(১)
সম্প্রতি পড়া বইগুলোর মধ্যে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের “ভ্রমণ সমগ্র” বইটা নানা কারণেই ভালো লাগল। প্রথমত, সঞ্জীবের স্নিগ্ধ ও কখনো তীর্যক হাস্যরসাত্মক গদ্যশৈলী এবং দ্বিতীয়ত, সবুজ দ্বীপ আন্দামানের প্রকৃতি, জীবনসংগ্রাম এবং ইতিহাসের সাবলীল বর্ণনা। সংকলনটিতে রয়েছে দুটি গ্রন্থ, ১। আন্দামান। ভারতের শেষ ভূখণ্ড এবং ২। দানব ও দেবতা। আমার কাছে দুটো ভ্রমণকাহিনীই ভালো লেগেছে, তবে দ্বিতীয়টিকে একটু মেদবহুল বলে মনে হয়েছে। আক্ষেপের বিষয় আলোচিত কোন স্থানেই যাবার সুযোগ আমার ঘটেনি। বাংলাদেশের আর দশটা তরুণ পেশাজীবির মতোই আমার অর্থ এবং সময় দুটোরই ভীষণ টানাটানি। ভ্রমণের ক্ষেত্রে অর্থ একমাত্র শর্ত না হলেও অন্যতম তো বটেই। কাজেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য ভ্রমণ কাহিনী পাঠ এবং মানস-ভ্রমণ, বিলকুল বিনে পয়সায়!
জেমস রেনেল, বাংলার গ্রহনযোগ্য একটি মানচিত্র তিনিই প্রথম অঙ্কন করেন
বই ছাড়া আমি থাকতে পারি না, সে হোক ঘর বা বাহির, টাট্টিখানা বা বিমানের অন্দরে, পুস্তক লাগবেই, ইদানীং অবশ্য পিডিএফ নামক প্রযুক্তির ফলে সেটা দিয়েও কাজ চলে। আর ভ্রমণের সময় বই বাছাই করি একটু সাবধানে, যাবতীয় ভ্রমণে টিনটিন নামের রিপোর্টারটি পাশে থাকবেনই, এবং এলাকা বিশেষে উনার কাহিনীও বাছাই করা হবে সেই ভাবেই, যতবার নেপালে গেছি তিরতির আনন্দ এবং মিগুর সাথে দেখা হবার উৎকণ্ঠা নিয়ে পড়েছি তিব্বতে টিনটিন,
[justify] যুগে যুগে গল্প-কবিতা লিখতে গিয়ে বিপদে পড়েছে অনেকেই। কিন্তু সে তো মেইন স্ট্রিম সাহিত্য। সাইন্স ফিকশন লিখতে গিয়ে সবচেয়ে বড় বিপদে পড়েছে এমন কারো নাম কি বলতে পারেন? উত্তরটা শুনলে অবাক হতে হয়, এই কল্পবিজ্ঞান লেখকের নাম ইয়োহানেস কেপলার!
বইটার নাম খুব গালভারী। দ্যা শক ডক্টরিন: দ্যা রাইজ অভ দ্যা ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম। গুডরিডসে প্রায় সাড়ে বারো হাজার লোক গড়ে ৪.২২ রেটিং দিয়েছে। সেখানকার হিসেবে অনেক উঁচু রেটিং। আগ্রহী হয়ে পড়া শুরু করলাম।