১.
চিকচিক করে রোদ
লিকলিক কড়ে
ফিকফিক হাসে সোনা
গড়াগড়ি করে
২.
চিটচিটে ঘাম দিলে
খিটখিটে মেজাজে
গিঁটগিঁটে বেদনাটা
এ সময়ে কী কাজে?
৩.
ক্যাঁকক্যাঁক করে ছা
প্যাঁকপ্যাঁক হাঁস
ভ্যাকভ্যাক করে ঘুম
দেন হরিদাস
৪.
কটকটে রোদ্দুরে
খাটে দিন-রাত
চটপটে ছেলেটার
তবু নাই ভাত
৫.
পড়িমড়ি ভিতু ছোটে
তড়িঘড়ি শয়তান
হরি হরি জপে সাধু
হরি মরি পায় ত্রাণ
কুটুমবাড়ি
জহিরুল ইসলাম নাদিম
কেউ কেউ ধরাটাকে
করেন যে সরা জ্ঞান
আমি ও রিটন ভাই
করি তারে ছড়া জ্ঞান!
সাগরে পাহাড়ে থাকে
আরো পাবে নদীতে
ছড়া থাকে ক্ষমতার
তুলতুলে গদিতে।
ছড়া থাকে পথে ঘাটে
ছড়া ওড়ে আকাশে
কারো হয় সোনামণি
কারো লাগে কাকা সে।
কিছু ছড়া গোবেচারা
কিছু ছড়া পাকনা
সে সব জটিল কথা
আজ তোলা থাক না!
ছড়া আসে হেঁটে হেঁটে
আসে ট্রেনে - লঞ্চে
শিশুতোষ বই ছেড়ে
রাজনীতি মঞ্চে।
গুলশানে আলিশা ...
অঙ্ক ১ ॥ সিংহের গুহা
দৃশ্য ১ ॥ সিংহ ঘুমিয়ে আছে, এই সময় নেংটি ইঁদুরের প্রবেশ
সিংহ মামা, সিংহ মামা, করছ তুমি কী?
এই দেখো না তোমার গুহায় নাচতে নেগেছি
এই সেরেছে, সিংহ মামা উঠল দেখি জেগে
ঘাট মেনেছি, ঘোল খেয়েছি, এখন যাব ভেগে
দৃশ্য ২ ॥ ইঁদুরের প্রতি সিংহের গর্জন
হা রে রে নেংটি ইঁদুর! এত্ত সাহস তোর?
এইটুকু তোর দেহখানি, আবার করিস শোর
তিড়িং-বিড়িং লাফাস এত, যা তো দেখি ফিরে?
এক কামড়ে নেব নাকি ম ...
আমি এক জন্ম-কুঁড়ে
ভাবছি বসে এক দুপুরে
কোন বা পথে এভারেস্টে যাই
ও মন রে...
থাকব না তো আস্তাকুড়ে
উঠব ঠিকই জগৎ ফুড়ে
আমি আর আমাতে যে নাই
ও মন রে...
এই না ভেবে দিলাম পাড়া
হঠাৎ হলাম বিছানা ছাড়া
আমি কি হায় স্বপ্ন দেখছি, সাঁই
ও মন রে...
মনটা হলো এমন তেতো
চিরকালই বাঙালি ভেতো
স্বপ্ন দেখার সাধ্য আমার নাই
ও মন রে...
কুটুমবাড়ি
জহিরুল ইসলাম নাদিম
পাহাড় চূড়োয় চড়তে গিয়ে
কাটলো পুরো দিন-ই
[উৎসাহটা মুসার দেয়া
তার কাছে তাই ঋণী।]
অনেক ক্লেশে পৌঁছে শেষে
পাহাড় চূড়ো চুমি
চোখের কোণে হঠাৎ ধরা
দিলো যে মালভূমি
এখান থেকে নামতে হবে
ভাবতে গিয়ে ঝুমি
হঠাৎ এলো উড়িয়ে নিল
এক হাওয়া মৌসুমী
অনেক উড়ে ঘুরে ঘুরে
হঠাৎ পড়ি ঝপাৎ
কোথায় এলাম? এলাম কোথায়?
