ছড়ার সতর ঢাকার জন্যে কিছু কথাবার্তা জুড়ে দিতে হচ্ছে। ছড়াটি জনৈক বরাহের সাম্প্রতিক স্মৃতিভ্রংশের অভিনয়ের প্রতিবাদে লেখা। সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, কিছু "বড়দের শব্দ" আছে। বাকিটা পড়ার জন্যে ঢোকার আগে আবারও ভেবে নিন। বাচ্চাদের পড়তে দেবেন না। তবে বড়দের পড়তে দিতে পারেন। এই আর কি।
একদা এমন বাদল শেষের রাতে
মনে হয় যেন শত জনমের আগে
সে এসে সহসা হাত রেখেছিলো কাঁধে
চেয়েছিলো মুখে সহজিয়া অ...
জামাতের আমিরের মন শুধু পোড়ে,
বিচারেতে ফাঁসি হলে বাঁচবে কি করে !
জামাতের জামা গায়ে দেয়া ছিল ভুল,
তাই আজ সুখ নাই, দুঃখে আকূল।
একাত্তরের ক্ষণে করেছিল লীলা,
আটত্রিশ বছরে কি পাপ হয় ঢিলা?
ধর্মের নামে করে বাঙালিকে খুন,
বিচারে দাঁড়িয়ে আজ মুখ তার চুন।
রাজাকার উপাধিটা বড়ই অপয়া,
মুছে না যে, যত যায় কাশী কি বা গয়া।
মওদুদী তরিকায় পেয়েছিল জোশ,
'গণিমত' খেলে বল, তা কি হয় দোষ !
নিয়াজির জলপথে পেয়েছিল ম...
কলে টিপ দিলে আসে না রে পানি
ওপরে ঘোরে না ফ্যান
তবু তোরা শুধু বিচারের ত্যানা
প্যাঁচায়ে চলিছো ক্যান?
কৃষকের মাঠে পচে গোল আলু
দেশে নাই হিমাগার
ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাস নাই, নাই
স্টোরে ইউরিয়া সার।
পদ্মায় নাই পানি, আছে বালু,
সুরমায় নাই জল
দেশের এমন হালত, বিচার
করে লাভটা কী, বল?
ছিনতাই খুন চুরি রাহাজানি
জনতা হারায় দিশে
এসবের কোনো সুরাহা না করে
বিচারে সুবিধা কীসে?
বিশ্ব ব্যাপিয়া পচে জল...
পূর্বলেখ:
নানান সময়ে নানান উপলক্ষে কাছের মানুষগুলোকে মুঠোবার্তায় বিদ্ধ করেছি। এগুলো থেকে প্রকাশযোগ্যগুলো সবার সামনে নিয়ে আসার চিন্তা ছিলো। কেনো জানি মনে হচ্ছে চিন্তাটা এখানে বাস্তবে রূপ দেয়ার একটা চেষ্টা করা যেতে পারে। পাঠকের ভালো লাগছে ফের চেষ্টা করা যাবে, নচেত্ শুরুতেই শেষ হোক যাত্রা।
এইবারের কিস্তি:
"নবীন মায়ের নরম কোলে
সদ্য আসা শিশু,
বিমল সুখের এমন ছবি
[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুশিয়ার! হুশিয়ার!! ]
বুইঝ্যা বেশি সবই
তোর মত এক রামছাগল এ
হইতে চায় আজ "নবী" !
ছল করা তোর হবি
আবার কোন দিনই না কবি
মসজিদে সব ঝুলতে হবে
পাক হুজুরের ছবি!
একাত্তরের শেষে
নেকড়ে হয়াও রইয়া গেলি
ভন্ড ভেড়ার বেশে
বেশতো আছিস দেশে
বেড়াস খেইলা এবং হেসে
বুঝলিনা যা - ফাঁসবি এব...
