বাংলাদেশে দশক ভিত্তিক গল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এখন মনে হয় আন্তর্জাল গল্প আমাদের গল্প আলোচনার আরেকটা প্লাটফর্ম খুলে দিলো। এখানকার লেখকরা ভালো লিখছেন, তাদের বই পুরস্কার পাচ্ছে। এদিকে আন্তর্জালের লেখালেখির সুবাদে তাদের একটা নির্দিষ্ট পাঠকশ্রেণী গড়ে উঠেছে। এই পাঠকরা বইমেলায় গিয়ে লেখকের নাম ধরে, বইয়ের নাম ধরে বই খুঁজছেন, কিনছেন। প্রকাশকরা তাদের বইয়ের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল নবীন লেখকদে
০।
এই লেখাটিকে মোটাদাগে কোন 'পাঠ প্রতিক্রিয়া' বলা যাবে না নিশ্চয়ই। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় পাঠক পঠিত গ্রন্থের উপর একটা চমৎকার আলোচনা আশা করেন। সেরকম কিছু আশা করলে বিজ্ঞ পাঠককে হতাশ হতে হবে। কেননা "যদ্যপি আমার গুরু" পড়ার পর থেকেই অনেকদিন ধরে জমে থাকা কিছু কথা ভাষায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কীবোর্ডটা আকুপাকু করছে। কিন্তু কিছুতেই লেখাটা গুছিয়ে নিতে পারছি না। আমি আসলে কাকে ফোকাস করে লিখবো- আহমদ ছফাকে, প্রফেসর রাজ্জাককে না সরল অর্থে এই বইটাকে? তার উপর আহমদ ছফা ও এই বইটির পূর্বাপর নিয়ে সচল শুভাশীষদা এতো চমৎকার একটা সিরিজ লিখেছেন, যে এরপর কিছু বলতে যাওয়াটাই বাহুল্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু য়ামাদের গুরু তো অনেক আগেই বলে গিয়েছেন, "ওরে প্রাণের বাসনা, প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি"। সেই ভরসাতেই লেখাটায় হাত দিলাম। ভুলত্রুটি কিছু হলে বিজ্ঞ পাঠক ক্ষমাসুলভ দ্ষ্টিতে দেখবেন, এইটুকু আশা করতেই পারি।
[justify]১.
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বড্ড কাড়াকাড়ি। রাজনৈতিক দলগুলো, এমনকী জামায়াত ইসলামীও মুক্তিযুদ্ধের নিজস্ব ইতিহাস বয়ান করে। জনগন তাই বিরক্ত, তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে চায়। এমতাবস্থায় প্রথম আলোর সহযোগি প্রতিষ্ঠান প্রথমা নিয়ে এলো গোলাম মুরশিদের বই "মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর, একটি নির্দলীয় ইতিহাস"। সাধু সাধু...
টিনটিনের পরেই বোধহয় বিদেশী কমিক্সের মধ্যে অ্যাসটেরিক্স আমাদের কাছে সবচেয়ে সমাদৃত। প্রতিযোগিতায় অ্যাসটেরিক্সের পিছিয়ে থাকার একটা বড় কারণ অবশ্য এর অনুবাদের অভাব। ১৯৯৫ থেকে শুরু হয়ে ২০০২ সাল অবধি প্রথম দশটা বই বাংলায় বের হয়েই অনুবাদ বন্ধ হয়ে যায়। শুনছি এই বছর আবার নতুন করে অনুবাদ চালু হয়েছে, ‘ঢালের খোঁজে অ্যাসটেরিক্স’ দিয়ে।
মূল কাহিনীর শুরু ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে-
এক ভারতীয় প্রায়-প্রৌঢ় প্রফেসর আমেরিকায় এক কনফারেন্সে গেছেন বউ নিয়ে। বেশ ভাল হোটেলে ঘর দিয়েছে উদ্যোক্তারা, চেক-ইন করার সময় সুন্দরী রিসেপশনিস্ট মিষ্টি হেসে বলল, “প্রিয় অতিথি, আমরা আপনার সব রকম সেবায়’ই সচেষ্ট – এমনকি যদি মাঝরাত্রেও যদি আপনার বিশেষ কিছু দরকার হয় তাহলে আমাদের ফোন করে জানাবেন অবশ্যই।”
১.
ছোটবেলায় গ্রামে বেড়াতে গিয়ে শব্দটা প্রথম শুনি... একজন আরেকজনকে গালি দিচ্ছে "নডীর পুত" বলে। তখনো জানি না নডী বা নটী কী। তারচেয়ে শহুরে ভার্সনটাই বেশি বোধগম্য, "খানকীর পোলা"। ততদিনে এর অর্থ জেনে গেছি, চিনে ফেলেছি "খানকী"দের।
১.
ছোটবেলায় গ্রামে বেড়াতে গিয়ে শব্দটা প্রথম শুনি... একজন আরেকজনকে গালি দিচ্ছে "নডীর পুত" বলে। তখনো জানি না নডী বা নটী কী। তারচেয়ে শহুরে ভার্সনটাই বেশি বোধগম্য, "খানকির পোলা"। ততদিনে এর অর্থ জেনে গেছি, চিনে ফেলেছি "খানকি"দের।
সাম্প্রতিক আড্ডার ভিত্তিতে এই পোস্টটা সচলভগিনী তিথীডোরের সম্মানে দেওয়া হল
কলেজে পড়ার সময় আমরা কয়েকজন বন্ধুরা টিনটিন নিয়ে নানারকম ঘাঁটাঘাঁটি, ইন্টারনেটের সাইটে-ফোরামে গুঁতোগুঁতি করতাম। মানে শখের টিনটিনোলজিস্ট – টিনটিন-বিশারদ হয়ে উঠেছিলাম আর কি। নিজের ব্লগে বা সাইটে বইয়ের থেকে ছবি লাগানোর একটা অফিশিয়াল অনুমতিপত্রও পেয়েছিলাম হার্জের ফাউন্ডেশনের থেকে। অনেকদিন পর সেইসব গল্পগাছা আবার কিছু করার ইচ্ছা হল।
আমাদের ডকিন্সখুড়ো একটা মাথাপাগলা লোক, সেটা সবাই জানে। ট্যাঙস ট্যাঙস কথা বলে। ধম্মকম্মের নাম শুনলেই তোপ দিয়ে উড়িয়ে যেতে চায়। এইসব বেয়াক্কেলে কাজের জন্য তার কপালে যে অনন্তকাল রৌরব নরক রয়েছে সে তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেসব বাদ্দিয়েও খুড়ো কয়েকটা বড় বড় বদবুদ্ধি প্রচার করে গেছেন। সেলফিশ জিন, এক্সটেন্ডেড ফিনোটাইপ এসব বইতে সেসব ফলাও করে লিখেওছেন। সেদিন আমার এক দোস্ত কইল, ‘ভাইরে, খুড়োর ভিডিও দেখি, কড়া কড়া কথা মজাই লাগে, কিন্তু কোনো বই তো পড়ি নাই! Am I missing something?’ তাই ভাবলেম, ডকিন্সখুড়োর প্রধান বৈজ্ঞানিক দুষ্টুবুদ্ধিগুলোর একটা ছোট আলোচনা করা যাক, হাজার হোক খুড়ো তো আসলে একজন জীববিজ্ঞানী!