পর্ব তিন:
ইন্টারনেটের জন্মই হয়েছিল একে অপরের সাথে তথ্য ভাগ (share) করার জন্যে। আমরা বিগত দশকে উইকিপিডিয়া, ফেসবুক, ফ্লিকার ইত্যাদি যে সব উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ দেখেছি সেগুলো কিন্তু সফল হয়েছে আমার আপনার স্বেচ্ছাসেবার ফলে বেশী পরিমাণে বিষয়বস্তু (content) তৈরীর মাধ্যমে। ইন্টারনেট সেইসব ব্যক্তির ...
পর্ব: দুই
আগের পর্বে আলাপ করেছিলাম একবিংশ শতাব্দীর ফ্রি বা বিনে পয়সার ডিজিটাল পণ্যের ধারণা সম্পর্কে যা আমাদের ভবিষ্যতকে বদলে দেবে। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই হয়ত বলবে যাহ্ এটি কোন ব্যাপার হলো? আমরা তো দেখে আসছি ইয়াহু, জিমেইল ইত্যাদি বিনে পয়সায়ই পাওয়া যায়। আমরা ৫০ টাকায়ই সফ্টওয়ারের সিডি কিনতে পাচ্ছি - এ আবার নতুন কি? মাইক্রসফ্ট অফি ...
প্রথম গল্পগ্রন্থ "অন্ধ তীরন্দাজে" আমরা যে কায়েস আহমেদকে দেখতে পাই, তার সাথে গল্পগ্রন্থ -লাশকাটা ঘরের কায়েস আহমেদের মেলাতে গেলে আমূল চমকে যেতে হবে। আগের সেই অবিন্যস্ততা, খ্যাপাটেপনা ঝেড়ে ফেলে এখানে তিনি অনেকটাই থিতু, বিষয়প্রকরণেও সমান মনোযোগী। গল্প বলার সহজাত ঢংকে তিনি খাপছাড়া তলোয়ারের মত ঝলকে ঊঠতে দেননি, তাকে শাণিত করেছেন যতনভরে, দেখ ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
ভারতবর্ষের ইতিহাস বেশ পুরনো। কত পুরনো তা সময়ের নিক্তি দিয়ে ঠিক ঠাক মেপে দেয়া হয়তো যাবে না। তবে হাজার বছর ধরে যে সভ্যতার পাদপীঠ হয়ে রয়েছে এ অঞ্চল তা বাজি ধরেই বলে দেয়া যায়। কেননা প্রাচীণ কালের অনেক পুস্তকে সেই সময়কার ভারতের বিবরণ খুঁজে পাওয়া যায়। আমাদের বিলক্ষণ জানা আছে যে গ্রীকরা এক সময় জ্ঞানে বিজ্ঞানে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছিল। ...
নব্বুইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে ইন্টারনেট যখন এল তখন এটি ছিল খুবই একটি খরুচে প্রযুক্তি। মাইক্রোসফ্ট অফিস/উইন্ডোজ সহ দামী কম্পিউটারের সাথে আট হাজার টাকা দিয়ে মডেম কেন, ইমেইলের জন্যে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আইএসপির ডায়ালআপ অ্যাকাউন্ট খোল - ইত্যাদি - এর সাথে সাথে ফোন বিল ও আইএসপির মিনিট প্রতি চার্জের ব্যাপারটি তো ছিলই। কিন্তু আজকের কথা চিন্তা করুন, ফোনেই থাকে মডেম আর বাংলাদে ...
বাইরে এতো সুন্দর আবহাওয়া! এই বসন্তের শ্রেষ্ঠদিন আজ। মায়ের সাথে আঁচলকে পানির কাছে ছেড়ে আসলাম। ডুব-সাঁতার দিতে শিখুক মেয়েটা। সময় পাওয়া খুব কঠিন। এমন মূল্যবান সময় নষ্ট করে প্রায় আটশ পৃষ্ঠার বইটা পড়ে লেখকের প্রতি যে অশ্রদ্ধা এবং ক্ষোভ মনে জন্মেছে, তার কিছুটা আপনাদের সাথে ভাগ না করলে কমবে না।
সাধারণত বড় বই দেখলে ভয় পাই। পড়ার সাহস না থাকলেও এই বড় বইটা ঘরে দেখে মনে মনে খুশিই ছিলাম। ...
তাঁর সাথে আমার পরিচয় কোন এক ঘোরতর দাবদাহের দিনে। আজিজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, ঢুঁ মারার লোভটা বরাবরের মত সংবরণ করতে পারলামনা। দোকানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বইগুলোকে আলগোছে চেখে নিচ্ছিলাম। পকেটের অবস্থা তখন গড়ের মাঠপ্রায়, তাই চাখতেও হচ্ছিল রয়েসয়ে, পৃথুল বইগুলোর লোলুপ প্রলোভন এড়িয়ে ক্ষীণবপুগুলোর দিকে। হঠাৎ করেই হলুদ মলাটের একটি বইয়ের ওপর নজর আটকে গেল। বলে রাখা ভাল, খানিকটা অবাকই ...
অন্য কোনো লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখেও অসাধারণ লেখক হওয়া যায় [যেমন শহীদুল জহির], কিন্তু "পাঠক পাঠক ভাই ভাই, নতুন বইয়ের খবর চাই" নাহলে কোনো লাভ নাই। পাঠক হওয়া ভারী মুশকিল।
পারভেজ ভাই খোঁজ না দিলে হয়তো শহীদুল জহির পড়তে আরো অনেক দেরী হয়ে যেত। পাভেল ভাই একদিন আড্ডায় কালো বরফ না আনলে মাহমুদুল হক হয়তো পড়া হতো তাঁর মৃত্যুপরবর্তীতেই। অমিতাভ উপহার না দিলে শাহাদুজ্জামান কবে পড় ...
আমার জগতে তখন সাদাকালোর কোন ঠাঁই ছিলনা, পুরোটাই ছিল ভীষণ রকম রংদার। স্কুলের ঘন্টা বাজত ঢংঢং, একছুটে চলে যেতাম লালচে ইটের স্কুলমাঠে, বিকেলের ফিকে আলোয় দেখতে পেতাম যেন রংধনুর সাত রঙ। বাড়ি ফেরার সময় চারপাশটা আগাপাশতলা চেখে ফেলত আমার নবিশ চোখ; টুংটুং করে বেল বাজানো রিকশাওয়ালা, স্টেশনারি দোকানের ক্লিশে সাইনবোর্ড, অদূরের প্যারেড ময়দান কাঁপিয়ে বেড়ানো ছোকরার দল, সবকিছুই দেদারসে আনন্ ...
“এবারের বর্ষার বইমেলায় সচলায়তনের লেখকদের মধ্য থেকে একমাত্র গৌতমেরই বই বেরিয়েছে”- নজরুল ভাইয়ের মুখে এমনতর কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই ভড়কে যাই। কারণ এ সময়ে আমার কোনো বই বের হওয়ার কথা না। একটা ছোটখাট ও অগুরুত্বপূর্ণ বই বেরিয়েছে গত ফেব্রুয়ারির বইমেলায়, এমনই আরেকটা হয়তো সামনে বেরুবে- যদি প্রকাশক দয়া করেন। আমি তাই কিছুটা অবাক হয়ে ও প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে সেদিন নজরুল ভাইয়ের মুখে তাকাল ...