১.
গল্পটি মাত্র সোয়া তিন পৃষ্ঠার। লেখক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। নাম ভিক্টোরিয়ার হিরো।
১
"চাইনা মেয়ে তুমি অন্য কারো হও...” রেডিও তে গান টা শুনতে ভালই লাগছে।
[justify]গন্ধটা টের পায়, ভালো করেই টের পায় শম্ভু। এবং আজকাল এতটাই টের পায় যে নিজেকেই ঘৃণা করতে শুরু করেছে হয়তো মনে মনে। বিকেলের পরিত্যক্ত রোদ ওর রোদে পোড়া দেহটাকে আরেকবার স্নান করিয়ে দিয়ে যায়। ময়লা গামছাটা দিয়ে মুখ মুছে গত রাতের বাসি রুটি আর জীবন সরকারের দোকানের মটর তরকারী দিয়ে উদরপূর্তি করতে গিয়েও সে টের পায় সেই গন্ধটা। একটা মাছি তার রুটির আশেপাশে অনেকক্ষণ ধরেই ঘুরঘুর করছিল, কয়েকবার তাড়িয়ে দিয়েও
১.
ইতিমধ্যে সৌরজগত ঘিরে পাঁচবার চক্কর খেয়েছে পৃথিবীটা। তবু পৃথিবী বা চাঁদ বা সূর্যের ওঠানামায় কোন তারতম্য হয়নি। পৃথিবীর ওজোন স্তরের ফুটোটা আরো একটু বড় হয়েছে দক্ষিণ গোলার্ধে, উষ্ণতা বেড়েছে নগর ও গ্রামের। পার্থক্য বলতে এটুকুই। আর সব ঠিকঠাক। কিন্তু নিশাতের পৃথিবী অবিচল, অপরিবর্তনীয়। সৌর আলোর আগুনে বৃষ্টিতে ঝলসে যাচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত রানওয়ে। শীতাতপ এয়ারপোর্টে বসে বাইরের উষ্ণতার তেজ টের পাওয়া মুশকিল। ভেতরের কাঁচঘেরা জগতটার সাথে বাইরের কোন মিল নেই। নিশাতের এই যাত্রাটা কারো জন্য বিশেষ কোন ঘটনা নয়।
১.
আজকের সকাল টা কেমন জানি ম্যাড়ম্যাড়া!
কাওরানবাজার এলাকায় তিনিই সূর্যোদয় ঘটাইয়া থাকেন।
ঝিম ধরে হয়ে বসে আছে এক সময়ের মুক্তিযোদ্ধা খালেক। নির্মম পৃথিবীর রূঢ় বাস্তবতা তার পিঠে 'এক সময়ের মুক্তিযোদ্ধা' খেতাবটা সেঁটে দিয়েছে।
বসে আছে, কারণ তার কাজ নেই। কাজ নেই কারণ, কাজ করতে ইচ্ছে করে না। শরীর দুর্বল। শরীর দুর্বল কারণ, ভাত পায় না নিয়মিত। গাঁজার নেশাও আছে। ভাত পায় না তো গাঁজা পায় কোথায়? সেটাই তো কথা। সেটাই আমরা জানতে চাই।
আমি এই দ্বীপে আসার সুযোগ খুঁজছিলাম অনেক বছর ধরে। অবশেষে দ্বীপটিতে আমার একটা অভাবিত আশ্রয় মিললো। তুমি আসতে চাইতে না। আধুনিক সুযোগ সুবিধা রহিত কোন দ্বীপে তুমি থাকতে চাও না। এ যেন স্বেচ্ছা নির্বাসন। পৃথিবীর একমাত্র গাড়িবিহীন দ্বীপ। তুমি তোমার শখের ফিয়াট গাড়িটা রেখে আসতে হচ্ছিল বলে তিনদিন তিন রাত কেঁদেছিলে। আর আমি গাড়ি যন্ত্রনা থেকে মুক্তিলাভের জন্য হন্যে হয়ে উঠেছিলাম। মনে আছে তুমি কতোবার দূর্ঘটনায় পড়
তখন আমি বৃষ্টি কুড়াই আমের বনে; ফুল-বাগানের হীরেমানিক, ঘুমিয়ে থাকি আঁচলদিঘীর নিদ্রাকুসুম জলে --- চাঁদকপালে কাজলরেখা টিপ মানে তাই বালাই-বালাই-ষাট! কৌতূহলী ভোরের ডাকে কিচিরমিচির স্তব্ধতাকে জাগিয়ে তুলি, মাকে বলি, ‘খিদে পেলে ছেলে বুঝি ডাহুক ডাকে মা!’ তখন আমার জনান্তিকে ইচ্ছে নামের সুতোয় বোনা নানামুখী তৎপরতা, আর বারতা পরাগ বুকে প্রবহমান উচ্ছ্বসিত বেনীআ--সহকলা!
[justify]১
আশরাফী বেগমের সাথে আসাদ এই প্রথম দেখা করতে যাচ্ছে না, এর আগেও দেখা হয়েছে অনেকবার। তবে এইবারের দেখা হওয়াটা অবশ্য একদম অন্যরকম, ভদ্রমহিলা মনে হয় দুইদিন আগেও জানতেন না লিপুর সাথে তার এখনো পরিচয় আছে। পৃথিবীতে অনেক ধরণের সারপ্রাইজ আছে- নিজের অজান্তেই ঠোঁটের কোনে হাসি আসে আসাদের।
১