এগুলা কি ছবি? স্থির না, কাজেই ছবি বলা চলে না। দৃশ্য? সিনেমার মত? কিন্তু বানানো না। কেউ কারো ভূমিকায় অভিনয় করছে না। কিংবা করলেও শামীম জানে না, জানতে চায়ও না। সে খালি দেখে, দেখে যায়, দেখতে দেখতে যায় গন্তব্যের দিকে।
দুইটা মেয়ে কথা বলতে বলতে রান্না বসানোর কথা ভুলে যায়, এক মাঝবয়েসী মহিলা ঘরময় ছড়িয়ে থাকা খেলনা কুড়ান, টিভিতে কিছু একটা দেখে উত্তেজনায় লাফিয়ে ওঠে এক যুবক, একটা ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে হেঁটে বেড়ান এক লোক।
অর্ক সেবার খুলনা থেকে মা বাবার সাথে দাদু বাড়ি যাচ্ছে। পাকশি ঘাট ,ফেরি পার হয়ে আরো দেড় ঘণ্টার রাস্তা। ছোট্ট অর্ককে বাবা দেখায়
নদীর ওপর ঐ যে লাল ব্রিজটা দেখছো, ওটা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
বাবা আমাদের বাস ঐ ব্রিজ এর ওপর দিয়ে যাচ্ছে না কেন?
ওর ওপর দিয়ে শুধু ট্রেন যায়। বাস এর জন্য ঐ ব্রিজটা না।
বাবা বাসের জন্য কোনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নেই কেন?
কেউ বানায়নি তাই।
ব্রিজ কারা বানায় বাবা ?
মাটিতে খড় বিছিয়ে তার উপর চটের বস্তা পাতা একটা বিছানা। সেখানেই দুইটা মোটা ছেড়া ময়লা কাথাঁয় মাথামুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিল রইছুদ্দি। সাত-সকালে আচমকা চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গে তার। ঘুম ভাঙ্গতেই ছেলে আর ছেলের বউয়ের তীক্ষ্ণ কন্ঠস্বর ভেসে এলো কানে--
#
প্রতিদিনের নিয়ম মেনেই বিচ্ছিরি শব্দে এলার্ম বেজে ওঠে। রাতুল প্রতিরাতে ভাবে শব্দ পরিবর্তন করে একটা গান লাগিয়ে রাখবে। সকালের শুরুটা সুন্দর কোনো সঙ্গীতের সুরে শুরু হবে। ক’দিন ধরেই খুব শুনছে লালনের গান ‘ তাল তমালের বনেতে’। এই গান দিয়ে দিন শুরু হলে মন্দ হতো না। অথচ দিনের আয়ু বাড়তে বাড়তে যখন অন্ধকারকে আপন করে নেয় তখন এই ইচ্ছের আয়ু শেষ হয়ে যায় টুপ করে।
এক দেশে এক মানুষ ছিল, শান্ত এক সবুজ গাঁয়ে ছিল তার ভিটাবাড়ী। কবে কোন্ পুরাতন অতীতে ঈশা খাঁয়ের হাতী বাঁধা হয়েছিলো গাঁয়ের শিমূলগাছে, সেই থেকে গাঁয়ের নাম শিমূলিয়া।
[justify]পৃথিবীর সব কিছুই স্বল্প বা দীর্ঘদৈর্ঘ্যে মিথ্যার নবায়ন। এই লাইনটা পাই আমার পুরানো ডায়েরিতে। এই এন্ট্রির ওপর সন তারিখ আছে। সেই হিসেবে আমার বয়স এখন গুণে দেখলাম দুইশত বছরের ওপরে। আচ্ছা, উন্মাদ হলে কি দিন তারিখ গুলিয়ে আসে?
[ল্যু স্যুন (সেপ্টেম্বর ২৫, ১৮৮১-অক্টোবর ১৯, ১৯৩৬)-এর আসল নাম ঝৌ শুরেন এবং তাঁকে বিংশ শতাব্দীর চিনে লেখকদের মধ্যে অন্যতম পুরোধা হিসেবে পৃথিবী জানে। 'ডায়েরি অব আ ম্যাড ম্যান' বা 'আ ম্যাড ম্যানজ ডায়েরি' গল্পটি প্রকাশিত হয় ১৯১৮-এর এপ্রিলে এবং প্রকাশের পরপরই তিনি খ্যাত হয়ে ওঠেন। তাঁর সেরা রচনাগুলোর একটা হিসেবে ধরা হয় এটি। পড়ুন, উপভোগ করুন। সাথে ল্যু স্যুনের ওপর লেখা একটি ব্লগ, বাংলায়। ল্যু স্যুনের একটা বাণী দিয়েই ভূমিকা এখানে শেষ করি:
একবার তাকে বলেছিলো পাহাড় দেখাবে। সে ও বিশ্বাস করেছিলো ঠিক কিন্তু তাকে রেখেই সেইবার পাহাড়ে গেলো তারই দূর সম্পর্কের এক মামাতো ভাই! তারপর আর কোন কিছু ‘তার’ হয়ে তাকে আঁকড়ে ধরে না, সে ও ধরার চেষ্টা করেনি। আকাশ আর সবুজ হয়ে ভাসে না তার চোখে। হারিয়ে যায় তার রঙ পেন্সিল। ছিঁড়ে যায় রাত জেগে জেগে বুনে যাওয়া স্বপ্নের জাল। বদলে যায় জীবনের মানে, বদলে যায় বিশ্বাস!
আজকের দিনটা খুব গুমোট, দমবন্ধ করা, এই দুপুরবেলাতেও রোদের তেজ নেই, আকাশটা ঝিম ধরান, মাঝে মাঝে আকাশে যখন একফোঁটা মেঘ ও থাকে না তখন আকাশটাকে কেন যেন খুব অচেনা মনে হয়,বুকের ভিতরটা শূন্যতায় ভরে যায়। খোলা ছাদে দাড়িয়েও তাই নিশিতার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। ওর অনেক জোরে, খুব জোরে একটা চিৎকার দিতে ইচ্ছে হচ্ছিল, মাঝে মাঝেই হয়। যে চিৎকারটা বুকের মধ্যে জমতে জমতে ওর ফুসফুসটাই এখন বোধহয় লুপ্ত হতে চলেছে। যে চিৎ
‘’আইজ আপনেরা কি লক্ষ্য করতেছেন? আমাদের বউঝিগো ঘর থেকে বাইর করনের ফন্দি ফিকির শুরু হইছে! হাজার হাজার যুবক পোলা বেকার ঘুইরা বেড়াইতেছে, তাগো কাম দেয় না; কাম দেয় খালি মহিলা মানুষগো! এইডাই নাকি তাগো প্রতিষ্ঠানের শর্ত! এইগুলা আর কিছু না; সব ইহুদি নাসারা চক্রান্ত!’’ ইমাম মওলানা জাহেদ উদ্দিন বাতেন এরপর সামান্য বিরতি নিলেন!