ভেবেছিলাম ঘোর কেটে গেলে লিখব, অথবা সম্ভবত ঘোর কেটে গেলেই লিখব। সেই ভেবেই অপেক্ষা করছিলাম, দু-চার দিন, কিন্তু ঘোর কাটল না, কাটছে না, বরং ঘোরের মধ্যেই পড়ে ফেললাম আরেকটা বই। সে জন্যেই লিখতে বসা। ঘোর কাটার অপেক্ষায় থাকলে হয়ত লেখাই হয়ে উঠবে না। লেখা না হয়ে ওঠা আরও অনেক সম্ভাবনাময় লেখার মত হারিয়ে যাবে, অনেক লেখাই যে রকম ভ্রুণ অবস্থায় হারিয়ে যায়। অবশ্য তাতে বিশেষ কিছু ক্ষতি হয়নি বা হয়না। আমি এমন কিছু লিখ
বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক-অর্থনীতি: পাঠ পর্যালোচনা ০১
[justify]বার্ষিক ২,০০০ টাকা নীট মুনাফা’র পাশাপাশি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার (৭.৫% থেকে ৯%) মূল স্রোতের প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে, এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে সৃষ্ট চলমান সামাজিক বৈষম্য অপরিবর্তিত থাকলে অর্থনীতির সাম্প্রদায়িকী-করণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেছেন অধ্যাপক আবুল বারাকাত। বার্ষিক নীট মুনাফার খাত-প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক যে চিত্র তিনি তুলে ধরেন তা থেকে দেখা যায় মোট নীট মুনাফার শতকরা ২৭ ভাগ আসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি’গুলো থেকে। এরপর সর্বোচ্চ ১৮.৮% আসে বেসরকারি সংস্থা, ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশন কিংবা অন্যান্য খাত থেকে; বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর) থেকে আসে
[justify]অধ্যাপক আবুল বারাকাত বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন আগেই, তারপর সেটা আরও পরিবর্ধিত হয়েছে বিভিন্ন সময়। পরিবর্ধিত রূপটি একটি ছোট বই আকারে বের হয়েছে ২৬ জুন ২০১২ সালে। মাত্র ৩০ টাকা দামের বইটি পড়তে শুরু করলে এক পর্যায়ে থমকে যেতে হয়, জানা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নীট মুনাফা ২,০০০ কোটি টাকা (২৫০ মিলিয়ন ডলার)!
রবীন্দ্রসঙ্গীত ও সুবিনয় রায় নিয়ে গালগল্প এই বেলা সেরে নেয়া যাক!
রবীন্দ্রসংগীতের গায়কী নিয়ে রচিত দ্বিতীয় অধ্যায়টি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। সুবিনয় রায় সমগ্র রবীন্দ্রসংগীতকে ৩ টি পর্যায় বা ধারায় বিভক্ত করেছেন, যথাঃ
১। হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীত প্রভাবিত রচনা,
২। বাংলার লোকসংগীত ও কীর্তন প্রভাবিত রচনা, ও
৩। স্বকীয় সৃষ্টিমূলক সংগীত রচনা (original creative composition)।
বইটা বহুদিন আগে বাংলাদেশের এক নামজাদা রবীন্দ্রগেঁড়ের বাসায় দেখেছিলাম। পাতা উলটে বুঝেছিলাম যে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়নরীতির প্রায়োগিক দিকটি নিয়ে বইটা লেখা। কিন্তু সেই বিশিষ্ট রবীন্দ্রগেঁড়েটি বই ইত্যাদি ধার করলেও ধার দিতে চান না, দিলে যদি তাঁর চে’ বেশি শিখে ফেলে?
“রাজনীতিবিদদের জন্য জটিল করে যাব রাজনীতি” বলে ছিলেন মেজর জিয়া। কিন্তু তা পূর্ন বাস্তবে পরিণত করে দেখিয়েছে এরশাদ। “মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান”। নীচে লেখা ছিল হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। এই ধরণের ব্যানারে সাজানো ছিল রাজধানী ঢাকার পথ-ঘাট। ঠিক একই সময়ে অনেক সময় এরশাদের ব্যানারের নীচেই ঝুলত; মেজর ফারুক- রশিদের ফ্রিডম পার্টির বক্তব্য; “ শেখ মুজিবকে হত্যা করে দেশ স্বাধীন করেছি ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫।