[justify]
বইমেলা ২০১৪’ থেকে কেনা বইগুলোর পাঠ প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্যে এই ধারাবাহিক। ইচ্ছে আছে পরের পর্বগুলো লেখার, পারবো নাকি জানি না।
অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প – শাহাদুজ্জামান
এককালের মসজিদের শহর ঢাকা, মাঝে কিছুদিন রিকশার শহর হয়ে এখন সম্ভবত এপার্টমেন্ট বাড়ির শহর হতে চলেছে। আমাদের বাসাটাও সম্প্রতি ভেঙ্গে এপার্টমেন্ট হলো। একদিক দিয়ে সুবিধে, নতুন কাঠামো, বাড়তি আবাসান, আবার সবাই মিলে সমিতি করে দারোয়ান/তত্ত্বাবধায়ক রাখলে নিরাপত্তাও কিছুটা হলে পাওয়া যায়। তো মোটামুটি প্রতি এপার্টমেন্ট বাড়িতে নিচতলায় গ্যারেজ থাকে, আর থাকে একটা কমিউনিটি ঘর
উপকরণ অতি সামান্য।
শাহাদুজ্জামানের লেখার সাথে পরিচয় ছিল না। কয়দিন আগে বাংলাওয়েবপোর্টালে তার একটি স্বাক্ষাতকার দেখলাম। তিনি তার বইমেলায় প্রকাশিত বই এবং অন্যান্য কিছু বিষয় সম্পর্কে কথা বলেছেন। ঐটা দেখেই '' আধো ঘুমে ক্যাষ্ট্রোর সঙ্গে '' নামের ডকুফিকশন টা পড়ার ইচ্ছা হল। ডকুফিকশন নামটাও সেদিন নতুন শোনা।
ভাবতাম, মাছি মারা কেরানি হচ্ছে অফিসে তেমন একটা কাজ কর্ম পায় না, বসে বসে মাছি মারে, তেমন কেউ। আবার অনেক সময় ভাবতাম, খুব নগন্য কাজের জন্য যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তেমন কেউ বুঝি। মানে, অফিসে ব্যাপক মাছির উপদ্রব, রেগেমেগে বড় সাহেব একজন লোককেই নিয়োগ দিয়ে ফেললেন। তার কাজ হলো এইসব মাছি মারা। সে মাছি মারা কেরানি। তবে প্রকৃত মাছি মারা কেরানিকে চিনতে পারলে বুকে কাঁপন ধরে যায়। সে চাকরী করে ইংরেজ সাহেব
বইমেলায় বাংলা একাডেমীর উঠোনের অংশে এবার ভিড় কম ছিলো, বেশিরভাগই সরকারী প্রতিষ্ঠানের স্টল। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর স্টলে এসে বই দেখতে গিয়ে চোখে পড়লো ছেঁড়াখোঁড়া বেগুনী রঙা একটা বই, 'ঊনিশ শতকে ঢাকার থিয়েটার'।
ছেঁড়াখোঁড়া হলেও, প্রচ্ছদের চেহারা পছন্দ হওয়ায় আর শাড়ির রঙের সাথে মিলে যাওয়ায়, পঞ্চাশ টাকা দিয়ে সেই ছেঁড়া বই এর মালিকানা প্রাপ্ত হলাম।
[justify]
বইমেলায় এবার যেতে পেরেছি মাত্র একদিন। সেই অবসরেই যা পেরেছি, কিনেছি। তাড়াহুড়োয় আর প্রকাশনীর নাম মনে না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও কিছু বই বাদ পড়ে গেছে কিনতে। হঠাৎ করেই সদ্য পড়া বইগুলোর রিভিউ করে ফেললাম। বই নিয়ে আলোচনা করতে ভালো লাগে। হয়তো বইমেলা থেকে কেনা অন্যান্য বইগুলো নিয়েও আলোচনা করবো সামনে।
নেমেসিস – মোঃ নাজিম উদ্দিন
সাবটাইটেল দেখে থমকে গেলেন?
আপনার ভালোর জন্যই বলছি। খালি পেটে এ বই পড়তে বসবেন না। আর যদি আমার ভালোমানুষি উপদেশ অগ্রাহ্য করে পড়তে বসেই যান বইটা, পেটে খিদে নিয়েই, তাহলে আপনার বিড়বিড় করা বকাঝকা আর চিড়বিড়ে মেজাজ এর দায় কিন্তু আমি নেবো না।
শাং গ্রি লা কথাটা প্রথম উঠে আসে জেমস হিলটনের উপন্যাস লস্ট হরাইজন এ। তিবেতান হিমালয়ের এর দুর্গম অংশ, যেখানে আধুনিক মানুষের পা এখনো পড়ে নাই, সেইখানে আছে এক রহস্যময় উপত্যকা। ওইখানে মানুষের বয়স বাড়ে না, কোন অসুখবিসুখ হয় না। লোকজন আক্ষরিক অর্থেই অমর।
এপ্রিল ২৮, ১৯৭১ পাটোয়ার বাগান লেন
আজ আমার জন্য খুব দুঃখের দিন। সৈয়দ মুজতবা আলী আমাকে তার ৫ নং পার্ল রোডের তেতলার ঘর থেকে বের করে দিলেন।