একি! এ যে প্রপাত!
ওরে বাবা মরব নাকি
নামছে যে জল তেজে-
বাঁচতে গিয়ে দু হাত বাড় ...
আহা!
তোমার চোখের অসীম কালোয়
পাই না খুঁজে থই,
শুনতে পেলাম তুমি নাকি
গভীর জলের কৈ!
কী আসে যায় লোকের কথায়
কান দিও না মোটে,
হলই বা কান একটু বড়
তাও কি সবার জোটে?
একজনে কয়, তোমার নাকি
হাতির মত শুঁড়,
শুনেতো আমি ক্ষেপে গিয়ে
করলাম ভাঙচুর!
এত্তোবড় মিথ্যাবাদী!
ইচ্ছে করে কষে বাঁধি!
বলে কিনা তোমার ও নাক
হাতির শুঁড়ের মতো!!
আরে গাধা, হাতির কি শুঁড়
লম্বা হয় অতো!!
জহিরুল ইসলাম নাদিম
[প্রায়শঃই দেখি সচল,হা-চল সুযোগ পেলেই (না পেলেও!) স্মৃতিচারণ করেন। তখন অচল আমাদের বুক ফাইট্টা যায়। তো ভাবলাম একটু স্মৃতিকাতর আমরা অচলরাও হই। অনেক আগে এই ছড়া লেখা হইছিল। কিন্তু সচলায়তেন প্রকাশ পাওয়ার জন্যই বোধয় সেইটা লাপাত্তা হইয়া গেছিল -- এখন যখন খুঁইজা পাইলাম তো সেটা প্রকাশের চেষ্টা লওয়া যাক। কী কন আপ্নেরা?!]
তাক ধিনা ধিন ধিন
আমি মুড়ির টিন,
রাজধানীতে আলসেমি ...
ছোকড়া:
ও মাগো মা, ওই বুড়োটা
আমার পানে চেয়ে,
এমন করে ফুঁসছে কেন?
আসবে নাকি ধেয়ে?
বুড়োর হাতে ওইগুলো কী?
ইটের ঢেলা? মারবে নাকি?
এই বেলা কি প্রাণের পাখি
যাবে আমায় ছেড়ে?
"ও দাদাভাই! কী লাভ তোমার
আমায় প্রাণে মেরে?"
বুড়ো:
ও মাগো মা, ওই ছোঁড়াটা
আমার পানে চেয়ে,
মুখ খিঁচিয়ে বলছে কী সব
আসবে নাকি ধেয়ে?
গোটা কয়েক সুপারি ছিল
ছিনিয়ে নেবে তা কি?
পাগলও তো হতে পারে
কামড়ে দেবে নাকি?
বয়সতো আর কম হলো না
দু ...
১.
ভামোস ভামোস 'আর-জিতি-না'
কী ভয়ানক চাট্টি গোল!
লম্ফ-ঝম্ফ আর-দিতি-না?
দুলিয়ে মাজা, বাজিয়ে ঢোল!
২.
কই রে পিসি, কই রে ম্যাসি,
এইটা কী কয় 'মার-দিও-না'
নাচমু না আর ট্যাংগো বেশি
চাট্টি দিছ, আর-দিও-না!
কুটুমবাড়ি
জহিরুল ইসলাম নাদিম
ছোট খাট দেহ তার
ওজনে সে তুচ্ছ
নেই চোখ নেই কান
নেই কোনো পুচ্ছ।
গোলাকার দেহে কালো
ছোপ ছোপ চিত্র
হাতটার শত্রু সে
পা দুটোর মিত্র।
পদ নেই তবু চলে
পাখা ছাড়া ওড়ে সে
দু দলের মাঝে দেয়
ব্যবধান গড়ে সে।
কেউ রাখে শিরে-বুকে
কেউ মারে লাত্থি
সে-ই এনে দিতে পারে
কড়কড়ে পাত্তি!
কী জিনিস ভেবে ভেবে
বল্ দেখি এয়াকুব?
নাম তার ফুটবল
পারলি না বেয়াকুব!!