বাপরে!
কোরো নাকো অবহেলা
প্রকৃতির চাপ রে।।
............
এইতো!
এতোদিনে এলে তুমি
ঠিক পথে, সেই তো।
গলছে দখিন মেরু
উত্তরও উষ্ণ
প্রকৃতি পুলিশ নয়
খায় না সে ঘুষ, নো!
বাড়ছে ধূসর মরু
মানুষের স্বার্থে
সবুজ উজাড় হলে
টিকবে কে আর্থে!
পোড়ে তেল ওড়ে ছাই
কল কারখানাতে
বাঁচবে কোথায় গেলে
বৈরুত! ঘানাতে?
নদীর পানিতে বিষ
মাছ নেই সাগরে
প্রলয় ঘনায় বলে!
এইবার জাগো রে
আমি যদি জন্ম নিতাম জাহাঙ্গীরের কালে
হতাম যদি খাজাঞ্চি তাঁর বাদশাহি টাকশালে
থাকতো তখন হাতের মুঠোয় রাজার কোষের চাবি
ছেড়েই দিতাম বাংলা বিহার উড়িষ্যাদের দাবী।
লখনৌ থেকে বাইজি এনে রোজ বসাতাম আসর
বাজতো বীণা বাজতো বেণু ঝনঝনাতো কাঁসর
নিয়ম করে সন্ধেবেলায় আতর ঠেসে কানে
হেরেমখানার ঠিক লাগোয়া ফুরফুরে বাগানে-
ওহ সে ভারি কাণ্ড হতো, প্রাপ্ত বয়স মতে
এক।
যদি ব্যাংকারই বোঝে ডাক্তারি, আর
ডাক্তার সব খেলা।
যদি হো মো এরশাদ নিজেকেই ভাবে
নেলসন ম্যান্ডেলা।
যদি মনোবিদ বোঝে অর্থের নীতি
ইন্টারনেট ঘেঁটে।
রাজাকারের ভাগিনা--
তার আর কী দোষ, সে তো মামার পুরান পাপের ভাগি না!
তার ওপরে চা-বিস্কুট খাওয়ায় মিনিমাগিনা,
এই কারণেই তার ওপরে রাগতে গিয়াও রাগি না!
রাজাকারের ভাগিনা--
রক্ত খারাপ, তাই বলে তো আসামী সে দাগি না!
তার ওপরে ফ্রি টিকিটে দেখায় মুভি 'নাগিনা'!
এই কারণেই তার পিছনে লাগতে গিয়াও লাগি না!
রাজাকারের ভাগিনা--
হঠাৎ সেদিন বইলা বসে, বুঝলা নাকি ভাইডি?
একাত্তরে বালক ছিল আমার মামা সাঈডী!
--"এইসব কী ঘটছে রে ভাই ডাইনে এবং বাঁয়ে?"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"মুখেতে তালা, চোখেতে ঠুলি, শিকল পরা পায়ে--"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"স্কুল সিলেবাস পাল্টে গেছে শফি হুগুরের রায়ে"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"পূজার বেদী তছনছ করে মূর্তি ভাঙ্গছে পায়ে"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"হিজাব আর টুপি পরেই দেশটা পাল্টাবে মদীনায়ে?"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--" সেলিম ওসমান দিব্যি আছেন, শ্যামলকান্তি জেলে
আমি তবে আড়াই হাজার সাঁওতাল পোড়াবাড়ি
হিন্দু মায়ের ভেঙে দেওয়া শাখা মুছে দেয়া সিঁদুর
আমি জাতীয়তাবাদের কাছে হেরে যাওয়া পাহাড়ি
আমি সমাধিকার না পাওয়া নারীর ফিকে রোদ্দুর
আমি মানুষকে জিতিয়ে দিতে গিয়ে কেবল
অমানুষের কাছে শুধু হই পরাজিত
তোমার সাথে ধর্মে মতে মিল না হলে প্রবল
বন্ধু হওয়া যায় না একেমন অযাচিত
এই মাটি তোমার আমার এই দেশ একাত্তরে মা
তবে কেনো রাজনীতির লাস্যে স্বপ্ন দিচ্ছো জমা
একদিন থাকবে না মন্দির
থাকবে না প্যাগোডা বা গির্জা,
ঘোষ-বোস বড়ুয়ারা পালাবে
রয়ে যাবে খান-হক-মির্জা।
প্যাঁদানোর মতো আর রবে না
এই দেশে একখানা বেদ্বীনও,
কিন্তু যে বাঁশ ঝাড়ে বেড়েছে
সেটা রয়ে যাবে ভায়া সেদিনও।
পড়শীর ঘরে লাগা আগুনে
ওম নিয়ে আলুপোড়া চাবালে
নিজ ঘরও দাহ্য, সে কথাটা
বেমালুম ভুলে যায় আবালে।
দেশ থেকে "মালাউন" ভাগিয়ে
এই কথা মনে রেখে ঘুমিও,
শতভাগ মমিনের সে দেশে
যদি ভাবো, কিনছো আমায় ঠিক ভেবেছ--
কেনা যায় আমায় এখন যখন তখন
আপোষের পাপোষে ঘুমাই ইচ্ছা মতন !
যদি ভাবো, গোলাম তোমার, ঠিক ভেবেছ
মেনে যাই সকল কথা যথা তথা
মুখে হাসি-- যদিও বুকে বাজছে ব্যথা ।
যদি ভাবো, দেশটা তোমার, ঠিক ভেবেছ
তাড়িয়ে খেদিয়ে বেড়াবে তোমরা যখন ইচ্ছে
পুড়ছি আমি, দাঁড়িয়ে সকলেই মজা নিচ্ছে ।
যদি ভাবো, ভাঙ্গবে মূর্ত্তি, ঠিক ভেবেছ
মন্দিরে আর মূর্ত্তিতে বল কি যায় আসে
দেশকে বলে তোমার আমার
দেশ কি কারো কেনা ?
দেশ প্রেমিক হতে নাকি
শর্ত লাগে মানা!
আনুও মানো, রামুও মানো
কেমনে পারো ম্যান
সুন্দরবন বাঁচবে তো ভাই?
আরে চিন্তা কর ক্যান?
যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাও না?
নাকি আবার চাও?
দুই নৌকায় পাও দিয়া আছো
শয়তানের এক ছাও!
লুঙ্গি মানো, জাইঙ্গা মানো
সবই মানো ক্যান?
প্যান্টের উপ্রে জাইঙ্গা পরলেই
হইবা সুপারম্যান?
জঙ্গী মানো, কিউটও মানো
বাকি রাখছ কিছু?
[ এটি সহীহ চিন্তামূলক আধ্যাত্মিক ছড়া।
সাবধানে পড়ুন, পড়ে লাইনে আসুন! ]