১.
মকবুল স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে পর্যবেক্ষণ ডেস্ক থেকে উঠে পড়লো। তার মাথা টিপটিপ করে ব্যথা করছে, শরীরের কোষগুলো একটু পর পর যেন বিড়বিড় করে বলছে, এক কাপ কফি খাওয়া দরকার।
নভোতরী "টিম্বাকটু" একটা ছোটো স্কাউটশিপ, সর্বোচ্চ চারজন নভোনাবিকের জন্যে তৈরি করা। কিন্তু মকবুলের মিশন সঙ্গীবিহীন। শুধু সঙ্গীবিহীনই নয়, ফেলে আসা পৃথিবীর সাথে যোগাযোগবিহীনও।
আরও তিন বছর তাকে কাটাতে হবে টিম্বাকটুতে।
উর্দু সাহিত্যের শক্তিমান ছোটগল্পকার সাদাত হাসান মান্টোর জন্মশতবার্ষিকী চলে গেল ১১ই মে। এই ক্ষণজন্মা, মানুষের পক্ষে থাকা অমর গল্পকারের বেশ পরিচিত একটি গল্প তোবা টেক সিং। মূলত দেশ ভাগ নিয়ে রূপকধর্মী গল্প এটি। ইংরেজী থেকে অনুবাদ করার প্রচেষ্টা করা হল এখানে। মান্টোকে নিয়ে গুগলে বিস্তারিত অনেক কিছুই জানা যাবে, তাই ওদিকে আর গেলাম না।
তোবা টেক সিং
সাদাত হাসান মান্টো
এক.
আমার আল্লা নবীজির নাম...
সকলেঃ আমার আল্লা নবীজির নাম...
এভাবে আর চলেনা... এই জীবনের কোন মানে হয়? আকাশে বাতাসে চাপা অসন্তোষ। গড়িয়ে গড়িয়ে চলার চেয়ে গাছ হওয়াই যে ভাল ছিল। চাপা অসন্তোষ প্রাণী-গণরোষে পরিণত- চাপা থাকল না আর। প্রকৃতির কানে গিয়ে পৌঁছাল। গড়গড়া রেখে নড়েচড়ে বসলেন প্রকৃতি। তাঁর তলবে প্রতিনিধি আসল প্রাণীজগতের। প্রকৃতি সমস্যাটা চোখ বন্ধ করে শুনলেন, অনুধাবন করলেন এবং কথা দিলেন- অবশ্যই একটা গতি করে দিবেন তিনি।
'হ্যালো, শফিক!' মোবাইলের অন্যপ্রান্তে রাণুর উৎকণ্ঠিত কণ্ঠস্বর।
বিচলিত শফিক। 'কী হলো রাণু? কোনো সমস্যা?'
'নবীনকে...' কথা শেষ করতে পারে না রাণু। শফিক ওর দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ অনুভব করে।
'কী হলো রাণু? 'নবীনকে' কী? কী হয়েছে নবীনের?' উত্তেজনা ভর করে শফিকের কণ্ঠেও।
উত্তর পায় না শফিক। রাণু ফোঁপাতে শুরু করেছে। শফিক বোঝে একমাত্র সন্তান নীবনের বড় কোনো অঘটন হয়েছে।
ভট্টাচার্যদের বটগাছে আবার সাধুবাবার আছর হয়েছে- সঙ্গে আছে কয়েকশ’ ভুত-প্রেত। ভুত-প্রেত কারো ঘাড় মটকায়নি। তবে মটকাতে কতক্ষণ! গাঁয়ের লোক তাই ভয়ে-আতঙ্কে তটস্থ। তাছাড়া ভয় পাওয়াটা আবহমান গ্রাম-বাংলার জীবনযাত্রারই অবিচ্ছেদ্য অংশ; মরণনেশা। আর এই নেশা নিয়েই নদীর ঘাটে চলে বিস্তর পর্যালোচনা।
[justify] একটা বায়না পাওয়া গেছে অবশেষে।
চৈত্র মাসটা খুব অকাজের। মাসের একেবারে শেষে চৈত্র সংক্রান্তি ছাড়া কোন পূজা পার্বণ নেই। এই মরা বাতাসের মাসে লোকে বিয়েশাদীর আয়োজনও করেনা তেমন। অগত্যা এমাসটায় ঢোলদুটো খুব আয়েশ করে ঘরের চালার সাথে বাঁধা শিকেয় ঝুলে দোল খায় অবিরাম। মাঝে মধ্যে নেংটি ইদুরের দল দাঁতের ধার পরখ করে দেখে ঢোলের ছাউনি আর সুতোয় কামড় বসিয়ে।
‘বিতংস’ ও ‘চ-এ চুরি, ছ-এ ছবি, জ-এ জব্দ’ লেখকের কলম থেকে......
(১)
-"শেষে বাইপাসের ধারের একটা পাতি রেস্টুরেন্টে আমাদের ফার্স্ট অ্যানিভার্সারির ডিনারটা করাবে তুমি আমায়? এরকম জানলে আমি জাস্ট আসতাম না!” মউএর গলায় একরাশ বিরক্তি।
নসরউদ্দিন চেয়ারম্যান ঠিক করেছেন এবার হজ্বে যাবেন। আল্লাহ তাকে দুই হাত ভরিয়ে দিয়েছেন। অঢেল টাকা-পয়সা, জমি-জিরাত, বহতুল দালান বাড়ি, ঝকঝকে গাড়ি, শানবাঁধানো পুকুর। তার এই যে শান-শওকত- সে নাকি পুকুর চুরির ফল। অন্তত কস্তুরী বেগম এ কথাটা তার মুখের ওপর প্রায়ই বলেন। অবশ্য আড়ালে আবডালে পাবলিকেও বলে। তবে সামনে বলার সাহস একমাত্র কস্তুরী বেগম ছাড়া কারো নেই।