ছোট্ট সফেদ বেড়ালছানা
সতেজ, নবীন প্রাণ-
মিহি গলায় 'মিউ' আবাহন,
আনন্দে তার ত্রাণ।
লেঁজ উচিয়ে লম্ফ দেয়া,
কিংবা হুটোপুটি-
নরম থাবার আলতো আঁচড়,
নেইকো খেলায় ত্রুটি।
যাই দেখে তাই শুঁকতে ছোটে,
শব্দে খাড়া কানে-
পিটপিটে চোখ, ল্যাজের দোলায়
খেলায় আমোদ আনে।
খেলায় চলে বাঁচতে শেখা,
রক্ষাকবচ চেনা,
বিপদ এলে আড়াল খোঁজা,
কিংবা আদর কেনা!
ছোট্ট পায়ে ভর করে তার
উত্সাহী পথ হাঁটা-
মামুন এবং স্নিগ্ধাদির মতামতের সাথে সহমত। এবারের নিমকি মানসম্পন্ন হয় নি। আর আধঘণ্টা প্রথম পাতায় থাকবে। এরপর ঘ্যাচাং হবে।
এই ছড়াতে ছন্দ আছে, অশ্লীলতার গন্ধ আছে, বাঁইচা গেছেন যাদের দুচোখ বন্ধ আছে…
ছোট ছোট দু-লাইনে, মনটা কারো দুলাই নে, তবুও যদি একটু খানিক মনটা কারো দোলে… আসেন আমার কোলে!
০১.
কেউ বলে নি, ‘দেবেন চুষে?’
সান্ত্বনা পাই লেবেনচুষে...
০২.
সুখেই আছি, বুঝলে ভ...
মামদো ভূতে ঘুমের ঘোরে
ঘুরছে যে ঢ্যাং ঢ্যাং,
সুযোগ বুঝে ওরাং ওটাং
মারছে তারে ল্যাং!
বাঁদরগুলো রব ভুলে বেশ
করছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ,
জিরাফ নাকি জল খাবেনা
চাইছে গরম ট্যাং!
ভীমরুলেরা দল বেঁধেছে,
খুলবে বিরাট গ্যাং,
চিংড়ি হঠাত্ গুমড়ে বলে,
"ডাকবি আমায় চ্যাং!!"
শেয়ালমামার মনটা খারাপ,
চিন্তা যে তার হ্যাং,
তাই না দেখে হুতুম প্যাঁচক
বেশ সেজেছে ঝ্যাং।
আজগুবী সব কান্ড দেখে
পটল তোলে ব্যাঙ,
ভূত...
পইড়া কঠিন চক্করে
বুঝলো আবু বক্করে
সর্বদা তা' হয়না ভালো
করলে কিছু শখ করে
খুব যে আচানক করে
কইরা বিয়া বক্করে
দেখতেসে তার কইলজাটাতে
উচ্চ বিভব শক করে
বৌটা তাহার মক করে
রাত দিনই হট টক করে
পান থেকে চুন খসলে বলে
নয় সে পরিপক্করে
ঘরটা নিজের লক করে
বইসা ভাবে বক্করে
বিয়ের আগের সেই ব্যাচেলর
লাইফখানাই রক্করে!
প্রণমিয়া শহীদেরে একুশের প্রাতে,
পেন্সিলখানা মোর তুলে নিই হাতে।
দালালির সাজা মোরা দেব হাতেনাতে,
বরাহের গলা কেটে নেব সাক্ষাতে।
ভাষার জন্যে যাঁরা দিয়েছে জীবন,
তাঁদের আত্মা আজি কাঁদে সর্বক্ষণ।
স্বাধীকার সংগ্রামে তাঁরা গুরুজন,
ফুলে ফুলে সেই স্মৃতি করেছি স্মরণ।
আজকের বাংলাতে তাঁদের অপমান,
বরাহের ছানাপোনা করিতেছে গান।
চল সবে বল্লম হাতে নিই তুলে,
জোরসে আঘাত করি দালালির মূলে।
...