তাওয়েলোরো
- বের্নার বাঁলাঁ দাদিয়ে।
সে ছিল চাঁদের মত সুন্দর, বাছাটি আমার !
তাওয়েলোরো রে! তাওয়েলোরো !
যাদুমনিরে, সে ছিল দিনের ঔজ্জ্বল্যের মত সুন্দর !
ওরে আমার তাওয়েলোরো! তাওয়েলোরো রে!
সে এক দীর্ঘ অতীতের কথা, যখন পশুপাখিরা কথা কইত, যখন মানুষ, পশুপাখি আর জড় বস্তু একে অপরের ভাষা বুঝতে পারত।
তাওয়েলোরো! তাওয়েলোরো !
[justify] মোরগ মার্কার উপর সিলটি বসানোর ঠিক আগ মুহূর্তে পরিমন বেওয়া মারাত্মক ধান্ধায় পড়ে গেল। গোলাপি রঙের কাগজে ছাপানো মেম্বারদের জন্য নির্ধারিত ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারের একেবারে নিচে বাম দিকে মোরগ মার্কা ছাপানো থাকবে, ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগে পূব পাড়ার সাবেক মেম্বার জমির শেখ খুব ভালো মতো শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে তাঁকে। ছাপ মারার কালি মাখানো সিলটি যেন অন্য কাগজ বাদ দিয়ে মোরগ মার্কাতেই প্রথম ছোঁয়ায়, সে
পথে যেতে যেতে মনে হল রাইট ব্রাদার্স রা নিশ্চয়ই প্রেমে পড়েছিল। না হলে উড়ার কায়দা আবিষ্কার করেছিল কিভাবে? আমি ও উড়ছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম কোন ক্লাসে পড়? “নাইন”। সে ত হবেই। ক্লাস নাইনের চেয়ে জীবনে মধুর কিছু হতে পারে?
--------------------------------------------------------------------------------
[justify]আজ এক নিতান্তই ব্যর্থ মানুষের গল্প বলব। না ভুল বললাম, ব্যর্থতা তো আমাদের সবারই আছে, এ বরং এমন একজনের কথা, যে আমাদের চারপাশের সবজন থেকে কিছুটা আলাদা। এই একজন রহিম-করিম-আব্দুল-জব্বার-রাম-শ্যাম-যদু-মধু যে কেউ হতে পারে। হতে পারে আজকে সিএনজি পাওয়ার সময় যে লোকটাকে দৌড়ে পিছে ফেলে আপনি প্রথম হয়েছেন সেই লোক, বা সেই লোক যে কিনা আজকে আপনার চোখের সামনে বাসে খকখক করে কাশছিল অথবা সেই লোক যে কিনা বা
কন্ট্রোল রুম থেকে মেসেজ,"পন্দো লা রুত পো সান্দানী, উন সিগনা দিত কুই লা"
ব্রিটিশ গ্রোভ
শিমিত্রি দ্য সেইন্ট ডেনিস
প্যারিস, ফ্রান্স।
রাত ১:৪৭
আমাদের হাইস্কুলের নামটা একটু অদ্ভুত। আ,ধ,বে,মে হাইস্কুল। পুরো নাম আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল হাইস্কুল। সবাই ছোট করে বলত ধনাই বেপারীর ছাত্র। আমি ছোট বেলায় অনেকগুলো ব্যাপারে হীনমন্যতায় ভুগেছি তার মধ্যে এই স্কুলের নাম একটা। ধনাই বেপারীর ছাত্র হওয়াটা আমার জন্য মোটেও খুব সুখের কিছু ছিলো না কারণ স্কুলের আসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার ছিলেন আমার চাচা। আমার আব্বা ছিলেন চরম প্রথাগত মানুষ, রবীন্দ্রনাথ নজরুল ছাড়
বাউলে কাহিনী
-বের্নার বাঁলাঁ দাদিয়ে
অনেক অনেক বছর আগে শান্ত একটা লেগুনের কিনারে বাস করত আমাদের ভাইদের শান্তিপ্রিয় একটা গোত্র। তাদের যুবা পুরুষেরা সংখ্যায় ছিল অনেক, ছিল তারা মহৎ আর সাহসী। তাদের নারীরা ছিল রূপবতী আর সুহাসিনী। আর রূপশ্রেষ্ঠাদের মাঝে সুন্দরীতম ছিল তাদের রাণী, মহারাণী পোকু।
বাস থেকে নেমে প্যান্টের পেছনের পকেটে হাত দিয়েই টের পেল, নেই।
থাকার কথাও না। চিড়ে চ্যাপটা ভিড়ে জনসমক্ষে মানিব্যাগ খুলে ভাড়া দিয়েছে। ভাড়া মেটানোর পরপরই গেছে বোধহয়। মানিব্যাগে পাঁচশো টাকার আটটা নোট ছিল, কিছু খুচরো দশ-বিশ-পঞ্চাশ টাকার নোট, কিছু টুকরো মলিন কাগজ, লন্ড্রির স্লিপ, কয়টা আধময়লা ভিজিটিং কার্ড এবং সিনে ম্যাগাজিন থেকে কেটে রাখা মডেল জয়ার ছবি।