৩
“পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি”, কাঠের রুলার গুটাতে গুটাতে স্বস্তির সাথে বলেন মিঃ উইলসন, “তুমি আমার চেয়ে লম্বা, এটা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।”
“সামান্য কিছু লম্বা।”
#বাইরে ঝুম বৃষ্টি। অর্ধেক শহর ডুবে গেছে। ডুবে ডুবে হাঁটছে মানুষ, চলছে রিকশা। থেমে আছে সিএনজি, প্রাইভেট কার। প্রকৃতি যন্ত্র পছন্দ করে না। তাই হয়ত তাদেরকে থামিয়ে রেখেছে। মানুষ যন্ত্র অভ্যস্ত। তাই হয়ত একটু আড়াল খুঁজে দাঁড়িয়ে আছে চুপচাপ কখন বৃষ্টি থামবে, কখন পানি কমবে। সবার অপেক্ষা করার সুযোগ নেই। যেমন নেই হালিশহরের জনৈক যুবকের। জিইসি মোড়ে এসে আটকা পড়েছে সে, গন্তব্য মেডিকেল। তাকে জিজ্ঞাসা করলে
পাক্ষিক ‘আলোর খেয়া’ সাহিত্য পুরষ্কার পাওয়ার পর থেকেই আমার জীবনে শুরু হয়েছে এক মধুর যন্ত্রণা। প্রতিদিনই ‘ভোরের আলো’, ‘গোধূলির আলো’, ‘রাতের অন্ধকার’ ইত্যাকার নানা পত্রিকা থেকে কোন না কোন সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে চলে আসে। পত্রিকার পাতায় আমার সাক্ষাৎকার আর গুরুগম্ভীর পোজ দিয়ে তোলা কৃত্রিম ছবি দেখতে আমার অবশ্য মন্দ লাগে না। তবে অমৃতেও তো কখনো কখনো অরুচি চলে আসে,আমার এখন সেই দশা চলছে। তাছাড়া মাঝে
প্রথম পর্ব
বেড়ার কাণ বা ছিদ্র দিয়ে উঁকি মারাটা তার অভ্যাস থেকে এখন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বন্ধুরা তাই তার নাম দিয়েছে কাণসিং। লোকজন এখন নিজের বাড়ীতে নিজের বউকে আদর করতে লজ্জা পায়, পূর্ণিমাপক্ষের রাত্রিগুলোতে একটু রোমান্টিক হবার সুযোগ নেই; কার দিকে চোখ রাখবে তারা, বউয়ের, না জানালার ফাঁকে, নাকি বেড়ার ছিদ্রে? বেড়াটেড়ার ছিদ্র নিয়ম করে কয়দিন আর বন্ধ করে রাখা যায়, মানুষটা বিন্দুর মতো ছিদ্র দিয়েও যখন গোটা দুনিয়া দেখতে পায়, আর না দেখার জিনিষগুলো তো দেখে আরো বেশি।
১.
'ডোন্ট ওরি'- গিন্নীকে এই কথাটা হাজারখানেক বার বলার পর এখন আর নিজেরই বিশ্বাস হয়না বানরের। দিন আনি দিন খাই টাইপের দিন ভালই চলছিল - এর মধ্যে গিন্নী এলেন, বান্দরের বান্দর বাচ্চা দুটোও এল। কিভাবে যেন দিন ও পড়ে গেল। যা যোগাড় হয় তাতে চারটা পেট ভরেনা। সেভিংস নেই, সিকিউরিটি নেই, চুলায় আগুন জ্বলে না, গিন্নী কথা বলেনা। 'অমন বানরের মত মুখ বানিয়ে আছ কেন?'- জিজ্ঞাস করতেই হাজার চুলার আগুন বের হয় কিছু আগের বন্ধ মুখ থেকে।
সাইকেল চালাতে চালাতে অনেক কিছু মাথায় আসে। দুনিয়ার সবকিছু মনে হয়...অনেক বেশি ...
"উল্টোপুরাণ
প্রমোশন হয়েছে।আগের তিন বারের মত এবারও হলো।
কাজ করবার পরিবেশ ভাল। সবাই সবসময় সহায়তা করে। বিধবা হিসেবে সবাই অন্য চোখে দেখে না।
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিন প্রশংসা করেন, উৎসাহ দেয়।
আমার আত্মহত্যা করবার ইচ্ছা হয় না। জীবন যখন এত ভাল, কারই বা ইচ্ছা হয় বলুন?
(১)
- “হ্যালো, সাহানা, আরে আমি এখন বুয়েনস্ আয়ার্স এয়ার্পোর্টে স্ট্র্যান্ডেড। এল্ ক্যালাফাটে-গামী ফ্লাইটটা সাত ঘন্টা ডিলেইড!”
- “বেশ হয়েছে অর্ক, ঠিক হয়েছে, যেমন এই খৃস্টমাসের ছুটির সময়ে আমায় লস্ অ্যাঞ্জেলেসে একলা ফেলে ওই ধাপার মাঠের মত একটা জায়গায় ছুটলি!”
- “ধাপার মাঠ আবার কোত্থেকে এল?”
ক।
[justify]
বাবার সামনে দাঁড়ালেই বুক কেঁপে উঠতো কেনো জানি, যে কারণে বাবার কাছে মুখ ফুটে মনের কথা বলা কখনোই হয়নি তার, যত আবদার ছিলো মায়ের কাছে। এর অন্যথা হয়নি কোনদিন।