গল্পগুলো খুব চেনা আর সাধারণ। ওরা প্রত্যেকে কাছাকাছি সময়ে আলাদা পরিবারে মানুষ হচ্ছিল। বয়েস ৪-৬ বছর। ২০১১ সালে যে গল্পগুলো ছিল এরকম-
১. অমি প্রতি শুক্রবারের অপেক্ষায় থাকে। বাবা বাসায় থাকে সারাদিন। বিকেলে ওকে নিয়ে বের হয়। হয় শিশুপার্ক, নয়তো চন্দ্রিমা, নয়তো চায়নীজ। ফিরে আসার সময় মুঠোভর্তি চকোলেট আর বেলুন। প্রতি শুক্রবার ওর জন্মদিনের আনন্দ।
[justify](পূর্বাংশের পর)
এই গল্পের ঘটনাস্থল বহু বহু দূরের একটি দেশ।
এবং সময় কোনও এক সুন্দর সোনালী সন্ধ্যাবেলা।
হয়তো একদিন স্বপ্ন সোনালী ফসল কুড়াবে। হয়তো একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যাবে বদলে গেছে আকাশ রঙ কিংবা সভ্যতার ইতিহাসের প্রচ্ছদ। হয়তো ততদিন স্বপ্ন দেখতেই হবে। হয়তো একদিন আমিও বদলে যেতে পারি। হয়তো আমিও একদিন অকৃতজ্ঞ হতে পারি। হয়তো একদিন বহির্বিশ্বের খোঁজে নাবিক হতে পারি। হয়তো একদিন কলম্বাসকে থামিয়ে দিতে পারি। হয়তো একদিন চোখের জল শুকিয়ে দিতে পারি। হয়তো একদিন নিউট্রিনোকে শাসন করতে পারি। হয়তো আমিও একদিন
শুক্কুর আলি যেদিন বিষ খেয়েছিলো সেদিন কী বার ছিলো সঠিক মনে করতে পারে না মোস্তাক মিয়া। সেবারই প্রথম মোশেদার প্রতি চোখ পড়েছিলো তার অথবা বলা যায়, সেদিনই প্রথম ভালো করে, মনোযোগ দিয়ে তাকে দেখেছিলো। সেদিন তার চোখে বিস্ময় নাকি মুগ্ধতা ছিলো তেমন ভাবে ব্যাপারটা ভেবে দেখেনি সে। মড়ার কান্না শুনেই হয়তো মোশেদাও গিয়েছিলো সে বাড়িতে। অবশ্য শোনা গিয়েছিলো শুক্কুর আলির মা নাসিমা নিজেই চায়ের চামচে করে দু চামচ বিষ মুখে
“শইদুল ভাই, ও শইদুল ভাই।“
ইসমাইলের ঠেলায় ঘুম ভাঙ্গে শহীদুলের। ভোর হয়ে গেছে এত জলদি? ধুর। পিঠের ব্যথাটা আরো পোক্ত হয়েছে মনে হচ্ছে, কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু উঠতে হবে, খদ্দের চলে আসবে কিছু ক্ষনের মধ্যেই। মালিক উঠে তাড়া দিবে আরেকটু পর।
উঠে পিছনে গিয়ে সকালবেলার কাম সেরে দাঁতন দিয়ে দাঁত খিলাতে শুরু করে শহীদুল, ততক্ষনে ইসমাইল হাঁড়িকুড়ি নামিয়ে ফেলেছে। ওইগুলো সাফা করায় হাত লাগায় শহীদুল।
ক।
রঙ খসে গিয়ে, লতা-পাতায় আচ্ছাদিত হয়ে বাড়িটি মৃতের ছায়া ধারণ করে আছে; রঙচটা বিল্ডিংটির ঠিকপাশে রয়েছে আরেকটি আভিজাত্যহীন তিনতলা মেসবাড়ি। সেখানে থাকে বেশ কয়েকজন যুবক; কেউ চাকরি করছে, কেউ পড়াশোনা। প্রায় বিকেলবেলা কিংবা লোডশেডিংময় কোনো রাতে যুবকেরা ছাদে গিয়ে বসত, এখনো বসে তবে আগের তুলনায় অনেক কম।
রাগের মাথায় ভারী গ্লাসটা ছুঁড়ে মারতে গেলেন। অঞ্জনী ওঠা চোখ দুটো ক্রোধে টকটকে লাল।
পেছনে মা বসে ছিলেন , " কি করছ তুমি ? " কণ্ঠে সীমাহীন আতঙ্ক।
ছোঁ মেরে বাবার হাত থেকে কেড়ে নিলেন গ্লাসটা , " পাগল হয়ে গেলে নাকি!"
কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন।
থমথমে , গরম পরিবেশ । পর্দা ঢাকা ঘরে আলো ঢুকতে না পেরে বাতাসটাও গুমোট। বদ্ধ একটা ঘরোয়া গন্ধ চারিদিকে।
শুধু একজনই নির্বিকার । ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ।