হায়রে স্বদেশ খায়রে *প,
আমজনতার মায়রে বাপ !
বর্ষ সেরা নেত্রী কি না
এই আমাদের শেখ হাসিনা !
সেই খুশিতে বাচ্চা লোগে,
জোরসে লাগাও করতালি
খালদা আফার মনটা খারাপ
কাইলকা দিসেন হরতালই !
বৌদ্ধ, হিঁদু, সুন্নি-শিয়া,
নেত্রী মোদের খালদা জিয়া !
এই ঈদেতে রপ্ত করি
মহান ত্যাগের সুর-বাণী
দুই ম্যাডামের জন্য আসেন
দেশটারে দেই কুরবানি !
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ছিলো অবরোধ দিবস। সারা দেশ থেকে দলে দলে মানুষ এসে জড়ো হয়েছিলো ঢাকায়।মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছিলো সেদিন ঢাকা নগরী।গুলিস্তান-বংগবন্ধু এভিনিউ-বায়তুল মোকারম এলাকায় জনতার ভিড়ে, সমস্ত জনতাকে ছাপিয়ে বারবার একটি মুখই উদয় হচ্ছিলো। আর সেটি নূর হোসেনের।খালি গা। জিন্সের ট্রাউজার পরনে।বুকে পিঠে স্লোগান লেখা—স্বৈরাচার নীপাত যাক/গণতন্ত্র মুক্তি পাক।সে ছুটছিল ...
অনেকদিন লেখা হয় না। আজ পণ করলাম, ভাল হোক, মন্দ হোক, লিখেই ছাড়ব।
এই লিখেছি খেয়াল খুশি
এই লিখেছি বাজে
ইচ্ছে মতন,লিখছি যখন
মন ছিলনা কাজে।
পাগলামিটা এই ছিলো আর
এই এখুনি নেই
আমি কি আর পাগল বলো?
আমি তোমার সেই।
দূর দূর দূর অনেকটা দূর
রোদ্দুরে নেই ছায়া,
ঘর ছেড়েছি, পর ছেড়েছি
তবু কিসের মায়া?
ঘোরের মাঝে ঘর ভেঙ্গেছি
ভুল বুঝেছি তায়
অভিমানের ভান ভুলেছি
পাল তুলেছি নায়।
পথ হারিয়ে, রথ হারি ...
[উপক্রমনিকাঃ
লেখাটা পড়ার সময় নীচের ব্যাপারগুলো ঘটেছে ধরে নিলে হয়তো পড়তে ভাল লাগবে-
১। 'দুলহা' মানে 'বর' তার প্রায়োজনিক এবং আয়োজনিক সাজে সেজে বর-যাত্রী নিয়ে চলে গেছে 'দুলহান' মানে 'কনে'র বাড়ি;
২। কনের বাড়ি-তে পৌঁছার পর পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময়;
৩। মুঠোফোন-এর বিপুল 'জাল' থাকা সত্ত্বেও 'বর'-এর বাড়িতে কোন খবরাখবর যায়নি অনেকক্ষণ ধরে;
৪। শেষমেষ আর ধৈর্য ধরতে না পেরে কোন এক ইঁচড়ে পাকা 'বর'-এর ...
দৈনতা
মো: সহিদুর রহমান সুমন (কীরণ)
জ্ঞানী বোঝে জ্ঞানের কদর, মানী মানীর মান,
মূর্খ কি আর তফাৎ বোঝে, ভাবে সব সমান।
সহজ কথা সহজ করে বুঝতে ক’জন পারে?
সহজ জিনিস পেঁচিয়ে তারা শুধুই জটিল করে।
জটিল বিষয় সহজ করার সাধ্য আছে কার?
উদরে বিদ্যা মাথায় বুদ্ধি সাধনার দরকার।
প্রশ্ন কঠিন জবাব সহজ “আমি জানি না”,
তাল গাছটা না পেলে বিচার মানি না।
সাধ্য হয়নি নিজেকে জানার তর্ক করা চাই,
ভরার চেয়ে খালি কলস ...
