোকজনের সমাগম কম। খোলা আকাশ আর উন্মুক্ত বাতাসের সংস্পর্শ
অনেকদিন পরে আনমনা করে দিচ্ছিল সবকিছু। তখনি এই আহবান।


দেবতার গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১১/০৮/২০১২ - ৩:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেবতার গল্প

সে অনেককাল আগের কথা। কত আগের কথা তা আজ আর মনে নেই। তুমি আজগুবি গল্প বলে যদি উড়িয়ে দেও, দিতেই পারো। এমন কোন শক্ত প্রমান ও আমার নেই যা দিয়ে গল্পটাকে বাস্তবের জমিনে পুঁতে রাখতে পারবো। আর এত সত্য শুনেই বা কি করবে, ভায়া! ওই ধাঁধাটা কি ভুলে গেছো, সবচে ভালো মিথ্যাটা হয় সত্যের খুব কাছাকাছি আর সেই হিসেবে সত্য নিজেই হচ্ছে সবচে বড় মিথ্যা।


ডি (১)

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: বুধ, ০৮/০৮/২০১২ - ২:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

দাঁতে দাঁত চেপে দশটি বছর অপেক্ষা করেছে সে ছয় বাই আট ফুটের এই অন্ধকারাছন্ন সেলে। ছোট্ট একটা ছিদ্রের মতো জানালাটা দুই ধাপে শক্ত লোহার শিক দিয়ে আটকানো। আর তার ফাঁক গলে যতটুকু রোদের আলো সেলে ঢোকে তাতে জমাট বাঁধা অন্ধকারটা যেনো আরও ঘনীভূত হয়। প্রতিটি দিন নয়, প্রতিটি মুহূর্ত যেনো এক একটা বছরের সমান দৈর্ঘ্য নিয়ে কেটেছে। প্রথম প্রথম যখন এখানে আসে সে, ধারণা ছিলো না কতোটা নিষ্ঠুরতা অপেক্ষা করছে তার জন্য। কিন্তু প্রথম সপ্তাহেই একটা ঝামেলায় জড়িয়ে যখন সাত দিনের সলিটারি কনফাইনমেন্ট এ থাকতে হলো, তখন বুঝলো জীবন কতোটা শক্ত।


আমার ববি রায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৮/২০১২ - ৮:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই খেলার মাঠ, দুপুরের তপ্ত রোদেও এমন ধূসর কেন? চারিদিক ঝাপসা, কেমন ধোঁয়াটে। একটুপর চোখে পড়ল এক কিশোরী। মুখটা যে বড় চেনা! ব্যাকুল হয়ে কার জন্য অপেক্ষা করছে? অপেক্ষার যেন শেষ নেই, দাঁড়িয়ে আছে তো আছেই। ওকি কাঁদছে?


জীবন কথার বাঁকে: অয়ন চরিত

আশরাফুল কবীর এর ছবি
লিখেছেন আশরাফুল কবীর (তারিখ: শনি, ০৪/০৮/২০১২ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাইকেল পর্ব

হঠাৎ হাওয়ার শব্দ এমনভাবে ঝাঁপিয়ে আসতে লাগল যে অয়ন ভড়কে গেল। উল্টো দিক খেকে বয়ে আসা প্রচণ্ড বাতাসে সাইকেলের প্যাডেল ঘোরানো এ মুহূর্তে বড্ডো কষ্টের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে তার উপর যখন তখন বজ্রপাতের শব্দে কানে একদম তালা লেগে যাচ্ছে।


রাইজ অফ দি ফিনিক্স

তারাপ কোয়াস এর ছবি
লিখেছেন তারাপ কোয়াস [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৪/০৮/২০১২ - ৩:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নির্দিষ্ট সময়ের কিছুক্ষণ আগেই সেলফোনে টুংটুং শব্দ। ক্ষুদে বার্তার আগমন। ও জানে কি আছে সেখানে। তাই আর কষ্ট করে পকেট বন্ধী বার্তা দেখার কোন আগ্রহ দেখা যায় না ওর ভেতর। দেরী না করে বাইকের চাবি ঘুরিয়ে গন্তব্য স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। অনেকদিন থেকেই অপেক্ষা করছে এই দিনটির জন্য।


গোয়েন্দা ঝাকানাকা (অনুপস্থিত) ও মিউজিক ভিডিও রহস্য

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ০৪/০৮/২০১২ - ৯:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আটক লোকটা উদাস হাসে।

আর দারোগা কিংকর্তব্যবিমূঢ় চৌধারির মেজাজটা কেবল গরম হয়।


আমি কান পেতে রই

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব ময়ূখ রিশাদ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৪/০৮/২০১২ - ২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

#বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই বিকট শব্দে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হলো আগুনের ঝিলিক মেখে আর সমস্ত এলাকা অন্ধকার হয়ে চাঁদের আলোকে বরণ করে নিলো। চাঁদ তখনো পূর্ণ বিকশিত হয় নি। জ্যামিতিক অর্ধবৃত্তের মতো আকাশের গা বেয়ে ঝুলছে। এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে চাঁদটিকে এক বিষণ্ণ তরুণীর কপালের সাদা টিপের মতো লাগছে। সমস্ত অন্ধকার একটি বিন্দুতে মিলে গিয়ে তৈরী করছে অপার্থিব কোনো এক জাদুকরী দৃশ্য।


কাঁথা-কথা

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৮/২০১২ - ৬:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইন-বক্স খুলতেই মিলন ভাইয়ের নামটা চোখে পড়ল। অপঠিত এই একটাই মেল। এসেছে তাও সপ্তাহখানেক হল। বাদবাকী মেলগুলো সব পড়া। অধিকাংশই সুচরিতার। ইচ্ছে করেই রেখে দিয়েছি। ডিলিট করতে মন চায়নি। স্মৃতি। শেষ মেলটির বয়সও হবে প্রায় বছর দেড়েক। এছাড়া আছে ইয়াহু থেকে আসা কিছু অর্থহীন মেল। ওগুলো বোধ হয় ডিলিট করার পরিশ্রমটুকুও করতে ইচ্ছে হয়নি বলে এখনও রয়ে গেছে। আর আছে মাঝে মাঝে আসা মিলন ভাইয়ের কিছু মেল। মিলন ভ