পিরিত করার সাধ হল তার আহারে,
পরল জামা হরেক রকম বাহারে,
ঘুরতে গেল অনেক মেয়ে যাহা রে।
১। সেল বাজার
কি বললি, বলতো শুনি, সেল বাজারের কেসটা?
ফোন না শুধু, যা খুশী তোর বেচতে পারিস বেশটা।
আরেব্বাস, করবো নাকি দেশটা বেচার চেষ্টা?
পারবি নারে, তুই কোথাকার ক্যাবলা কান্ত কেষ্টা
তুই কি বেটা পারবি হতে মন্ত্রী-উপদেষ্টা ?
২। শিল্পীর লিমেরিক
দাদার জন্মে দাদাবাদের নাম শুনিনি আমি
প্রকাশ বাদের কথা শুনে কুলকুলিয়ে ঘামি
ইমেজিসম তুলিতে নেই
স্যুরিয়ালিজম ঝুলিতে নেই
চাষাবাদের হাভাত ঠেলেই শিল্পী আমি নামী।
৩। বিবরে বিলাস
নির্জনে যদি অরণ্যে খুঁজি শ্রান্তি
খোলা দরজায় সাহসী দাঁড়াবো ঘুরে
মাধুকরী মাগি যদি বা শীর্ণকান্তি
গোলাপকে নেব পুরোটা হৃদয় জুড়ে।
৪। নরকের দেউরী
স্রী শুধায়, চাল ফুরালো, ডালও শেষের দিকে
অফিস ফেরত ক্লান্ত স্বামীর মুখটা ঠেকে ফিকে।
সাবান মাখেন গালে, সাথে ভাবেন সমান তালে
আয়ের চেয়ে খরচ কিবা কমবে কোনকালে?
চোখ জ্বলে বেশ, তাই তিনি তার হাতটা চালান জোরে
পাড়ার সকল ছেমড়া-ছোড়ার আড্ডা গলির মোড়ে।
মেয়ে পড়ে তার ইন্টারে, বেশ দেখতে লাগে তাকে,
বাড়ির পথে গলির মোড়ের কেউ কি তাকে ডাকে?
টেনশনে আর হয় না গোসল, গলির দিকে ছুটেন
সিড়ির গোড়ায় মেয়েকে দে ...
আরো দুর্বোধ্য হবে
পাঠ অযোগ্য সময়ের রেখা
নিরবতাকে সরলীকরন ভেবে
মানবিকীকরন করবে পাদটীকা
যদিও আমি এসব কিছুরই উর্ধে
শূন্যে ভাসাই শূন্যতার'ই গান
তথাপী এই ধূলোনিবিড় মর্ত্যে
যে কেউ ঘাটুক গীতা -পুরাণ-কোরান
তাতে আমার কি আসে যায় বল
ভাবতে ভাবতে যার ইচ্ছা চুল পাকাক
কেউবা বলুক জাতের মেয়ে ভাল
যার খুশি সে ঘাড় উচিয়ে তাকাক
আমি বরং আনমনেতেই থাকি
বনের বাঘ মনেতে না আসুক
হিসাব কিছু থাকুক না ...
যুদ্ধাপরাধী তুই নেই তোর ক্ষমা
ইতিহাসে আছে তোর অপরাধ জমা।
হাতে তোর লেগে আছে রক্তের দাগ
এখনো গেলো না তোর পাকি অনুরাগ!
তোর চোখে আজো দেখি শকুনের ছায়া
তোর মুখে থুতু দেয় জননী ও জায়া।
কন্যার কাছে তুই ধর্ষক পিতা
নিজ হাতে জ্বেলেছিলি বাঙালির চিতা।
সে চিতায় তুলেছিলি তুই নিজ মাকে
মনুষ্য পরিচয় তোর কিছু থাকে!
তোর প্রতি বাঙালির ঘৃণা শুধু ঘৃণা
পশুরও অধম তুই রক্ষা পাবি না।
মানবিকতার তুই জ ...
