লেবু গাছের তলায় চোরটা দাঁড়িয়েছিল চুপচাপ। গভীর আধাঁরে ডুবে থাকা মধ্যরাতে গাছের মতই নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে সে। কেউ কেউ হঠাৎ দেখে গাছ ভেবে ভুল করে। চোরের সেটাই কাম্য। এভাবে সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকতেও তার আপত্তি নেই। মানুষগুলো গাছ ভেবে নিশ্চিন্ত মনে যখন পাশ কাটিয়ে যায় চোর তখন চুপিসারে চুরি করে নেয় মানুষের অতি গোপনীয় সম্পদ। মানুষগুলো এলোমেলো পা ফেলে চলে যায় দূরে কি যেন নেই কি যেন নেই ভাবতে ভাবতে।
[justify] অতো চিন্তাভাবনা করে ব্যবসাটা শুরু করিনি। প্রথমে ছোটোই ছিল। গাড়ির পার্টসের ব্যবসা। তারপর নানা কিছু শিখে ফেলি। লোক ঠকানো একদমই নিতান্ত প্রত্যন্ত একটা সাদামাঠা ব্যাপার। তাই ঠকানো শুরু করি। আচ্ছা, কেবল যে আমি একাই ঠকাই সেটা না। আপনারাও ঠকান। এমনকি আপনিও। স্যরি। রাগ করবেন না। নিজের কথাই বলি বরং। আমার খুব শীঘ্রি আরেকটা পার্টসের দোকান হয়। তারপরে আরো একটা। পরে গাড়ির ডিলারশীপ। গাড়ি বলতে মোটর-সাইক
কোরবানির গরু নিয়ে দবির ছবিরের প্রতিযোগিতা আজকে নতুন কিছু না। আপনারা গত বছর, তার আগের বছর, কিংবা তার আগের যুগেও দেখেছেন। এটাও সেই পুরোনো ঘটনার নতুন চর্বন। এই ঘটনার দুজনও আমার ব্যক্তিগত পরিচিত।
[justify]
সীমান্তের সন্ধ্যা
তারা দুইজন বসে আছেন মুখোমুখি, একটা প্রায় শুকনো খালের উপরের কালভার্টে।
চারপাশ ঘন সবুজ। অশ্বথ আর পিপুল গাছের উঁচু বেষ্টনী চারপাশে, পশ্চিমাকাশের সূর্যের আলো সেটা ভেদ করে ঢুঁকতেও পারছে না ঠিকমত। অসহ্য গরম। এই তপ্ত আবহাওয়ায় ঘন ছায়ার মাঝে বসে থাকলে অবসন্ন লাগাটা স্বাভাবিক। আমীর-উল ইসলামের সেটি লাগছেও।
এক
নুসরাত মধ্যপ্রাচ্যের একটা এয়ারলাইন্সে জয়েন করেছিলো দুইটা জিনিসের আকর্ষণে। ফ্রি টিকেটে বিদেশে ঘোরা আর বিদেশে ট্রেনিং। চাকরির চারমাসের মাথায় যখন বিদেশে ট্রেনিং এর ব্যাপারটা নিশ্চিত হলো, নুসরাত পুরোপুরি ঘাবড়ে গেলো। আড়াই বছরের বাবুইকে রেখে পনেরোদিন থাকতে হবে। বাবুই এর তেমন অসুবিধা হবেনা, সারাদিন তো এমনিই মাকে দেখেনা। মাঝে মাঝে খুঁজবে হয়তো,মাকে সে মা ডাকেনা, বলবে নুতলাত কই? কিন্তু নুসরাত নিজে মেয়েকে না দেখে থাকতে পারবে? তার ভয়াবহ মানসিক অবস্থা হয়, কতোক্ষণে বাসায় ফিরবে আর কতোক্ষনে রাহাতের সাথে কথা বলবে...
আদম পাড়ার চায়ের টংদোকানের সম্মুখে দাঁড়াইয়া একটি ভাঁড়ে করিয়া সুরুৎ সুরুৎ চা পান করিতে করিতে মুচকি হাসিতেছিল। গিবরিল ডানা ঝাপটাইয়া নামিয়া আসিয়া শুধাইল, "ভাই আদম, খাটাশের ন্যায় হাসিতেছ কেন?"
আদম চক্ষু টিপিয়া কহিল, "ঈভকে এইবার এমন ইসকুরু টাইট দানের এন্তেজাম করিয়াছি ওহে গিবরিল, স্বয়ং ঈশ্বরও তাহাকে রক্ষা করিতে অপারগ।"
১.
আমাদের জীবনটাই হিমশৈলের চূড়ায় কাটে। সব ঘটনা, দুর্ঘটনা, সিদ্ধান্ত, তর্কবিতর্ক সেই হিমশৈলের চূড়াতেই নিষ্পন্ন হয়। বাকিটা জলের কত গভীরে নেমে গেছে, তা নিয়ে আমাদের অনেকেরই মাথাব্যথা নেই।
কারণ আমাদের অনেকের মাথাই নেই। যাদের আছে, তাদের অনেকে সেটা খামোকা ব্যথা করাতে চায় না।
গল্প শুনতে চিহ্নর ভাল লাগে খুব।
ছোট ছোট গল্প না, বড় বড় গল্পই ওর বেশি পছন্দের। কিন্তু বড় গল্প কেউ জানে না। আম্মু জানে না, আব্বু জানে না, খালামনি জানে না, মামা জানে না, ভাইয়া জানে না, আপু জানে না, নানা জানে না- নানু জানে কেবল। কিন্তু নানু বলে না।
ফররুখ ভাইকে প্রথমটায় চিনতেই পারিনি। কামরুলকে তাই নির্বিকার চিত্তে যা-তা বলে গালাগালি করেই যাচ্ছিলাম। কামরুল নিরীহ ভালোমানুষ, এক একটা গালি খায় আর প্রতিবাদ করে। শেষমেশ যখন পরিচারিকারমণের অভিযোগ অস্বীকার করে সে ডুকরে উঠলো, তখন দূরে এক জোড়া কোঁচকানো ভুরু দেখে ফররুখ ভাইকে চিনতে পারলাম।
কিন্তু, কিমাশ্চর্যম, ফররুখ ভাইয়ের এই হাল কেন?
তুমি আমায় ডেকে ছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে-১
৬।
“তুমি কবিতা শুনেছো কখনো?” জিজ্ঞেস করে রিশান।
“শুনেছি। তবে খুব কম।" বলে মৌ।
“তোমাকে আমার একটা প্রিয় কবিতা শোনাই?” জিজ্ঞেস করে রিশান
“শোনাতে পারো তবে আমি কবিতা বেশী ভালো বুঝি না। গান এমন করে শোনাতে চাইলে বেশী ভালো হতো।" মিটমিট করে হাসতে হাসতে বলে মৌ।