সম্প্রতি আমি লিন্ডা সিগারের লেখা ক্রিয়েটিং আনফরগটেবল ক্যারেকটারস বইটি পড়া শুরু করেছি। কোন সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য কিভাবে একটি চরিত্র সাজাতে হয় তার উপর এই বই।
একটা গোটা বছর চলে গেল, সচলে কিচ্ছুটি লিখিনি| আগে তাও মাসে একটা করে লিখতাম, সেটা কমে এলো বছরে একটা, তাও হয় না| এখানে একটা বিরস মুখের ইমোজি দেওয়াই যেত, কিন্তু থাক --- কী হবে! যা হয় নি, হয় নি| ২০১৫য পড়া বই নিয়ে, লেখককে নিয়ে লেখার আহ্বানটা দেখে অবশেষে লিখেই ফেললাম| আগের কয়েকটা বছরের তুলনায় ২০১৫ তে পড়া হয়েছে প্রচুর| কাজেই লিখতে গেলে তিন চারখানা ব্লগ লিখে ফেলাই যায়| আপাতত বেশী ভ্যানতাড়া না করে একটা অন্তত লিখেই ফেলি|
"ড্যাঞ্চীনামা' দিয়ে পরিমল ভট্টাচার্য্য পড়া শুরু করেছি ২০১২তে, কিন্তু এই লেখককে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম ২০১৫তেই| যে দুটো বই চেটেপুটে পড়েছি --
১) "শাংগ্রিলার খোঁজেঃ- হিমালয়ে গুপ্তচারণার তিন শতক"
২) "দার্জিলিং ঃ- স্মৃতি সমাজ ইতিহাস"
পাঠক হিসেবে ২০১৫ চমৎকার কেটেছে, গুডরিডসের হিসেব মতে ৫৪টা বই পড়েছি, প্রকৃত সংখ্যা আরো একটু বেশি হতে পারে। ২০১৫ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছি এমন কোন একজন লেখকের বই নিয়ে লিখতে বসে দেখলাম এই সংখ্যাটাও বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে নেহায়েত কম না। শেষ পর্যন্ত এমন একটা বইতে কম্পাসের কাঁটা স্থির করলাম যেই লেখক/ যার লেখা বই এর কথা গুডরিডস রেকমেন্ডেশানের আগে কখনো শুনিনি-বই এর নাম ‘[url=https://www.goodreads.com/book/sh
১.
সম্প্রতি Historicizing 1971 Genocide: State versus Person নামে একটা বই হাতে পেলাম। ২০০৯ সালে প্রকাশিত বইটির লেখক Imtiaz Ahmed, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেখানকার Centre for Genocide Studies এর ডিরেক্টর।
বইটির শিরোনাম, ‘একাত্তরের ইতিহাসকরণ’ অবশ্যই ইন্টারেস্টিং এবং প্রমিসিং, সুষ্ঠুভাবে একাত্তরের ঘটনাবলীর ইতিহাস লেখার যে কোনো প্রয়াসই প্রশংসনীয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সে কাজ করতেই পারেন। বিশেষত লেখক নিজেই বলছেন যে তিনি একাত্তরের জিনোসাইড বিষয়ে প্রায়ই একাডেমিক বক্তৃতা দেন, যাতে নাকি এমনকি পাকিস্তানি গবেষকরাও আগ্রহী। তবে বইটির উপ-শিরোনাম অদ্ভুত লাগল, একাত্তরের ইতিহাস রচনার প্রয়াসকে ‘রাষ্ট্র বনাম ব্যক্তির দ্বন্দ্ব’ হিসাবে দেখানোর প্রয়োজন আছে কি?
পল্লী কবি জসীম উদদীন ১৯৫০ সালে মার্কিন দেশে গেছিলেন সরকারি সহায়তায়, পথিমধ্যে থেমেছিলেন বাহরাইন, লন্ডনে এবং আইসল্যান্ডে অল্প সময়ের জন্য, আবার আমেরিকার থেকে ফিরে গিয়েছিলেন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। সেই সময়ের অধিবাসীদের গল্প লিখেছিলেন সরল ভাষায় ‘চলে মুসাফির’ বইতে। গতকাল সন্ধ্যায় হাচল সৈয়দ আখতারুজ্জামানের সংগ্রহে বইটি দেখা মাত্রই ধার নিয়ে একটানা পড়ে শেষ করে ফেললাম, ১২৮ পাতার কলেবরকে খুব একটা বড় বলা য
অনেকদিন আগে শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের “বদলি মঞ্জুর” নামে একটি ছোট গল্প পড়েছিলাম। করুণ সেই গল্পটি মনে দাগ কেটেছিল। এরপর তাঁর আরো কয়েকটি ছোটগল্প পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কল্লোল যুগের প্রতিনিধি এই সাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র পরিচালকের আর কোন গল্প কিংবা উপন্যাস পড়া হয়নি। দেখা হয়নি তাঁর কোন চলচ্চিত্র। সেদিন বইয়ের দোকান গুলিতে ঢুঁ মারতে মারতে হঠাৎ দৃষ্টি চলে গেল তাঁর নামাঙ্কিত একটি বইয়ের দিকে।
প্রত্যেক মানুষ আশায় বুক বাঁধে,সপ্ন দেখে। যতই সংকটময় মুহূর্ত আসুক না কেনো সে সপ্ন দেখে চলে সংকট সময় থেকে কি করে বের হওয়া যায়।চিন্তা করতে থাকে তার কাছে কি কি উপায় অবশিষ্ট আছে।পাশের আপন মানুষ গুলোর কাছে একটু প্রেরণা পেতে চাই তখন,যেন তাঁর সম্পর্কে তাঁরা একটু ইতিবাচক ভাবুক,যদিও সে তার চিন্তা চেতনা অনেক সময় অন্যকে বুঝিয়ে উঠতে পারেনা।আর অবশেষে চাই একটু উৎসাহ উঠে দাড়াঁবার এবং কর্মক্ষম হওয়ার।