Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

যে গল্পের শেষ নেই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ১১:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অজপাড়া গাঁয়ে থাকি আমি। সন্ধ্যায় হারিকেন আর কুপির আলোয় আলোকিত হয় গ্রামের প্রতিটি পরিবার। রাতের নির্জনতা এখানে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে গভীর হয়। শিয়ালের দল হুক্কাহুয়া শব্দে লুকোচুরি খেলে গম ক্ষেতের আড়ালে। বাতাসে লুটোপুটি খেয়ে বাঁশ ঝাড়ে একটি আরেকটির উপর আছড়ে পড়ে সৃষ্টি হয় আদি ভৌতিক শব্দ। ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ভর করে ভেসে আসে হুতুম পেঁচার ডাক। ভোরে মুয়াজ্জিনের আহবান ও পাখির গানে জনপদ জেগে উঠে। আলো আধারীতে মাটির ক


গালগপ্প

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ৫:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বড় হইতে হইলে হয় অতীত ভুলিয়া গিয়া নবজীবন লাভ করিতে হয়, নতুবা অতীতের পশ্চাদদেশে পদাঘাত করিয়া সম্মুখে আগাইয়া যাইতে হয়। আমি দ্বিতীয়টা বাছিয়া লইয়াছিলাম। ফলাফল- ছিলাম নৌকার মাঝি, হইয়া পড়িলাম জাহাজের সারেং। পুরাতন মাঝিমাল্লা বন্ধুদের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করিয়া নতুন জীবনের স্বাদ লইতে লইতে নিজের নাম আর বাপের নাম বাদে বাকী সব ভুলিয়া গেলাম। আমার এখন নিত্য ওঠাবসা জাহাজওয়ালাদের সাথে।


আমাদের শহরে একটি কালো রেলগাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৩/২০১২ - ২:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ভোরবেলা পুকুর ঘাটে এসে মধুসূদন বাবু হকচকিয়ে গেলেন।


দুটি অণু সায়েন্স ফিকশন-৩

নিলয় নন্দী এর ছবি
লিখেছেন নিলয় নন্দী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৩/২০১২ - ৪:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুতুল

২০১৬ খ্রীষ্টাব্দ । ব্রিটিশ মিউজিয়াম।
‘এইটা কী বাবা?’ পাথরের মূর্তিটাকে দেখাল বিলি।
‘মিশরের পুতুল বাবা,’ বিলির বাবা হাসলেন, ‘কত রকমের খেয়াল ছিল ওদের। যা খুশি লিখে রেখেছে দেখ পুতুলের গায়ে।’
‘কী লিখেছে বাবা?’
‘কী আর লিখবে? কেবল সভ্য হয়েছে লোকগুলো! লিখতে শিখেছে এটাই তো বেশি! চল এখানে সময় নষ্ট করে আর লাভ নেই।’

৩০১৯ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ। মিশর।


‘জ্বীনের বাদশা আসেন’ --- বেগুন চালান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/০৩/২০১২ - ১১:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মফস্বলের আলো আঁধারির মধ্য গল্প বলার আত্বীয় স্বজন থেকে দূরে, মোটামুটি পাড়া-পড়শীদের সাথেই বড় হয়েছি আমরা, অত্যন্ত বাস্তববাদী মায়ের তিক্ষ্ণ নযরদারীর মধ্য। শহুরে নীতি নিয়মের মধ্যে বড় হওয়া আমাদের চেনা জানার সীমানা ছোট হলেও কল্পনার জগতটা কিন্ত সমৃদ্ধ ছিল, গল্পের বই এর কল্যানে। রহস্যময় জগতের মতই আকর্ষনীয় ছিল কুচ কুচে কালো বেড়াল, সাপ, পেঁচা, বাদুর সাঁঝের আধারে বন্ধুদের কাছে শোনা সেই ‘তেনাদের’ গল্প। এমনিতেও বাস্তবের কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা অনেক সময়ই রহস্যময় রয়ে যেত ঐ আমলে। আজকের এ লেখাটা স্মৃতি থেকেই ঐ রকমের একটি লেখা।


গুই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/০৩/২০১২ - ২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
ধড়ফড় করে মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠলেন আমজাদ সাহেব। সেই একই দুঃস্বপ্ন। আবারো। প্রকাণ্ড একটা মাঠে তিনি দমবন্ধ করে পাগলের মত দৌড়াচ্ছেন; দুই কোলে দুটো বাচ্চাকে নিয়ে। পেছন পেছন অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় ধেয়ে আসছে ভয়ালদর্শন একটা কালো গুইসাপ। কোলের বাচ্চা দুটোর কালো চোখ, কালো রঙ। দুইজনে অলটার্নেট করে করে নিয়মিত বিরতি দিয়ে বলে যাচ্ছে- ইয়াক, বাবা, তোমার গায়ে ঘামের গন্ধ।

আমজাদ আলীর গুইসাপ ভীতির শুরুটা একেবারে বাচ্চাবয়সে। যে বয়সে মানুষ জোনাকি দেখে মুগ্ধ হয়, ইঁদুর দেখে মুগ্ধ হয়,


যে নেই

নিলয় নন্দী এর ছবি
লিখেছেন নিলয় নন্দী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৩/২০১২ - ৬:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খেতে বসে বাবার বিষম লেগে যায়। মুখে ভাত নিয়ে কী যেন বলতে চাইছিলেন, হঠাৎ কথাটা না বলতে গিয়েই গেল গলায় ভাত ঠেকে।
‘আহা, কী যে কর না! একটু রয়েসয়ে খেলেই তো পারো। দোকান কি তোমার পালিয়ে যাচ্ছে নাকি?’ মা রান্নাঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে বাবার মাথায় চাপড় দেন,‘একটু জল খাও। ঠিক হয়ে যাবে।’


চোর-পুলিশ

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: সোম, ১৯/০৩/২০১২ - ৩:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। আমরা স্বাধীন। আনন্দে মাতোয়ারা পুরো বাংলাদেশ। ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ উল্লাসের মধ্যে জল ঢেলে দিল ছোট্ট একটি খবর। মিরপুরের বিহারীরা স্বাধীন বাংলাদেশ মানতে নারাজ। তারা কিছুতেই হার মানবে না। খবর শুনে আমাদের শরীরের রক্ত টগবগ করে উঠল। অপেক্ষাকৃত তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা পারলে তখুনই মিরপুর স্বাধীন করতে ছোটে। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশে আমরা যার যার ইউনিট


চোর-পুলিশ

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: সোম, ১৯/০৩/২০১২ - ৩:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। আমরা স্বাধীন। আনন্দে মাতোয়ারা পুরো বাংলাদেশ। ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ উল্লাসের মধ্যে জল ঢেলে দিল ছোট্ট একটি খবর। মিরপুরের বিহারীরা স্বাধীন বাংলাদেশ মানতে নারাজ। তারা কিছুতেই হার মানবে না। খবর শুনে আমাদের শরীরের রক্ত টগবগ করে উঠল। অপেক্ষাকৃত তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা পারলে তখুনই মিরপুর স্বাধীন করতে ছোটে। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশে আমরা যার যার ইউনিটকে


সেই মেয়েটা ভেলভেলেটা - ২

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: রবি, ১৮/০৩/২০১২ - ২:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি: