১.
‘’আচ্ছা, এ দেশের মানুষ ৭১ এ যুদ্ধ করেছিল কেন?’’ চিন্তাটা গত কয়েকদিন ধরে উদয় হাসানের মাথায় ক্ষণে ক্ষণে ক্ষরিত হচ্ছে!
ঐ যে আকাশে চক্কর কাটছে, ওগুলো কি শকুন?
আসাদুল হক ভাবতে ভাবতে কখন প্রশ্নটা উচ্চারণ করে ফেলেন, নিজেও টের পান না। পাশের চেয়ারে বসে একটা পুরনো ম্যাগাজিনে চোখ বুলাচ্ছিলো আলী সুজা, সে চোখ তুলে তাকিয়ে ঘোঁৎ করে একটা শব্দ করে বলে, "ঢাকা শহরে শকুন আসবে কোত্থেকে?"
১.
বাল্যে আমাদের জুতা ছিল না। এ কারণে অবাল্যে কখনোই জুত করতে পারি নি। এ বিষয়ে আমাদের ঠাকুরদা সাফ কথা বলে গিয়েছিলেন—জুতো থাকলেই জুতোজুতি হয়। সুতরাং নো জুতো। নো টুতো। তাইলে জীবন উইদাউট খুঁতখুঁতো।
[justify]‘’রুট বিয়ার আছে?’’ একটা ফাস্ট ফুড শপে শোয়েবের এমন প্রশ্নে আমি তো থ! ও যেভাবে কথায় কথায় হাদিস শোনায়, তাতে তো এই ব্যাপারটা ওর সাথে যায় না। অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করি, ‘’তুই, বিয়ার খাওয়া শুরু করলি কবে থেকে?’’ শোয়েব আমাকে অভয় দেয়,‘’এই বিয়ারটা খাইতে পারস। এইটা হালাল। উইদাউট এলকোহল‘’। সেদিন কিঞ্চিত অবাক হলেও পরে আর হইনি; কারণ বিভিন্ন পার্টিতে শোয়েবের সাথে আমাকেও যে গলা ভেজাতে হয় কালে-ভদ্রে!
[justify]
"হ্যাঁ দোস্ত, নামটা আরেকবার বল দেখি..." ওপার থেকে মাসুদের গলা শোনা যায়।
মাসুদ আমার বাল্যবন্ধু। ওকে আমরা বলি “অনলাইন মাসুদ”। আমেরিকাতে একটা কোম্পানিতে আইটির কাজ করে। সারাদিন ল্যাপটপ নিয়ে নেটে ঘোরাঘোরি। ফোন করলে জবাব পাওয়া যায় না, ওকে ধরতে হলে নাকি আইএম অথবা ই-মেইল করতে হবে। কম্পিউটারে আমার বড়ই অনীহা, তাই ই-মেইল করে বলেছিলাম ফোন ধরতে। সেই কারণেই ওর গলাটা শুনতে পাচ্ছি। একটা কাজেই ফোন করেছি।