পরীক্ষার চাপে ঘাড় ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। অথচ একটু যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে, এতটুকু সময়ও নীলার হাতে নেই। সব টিচারদের ধারণা, যে যেটা পড়ান সেটা ছাড়া স্টুডেন্টদের আর অন্য কোন সাব্জেক্টই থাকতে পারে না। ফলাফল - সবগুলো পরীক্ষা একসাথে পড়েছে। অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ুয়া নীলা বেচারী কোনটা ছেড়ে কোনটা পড়বে, কোন দিশা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্টের বই খুলে বসেছে।
‘উঁহুরে... মরার মশা!’’
খাওয়াদাওয়ায় অনাগ্রহী লোক আমার অপছন্দ। দাওয়াতে গেলে মন ভরে খাবে, বুফেতে গেলে খেয়ে পেট উচা করে ফেলবে, হাঁটতে বেরুলে চোখ রাখবে আশেপাশে নতুন দোকান খুলছে কিনা, কাজে বেরুলে কাজ সেরে আসার সময় কোন তেলে ভাজার দোকানে ঢুকে পড়বে, নতুন জায়গায় গেলে ওখানকার সবচেয়ে রসনাময় খাবার দোকানের নাম জানতে চাইবে, তেমন লোকই আমার পছন্দ। তেমন লোকেরা ভদ্রলোক হয় না সচরাচর। আমার বন্ধু তালিকায় ভদ্রলোকেরা তাই নিতান্তই অপ্রতুল। যে স
যা হয় না তা যে হয় না, তা বুঝতে আবুল মজিদের বার বছর লাগে। এই বুঝাবুঝি শেষ করতে করতে যখন হুঁশ হয়, ততদিনে এলাকার জলা-মাঠ-কচুরিপানা সাফা হয়ে খালি দালান আর কোঠা। ইয়ার-দোস্তরা সেইসব দালান-কোঠার কন্ট্রাকটারি করে বিয়ে-শাদি করে পোলাপানের হ্যাপি বার্থডে করে। আবুল মজিদ সেইসব হ্যাপি বার্থডে তে যায়, মোমবাত্তিতে ফুঁ দেয়, হাসি হাসি মুখে গ্রুপ ফটো তোলে। ভাবিরা বলে, বিয়া করেন না ক্যান?
‘তোমারে কইছিলাম চেয়ারম্যান সাবের নামটা ইয়া বড় বড় কইরা লেখতে, যাতে দুইমাইল দূর থেইকা মানুষ নামডা পড়তে পারে। এইগুলান কী লেখছো? পড়তে তো অণুবীক্ষণ যন্ত্র আনতে হইবো!’
চিৎকার করে কথা বলায় রমিজ উদ্দিনের মুখ থেকে দলা দলা থুতু ছিটকে পড়ছে সামনের লোকটির গায়ে। লোকটি নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে বেকুবের মত।
১
সকাল থেকেই ঝর ঝর বৃষ্টি হচ্ছিল। এখন একটু কমেছে। উঠানের ওপাশে রান্নাঘরটা। মা ধোঁয়া উড়িয়েই যাচ্ছিলেন। একটা মোড়ায় বসেছিল রিফাত। পাশের উঠানটা একটু ঢালু। উঠানের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তৃপ্তি। ওদের বারান্দায় বসে তন্ময়, টুলের উপর।
-এই মেয়ে ঘরে আয়।
[justify]দুপুরে ভাত খাওয়ার পর থেকে মাথায় কেমন জানি একটা চিনচিন করে ব্যথা করে। গত দুইদিন ধরে একনাগারে বাসায় শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছি। একবার ভাবি, একটু বাইরে গিয়ে ঘুরে আসি। পরে আবার ভাবি, থাক। এরপর বেরোই। নিচে নামার সময় দেখি বাইরের কলাপসেবল গেটটা তালা দেয়া। নীচতলায় এক নতুন ভাড়াটে এসেছে। কলাপ্সেবল গেট খোলা-বন্ধের ব্যাপারে সে খুব সিরিয়াস। গেট খুলে তালা না লাগিয়ে বেরিয়ে যাই। পেছন থেকে গেট বন্ধ করার আওয়াজ
গ্রামের একটি ভোর