ক্যারোলিন আমেরিকার একটা শহরের স্কুল চেইনের খাদ্য নিয়ন্ত্রনের প্রধাণ। তার দায়িত্বে সেই শহরে প্রায় একশটা স্কুলের টিফিন নিয়ন্ত্রিত হয়। এক সন্ধ্যায় আড্ডার সময় তার পরিসংখ্যানে পারদর্শী বন্ধু , একটি খাবার বিক্রেতা প্রতিষ্টানের হর্তাকর্তা অ্যাডাম আর সে একটা পরীক্ষা করবে বলে স্থির করল। স্কুলের ক্যাফে গুলোতে খাবারের তালিকা ঠিক রেখে কেবল খাবারের পরিদর্শনে অদল বদল করলে কি হয়, সেটা দেখবে। ক্যারোলিন তা
আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যারের “নিউইয়র্কের আড্ডায়” পড়েছি বেশ কিছুদিন আগে। খাতায় দেখছি, তারিখটা ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের! লেখাটা টাইপ করা হয়নি আমার কুখ্যাত আলস্যের কারণে!
আমার জাগরণগুলি স্বপ্নের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে কমজোরি তথা অনির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছে।
-সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়
ছোটবেলা থেকে বই পড়ার ক্ষেত্রে একটা বিচ্ছিরি অভ্যাস গড়ে উঠেছে আমার। বই পড়ছিতো পড়ছি, সেদিন আর অন্যকিছু করা হচ্ছে না। বই পড়া শুরু করে তার ভেতরে ঢুকে গেলামতো হলো, ওটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাকি সব কাজ বন্ধ। আগে এতে খুব একটা সমস্যা হত না। তেমন কাজকর্মতো ছিল না, অঢেল সময়। ইচ্ছেমত বই পড়ে যাচ্ছি। ইদানীংকালে এতে বেশ সমস্যা হয়। এই অভ্যাসের কারণে বই পড়াই বেশ কমে গিয়েছে আজকাল। কাজ-অকাজ-কুকাজের ভীড়ে
ডকিন্সখুড়োর বইখানা মূলত বাচ্চাদের বিজ্ঞান-পরিচিতির জন্য লেখা; তাই সম্প্রতি বেশ হইচইয়ের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হলেও পড়ার আকাঙ্খা তেমন একটা ছিল না। কিন্তু পোলাপান যখন বইটা আমার বাড়িতে কয়দিনের জন্য রেখেই গেছে, তখন হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেললে পাপ হবে।
কিশোরদের জন্য বিজ্ঞান-পরিচিতর বইগুলো লেখকেরা যথাসম্ভব আগ্রহোদ্দীপক করেই লেখার চেষ্টা করেন। ডকিন্স কিন্তু একটা অন্য পন্থা নিয়েছেন – চিরকাল আকর্ষণীয় যে কাহিনীগুলো, সেইসব উপকথা-রূপকথা-প্রবাদকাহিনী দিয়েই শুরু করেছেন তাঁর প্রতিটা অধ্যায়।
ছেলেবেলায় অন্নদাশঙ্কর রায়ের 'পথে প্রবাসে' গ্রন্থ থেকে 'পারী' পড়েছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠ্যসূচীতে। তখনকার তরুণ মনের চোখে সত্যিই প্রবন্ধটি মায়াপুরীর অঞ্জন এঁকে দিয়েছিল। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল 'পথে প্রবাসে' বইটি পড়ার। কিন্তু সেই দশম শ্রেনী থেকে শুরু করে দশটি বছর খুঁজেও বইটি পাইনি। তাই গতমাসে যখন ময়মনসিংহের 'আজাদ অঙ্গনে' বইটি আবিস্কার করলাম তখন আমার দশা হাতে চাঁদ পাবার মত। পাইরেট করা জেরক্স কপি
Reasoning with a two-year old is about as productive as changing seats on the Titanic.
বস্টনের মতই লন্ডনে এসেও পুরোনো বইয়ের দোকানগুলোয় মাঝেসাঝে উঁকি মারি। চ্যারিং ক্রস রোডের উপর পরপর কয়েকটা ভালো দোকান আছে কিনা। কালকে এমনই একটা দোকানের এক কোনার রোগামত একটা শেলফে দেখি একগুচ্ছ বই রয়েছে, পুরোনোকালের ব্রিটিশ হিউমারের উপর। বেশিরভাগই আবার দুষ্টু হিউমার। মাত্তর এক টাকা দাম, টপাটপ গুটিকয় ব্যাগবন্দী করে বাড়ি নিয়ে চলে এলাম।
জীবনানন্দ দাশের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘মাল্যবান’। উপন্যাসের নায়িকা উৎপলা। আর নায়ক মাল্যবান। উপন্যাসে মাল্যবান উৎপলা সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছে। সেই মন্তব্যে একটু নজর বুলিয়ে নিই-
‘মরা নদীর বালির চেয়েও বেশি বিরসতায়’
‘একটা অদ্ভুত নিরেট নিগ্রহময়তায়’
উৎপলা ‘জলভারানত নীল মেঘ নয়-সাদা কড়কড়ে মেঘ-দূরতম আকাশের’
‘ভাল বংশের সুন্দর শরীরের নিচু কাণ্ডজ্ঞানের নিরেস মেয়েমানুষ’
শুকনো রোদে পোড়া দেশ আমার, সারা মহাদেশের একমাত্র ভূখণ্ড যার সাথে দুই-দুইটি মহাসাগরের সখ্য আছে কিন্তু বাস্প ভেজা শীতল হাওয়া আর পোয়াতি কালো মেঘেরা ঊষর প্রান্তর পেরিয়ে আমাদের উঠানে আসতে পারে না, তার আগে আগে ঝরে ঝরে রীতিমত হালকা অবস্থায় ফ্যাঁকাসে দর্শন দিয়ে শিমুলের তুলার মত দূর থেকেই সীমানার বাহিরে চলে যায়। চাতককে হার মানিয়ে অধিকতর আগ্রহ নিয়ে আকাশ পানের চেয়ে থাকি আমরা দিবা-রাত্রি, যদি দলহারা
ঠান্ডা সিমেন্টের মেঝেতে তিনি শুয়ে আছেন। চোখ মেলে দেখলেন, মাথার উপরে গোল ছাদ। চার পাশে মোটা মোটা লোহার গরাদ। তিনি কোথায়?
তিনি উঠে দাড়ালেন। তার পরনে একটা লুংগি। উর্ধাংগে স্যান্ডু গেনজি। পায়ে রুপসা চপ্পল। ঘরের পোশাকেই আছেন তিনি, কিন্তু ঘরে নয়। তিনি কোথায়?
এগিয়ে গিয়ে গরাদ ধরে দাড়ালেন তিনি। বাইরে খোলা আকাশ। চারপাশে সবুজ ঘাস। যত দুর চোখ যায়, শুধু আকাশ আর ঘাস। তিনি কোথায়?