আর কিছুটি চাইনে আমার,
রত্ন কিবা ছাই-
একটা কেবল পোষ-মানানো
ড্রাগনছানা চাই।
আগুন ছুড়ে মারবে না সে,
আসবে না সে তেড়ে-
ছোট্ট হবে শিং দুখানি,
রাগ যাবে চোখ ছেড়ে!
একটু তারে ভয় পাবো না,
সেও পাবে না মোরে-
রোজ বিকেলে খেলতে যাব,
আমরা কেবল; জোড়ে!
চড়ব পিঠে আলতো করে,
লাগবে না ওর গায়ে-
নিজের সুখে উড়বে ড্রাগন,
সামনে-ডানে-বাঁয়ে।
মেঘের দেশে ঘুরতে যাব,
দুই মুঠিতে ভরে-
আনব কিছু মেঘের গুড়ো,
রাখব যতন করে। ...
আইলো পাড়ায় সুন্দরী এক মাইয়া,
মন শুধু চায় দেখতে তারে চাইয়া,
সুযোগ পেলে পিরিত করি যাইয়া।
সকাল বেলা বারান্দাতে বইয়া,
ব্যস্ত থাকে নিজের পড়া লইয়া,
আমার কাটে চাতক পাখী হইয়া।
ইচ্ছা করে হাওয়ারে দেই কইয়া,
যারে বাতাস আমার মেসেজ লইয়া,
একটা প্রেমিক অপেক্ষাতে রইয়া।
এমনি করে বছর গেল বইয়া,
মনের কথা মনেই রাখি সইয়া,
হৃদয় নায়ে উঠল না আর ছইয়া।
প্রবাস থেকে একটা পোলা আইয়া,
লইয়া গেলো আমার প্রিয় মা ...
মায়ের স্তনদুধের পাশে
শিশুটি মিটমিটে হাসে
দূরে রাখে ভয়; কোলে বসে
মায়ের স্তনদুধ পান করে
নিজ পাহারায় দুধদাঁত দিয়ে
স্তনবোঁটায় তৃপ্তির কামড় ফোঁটায়
দু'পা নাড়ায়...
চোখ ঘুলিয়ে তাকায়
একটি দুধস্তন পান করে
অন্যটি হাত দিয়ে লুকায়
বিচিত্র এ-সৃষ্টিরূপ তাবৎ পৃথিবীর
মা ও সন্তানের সম্পর্ক চির ভাস্কর
সকল শিশুর হাসির চেয়েও সুন্দর
আমার জন্মদাত্রী মায়ের আদর...
হায়,
দুই শ কাঠা জমির মায়ায়
দেশটারে দেয় কুরবানি
কয় যে, স্বামীর অংশ দে
নইলে রবে রাজপথে
আর যাবে না সংসদে
অচল করে দেশটারে
ফায়দা হবে কার জানি!
দশের কথা যায় ভুলে যে
না-মাতা সে না-রানি!
বলি,
দেশ কি কারও বাপের কেনা?
নাকি কারও জমিদারি?
দেশ তো তোমার আমারি
তোমার আমার ধনে এসে
কারা করে পোদ্দারি?
কথাটা তাই রানির কাছে
তোলা ভীষণ দরকারি
দেশের চেয়ে দশের চেয়ে
কেমনে বড় হয় বাড়ি?
কুটুমবাড়ি
তুমি কি প্রথমা
সিঁড়ি দিয়ে নামা
মায়াবী উপমা
অভাগা জীবন মাঝে?
জলের আঁচড়ে
বুক ছিঁড়ে ফুঁড়ে
নীল ব্যথা জুড়ে
কতটা কাঁদাবে সাঁঝে!
ইনিয়ে বিনিয়ে
খেলেছ কি নিয়ে
জোনাকী চিনিয়ে
কতটা সুখের ছোঁয়া?
সবি গেল বুঝি
নেবে নাকি খুঁজি
আঁধারের ঘুঁজি
বিরহ অনলে ধোয়া।
সন্ধ্যা তারাতে
চাইনা হারাতে
দুবাহু বাড়াতে
আছি আমি আজো রাজী
ওগো প্রিয়তমা
কোরো মোরে ক্ষমা
নেই কিছু জমা
হেরে গেছি সব বাজী।