তৈল মর্দন
মোঃ সহিদুর রহমান সুমন
পিএস টু ডিজি, বিআরডিবি
বারোটা বাজে কর্তা মশায় দপ্তরেতে আসেন,
দপ্তরী দেয় চেয়ার টেনে আয়েশ করে বসেন।
চায়ের সাথে নাস্তা আসে আসেন চাটুকার,
এতটা পথ আসতে কষ্ট হয়েছে যে কর্তার।
পত্রিকাতে দৃষ্টি রেখে কর্তা জানতে চান,
কেমন চলছে কাজ কর্ম কেমন সেবার মান?
চাটুকার কয় অতি উত্তম, অতি সুন্দর সেবা,
আপনি ছাড়া এমন চালনা আর করেছে কে বা?
জানতে চাইল কর্তা মশায় জরুরী কি ...
ঘড়ির কাঁটা টিকটিকিয়ে
যাচ্ছে ঘুরে;
যাক!
ঘুমের চোটে ঢুলছে যারা
ঘুম তাদেরি
পাক!
অন্য যারা জীবন ছকে
কষছে নানান
আঁক-
রাত বিরাতে ঘুমের চোখে
তারাই জেগে
থাক!
বিরক্তিতে চায় যদি কেউ
দিক না জোরে
হাঁক-
কেউ না আসুক, আসবে ঠিকি
ঢাকাই মশার
ঝাঁক!
কথার কথায় কোথায় জানি
শুভঙ্করের
ফাঁক-
ভাত দিয়ে আর মাছ ঢাকেনা,
লাগবে পালং
শাক!
৪/৭/৯
[খানিক পরিবর্ধিত]
জহিরুল ইসলাম নাদিম
খাচ্ছ বাদাম ফেলছ খোসা
ফেলছ কাগজ ঠোঙ্গা-ঠোসা।
পলিথিনের ব্যাগটা ধরে
হাওয়ায় ভাসাও আরাম করে।
শাড়ির প্যাকেট জুতোর ফিতে
গ্রীষ্মে ফেল ফেলছ শীতে।
মাছের কাঁটা পানের বোঁটা
জল খেয়ে ডাব ফেলছ গোটা।
ফেলছ থুতু ফেলছ কাশি
এক বছরের বারো মাস-ই।
কোকের বোতল তেলের শিশি
সুযোগ পেলেই ফেলছ হিশি!
মুখটা মুছে ফেলছ টিস্যু
বুড়ো থেকে ছোট্ট শিশু।
নেই তো কারো কোনো বিকার
সবার ...
১. পূর্বরাগ
চাতক পাখি এবার উড়াল দেবে
ঢাকছে তাকে আপন গৃহকোণ
কন্যাটি তার বাবার আদর নেবে
বউটি নেবে মনের সিংহাসন।
এখন শুধু প্রতীক্ষারই পালা
বাজছে প্রাণে মধুর শিহরণ
মনের আকাশ মুক্তো-মানিক ভরা
আসবে কখন সেই সে শুভক্ষণ!
কন্যা যখন ড্রইং খাতা মেলে
আপন মনে বাবার ছবি আঁকে
গিন্নী তখন সকল কিছু ফেলে
নানারকম পসন্দের পদ রাঁধে।
এসব ভেবে কি হয় মনে জানো?
ওদের কাছে সকল ফেলে ছুটি
থাকনা পড়ে কাজ ...
মাঝে মাঝে অহেতুক কিছু কথা জমে… দুষ্টুমিতে মন ভরে… বৃষ্টি ধোয়া ক্ষণে কিংবা দারুণ বিকেল এলে। সন্ধ্যাতারা দেখে দেখে ডুব দিয়ে তাই শব্দ খোঁজা, উছল অনুভবে…
একঃ
অনেকখানি আদর ছিল সিন্দুকেতে,
কাজলেতে আছে অনেক সোহাগমাখা,
ভোর হলে ফুরিয়ে যাবে সবটুকুই
তুই সত্যি কপালপোড়া, হতচ্ছাড়া…
দুইঃ
একটা ঘোড়া ডিঙিয়ে গরু ঘাস খেলো…
মেয়েটার মন আনচান আর
বালকটা তাই বাঁশ খেলো…
তিনঃ
ময়না পাখি মেঘকে ...