আমাদের সকলের প্রিয় সচল মৃদুল ভাইয়ের রাজাকার বিষয়ক একটা ছড়ার আবৃত্তি নিয়ে এলাম আজকে।
ডিসেম্বরের এই মাসে রাজাকারদের আস্ফালন আর উল্লম্ফন দেখে কেবল একটা কথাই মনে আসছে--তবে কী তারা বুঝতে পেরেছে যে তাদের সময় ঘনিয়ে এসেছে??!! তারা কী বাতাসের মাঝে টের পাচ্ছে যে তাদের জন্যে রাখা অক্সিজেনে টান পড়ছে?!! তারা কী শুনতে পারছে মানুষ জাগছে??!! ধর্মের লেবাস পরিয়ে আর তাদের চামড়া ঢাকা যাবে না----
রাজাকার....
শিব ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি,
সাইবার আইন করল জারি।
কেউ যদি দেয় শেয়ার করে,
ফেসবুকেতে বা টুইটারে -
যেসব কথা বলতে মানা,
শাসকদলের কেচ্ছা নানা,
রানীর কাছে খবর ছোটে,
কমিশনার লাফিয়ে ওঠে।
রাত দুপুরে ঢোকায় জেলে,
ছেষট্টিবার কানটা মলে।
সেই দেশেরই অন্য পারে,
আরব সাগর পারাবারে,
বালের শোকে শহর কানা;
“এ আর এমন কি ঘটনা?”
এই কথা টা ফেসবুকেতে,
এক বালিকা যেই না লেখে -
আরেক বালক করল লাইক,
একটা জিনিস খুব ভালো পায় দেশের সকল ঠোলাই
দুবলা শিকার পাইলে বাগে ইচ্ছা মত ধোলাই!
ছাত্র পেলে পিটায় পুলিশ, শিক্ষকেরে মারে
সাংবাদিকের নাগাল পেলে চামড়া ছুটায় ছাড়ে
মিরপুরে আজ চরম গরম ধোলাই খেল শিবির
তাই দেখে ভাই যায় তো বুঝা আমজনতা কি বীর।
নাই পরওয়া কিরিচ-লাঠির নাই পরওয়া বোমার
পিটিয়ে ভুগোল পাল্টে দিল আলবদরের খোমার।
একাত্তুরের পাপের সাজা মিলবে অতি শিঘ্রি
জামাত শিবির বাড়াচ্ছে তাই নাশকতার ডিগ্রি।
ভাবছে গাড়ি ভাংলে কিছু ভড়কে যাবে বঙ্গ
সেরের উপর ছটাক আছে বিএনপিদের সঙ্গ
কিন্তু জানিস থাকবে না আর পায়ের নিচে 'মিট্টি'
রীতিমতো বড়দের ছড়া। শ্লীলবায়ুগ্রস্তদের পাঠ নিষেধ। সংসারে এক সন্ন্যাসীর "কামরাঙা ছড়া" সিরিজ দিয়ে বহুলাংশে অনুপ্রাণিত। শিরোনামে আংরেজি HORNY কথাটার বাংলা অনুবাদের দুশ্চেষ্টা করা হয়েছে।
যে পেয়েছে শৈশবে সুকুমার রায়কে
তার মজা আজীবন, তাকে আর পায় কে!
লাল মলাটের বই মাঝে অই ম্যাঁও-টা
বেড়ালটা কতো প্রিয়! আমি তার ন্যাওটা!
মায়ের পেটে রইব না আর
যেই করেছি পণ,
বেরিয়ে দেখি এই আমি যে
সাত রাজারই ধন।
কতগুলো মুখ যে দেখি
আমার মুখের পর,
ভাবছি আমি ,কোথায় এলাম
লাগছে কেমন ডর।
সবার মুখে হাসি দেখে
কেটে গেছে ভয়,
কোলে পিঠে ঘুরে সবার
মন করব জয় ।
কপালটা নাকি নানার মতন
চোখটা নাকি দাদার,
নানি-দাদির অনেক কিছুই
আছে নাকি আমার।
হাসলে পরে টোলটা নাকি
ফুফুর থেকে নেওয়া,
হাতগুলো আর পাগুলো-তো
তোমরা যারা ছোট্টটি নেই আর-
তোমরা যেন কোনমতেই টম এন্ড জেরির ধার ধেরো না,
সুপারম্যানের পাওয়ার দেখে এত্তোখানি বাড় বেড়ো না,
নিনজা টার্টল দেখবে বলে সোফার দখল আর কেড়ো না,
উডপেকারের হাসির তোড়ে রামগরুড়ের মার ছেড়ো না,
সকালবেলায় পড়ার নামে গপ্পোকথার বই পোড় না,
দুই টাকাতেই ঝালমুড়ি আর চানাচুরের জেদ ধোর না,
কমিক্স পেলেই চোখ চকচক অমনি হঠাৎ আর সোর না,
ঠিক দুপুরে বাধ্য হয়ে নকল ঘুমের ভান কোর না,