আটত্রিশ বছরের না পারার গ্লানি,
প্রজন্ম পরপর সবে মিলি টানি।
রাজাকার দেশদ্রোহী অপরাধী জানি,
আর মোরা টানবো না বিবেকের ঘানি।
চল সবে এইবার বুকে বল আনি,
দূর করি দেশ থেকে ক্ষতিকর প্রাণী।
গোআযম-মুজাহিদ-নিজামীর চাম,
এ বেলায় না ছিলিলে হবে বিধিবাম।
কত যুগ ঝরিয়াছে কপালের ঘাম,
মুছে দিতে দেশ থেকে দালালের নাম।
বহে বায়ু বিপরীতে - প্রেতমুখে রাম;
'সোনার বাংলা' বলে দেয় তারা পাম্।
হানাদার বধ করা ব...
এই আমাদের ছাদে
দত্যি দানোর মজমা জমে,
অসহ্য আহ্লাদে।
জোট বেঁধে সব ঘোট পাকিয়ে
ফন্দি ফিকির ফাঁদে।
আমার নিজের ছাদে।
কী ভাবে সব?
এই তান্ডব
সইব নির্বিবাদে?
খুঁটিগাড়া প্রেতবাহিনীর
টুঁটি ছেড়ার আশায়
এই আমাদের বাসায়
ওঝা আসেন সদলবলে।
তাঁদের সেবায় ফুলে ফলে
উপচে পড়ে ডালা।
শালা!
সরষে দানায়
ভূতের ছানা
ঘাপটি মেরে বসে।
হাতুড়েদের দোষে
পিশাচেরা দাপিয়ে বেড়ায়
এখনো এই ছাদে।
জলখাবারের স্বাদ...
মৃদুলদার সাথে পরিচয় বছরখানেকেরও একটু বেশি সময় ধরে। ফেসবুকে মাঝে মাঝে কথা হত, আমার খুব আগ্রহের ব্যক্তি তিনি - কারণ তিনি ছড়া লেখেন। ছড়ার বস্ রিটন ভাইকে আমি রীতিমত গুরু মানি। কিন্তু মৃদুলদাকে দেখেছিলাম রাজাকার ইস্যুটা নিয়ে দারুণ দারুণ বিস্ফোরক ছড়া লেখেন, আমার বেশ মনে ধরেছিল ব্যাপারটা। মাঝে মাঝে মৃদুলদার সাথে ছড়ায় ছড়ায় কথাও বলতাম, বেশ মজা লাগত।
আজ সন্ধ্যায় আকতার ভাই আর মৃদুলদার ল...
আমার যে কত কষ্ট মিয়ারা তোমরা তা যদি বুঝতা...
বিজয় দিবসে মালা পরাইতে আমার গলাটা খুজতা!
সফেন দাড়িতে মেহেদি মাইখ্যা আমারে বলতা, ‘চাচা...
দেশের লাইগ্যা দরকার আছে আফনের আরো বাঁচা!’
এই হেইদিন কইতে আছিল কামের মাইয়া ময়না,
‘চাচার মতন উপকারি লোক এই দুনিয়ায় হয় না!
পাইয়া গরিব মাইয়া দিছে যে কতকিছু... লগে বাচ্চা,
আযম চাচার দিলটা পুরাই সুরুজের মতো সাচ্চা!’
এত সুন্দর দ্যাশটা তোমাগো বাপ-ভাই দিল ভাইঙ...
এই হুশ হুশ! ডাইনে চাপা! আন্ধা নাকি? সামনে বাড়!
ডাইনে তোগোর সসুরবাড়ি? চাপলি নাকি ভাঙ্গমু ঘাড়?
লাইনে আগা, লাইনে আগা... থাবড়া মারুম, থামবি না...
দিলাম পাছায় বেতের বাড়ি... রাস্তা থিকা নামবি না!
কী ভাবছেন? আমরা কিছু জন্তু বোধহয় পেঁদাচ্ছি?
ঠিক ভেবেছেন! সব রাজাকার পাকিস্তানে খেঁদাচ্ছি!
বিকাশরজন কুসুমে তা দিই
আকাশে পারদে বিশালতা নেই
ভুবনে ভুবনে ভেড়া গুণে গুণে
দিবসরজনী বহিয়া যায়।
আঁধারের পাশে বাঁধা নেই কালো
ওহে সাকি তুমি বাকিটাও ঢালো!
শরত-শশীতে পশিতে পশিতে
ননীর পেয়ালা উছলি যায়।
ফুলে ফুলে দেখ ঢলে পড়ে জুঁই
বাগানের পথে পুঁইশাক রুই
গাজরের সাথে কী কথা তাহার?
তাহাদের?
কবি জানিতে চায়।
আহা কতকাল দেখিনা তো বনে
মধুকর শাখে গুনগুণ মনে
শাখামৃগ শাখে বাঁকামৃগ কোলে
পর...
বহুদিন থেকে স্বপ্ন আমার দুটো রাজাকার পুষব…
ঘরে কোনোকিছু প্রবলেম হলে ঐ দুটোকেই দুষব!
কখনো মেজাজ খারাপ হলেই চাবকাব ধরে পশ্চাত,
সিগারেট খেতে জ্বালাব কাঠিটা কোমল অঙ্গে… ঘ-ষ-চাত!
মোম জ্বেলে দেব ওদের কপালে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে,
গালে স্যান্ডেল পিটে তাল দেব গান গেয়ে স্মৃতি মিনারে,
কাটিং বোর্ডে পয়সা নষ্ট, মাংস কিংবা সব্জি
ওদের পিঠেই রেখে কেটে নেবে নিপুণ আমার কব্জি!
অজ পাড়াগাঁয়ে যেতে...
আয় রাজাকার আয় না ওরে,
ঘুরতে যাব কোলে করে,
কাজল দিয়ে তোর কপালে,
স্নো-পাউডার লাগিয়ে গালে,
পরিয়ে পায়ে নতুন জুতো
মারব পেটে স্নেহের গুঁতো,
মেলা থেকে কিনব বাঁশি,
খেলনা সাথে রাশি রাশি,
মাথায় দিয়ে জরির টুপি
আদর দেব চুপি চুপি,
এবং শিশুপার্কে তোকে
খেলতে দেব সকাল থেকে,
পুরান ঢাকায় ঘোড়ার পিঠে
লেপ্টে খাবি হাওয়াই মিঠে,
গোসল দিয়ে গরম জলে
তেল মাখব রোদের তলে,
আস্ত মোরগ সাঁটিয়ে গরম
ছাড়বি ঢেঁকুর ...
জ্বালাতনে উৎপাতে ভরা ঘর-খানা
আছে মোর মাশাল্লাহ্ তিন ছানাপোনা।
নিজ নিজ ভূমিকায় আলাদা সবাই
একসাথে এর চেয়ে ভালো টীম নাই।
টার্গেট একটাই; আমাকে জ্বালানো
সারাদিন অবিরাম; ক্লান্তি নেই কোনও।
দু'বছর পার হয়ে আরও একমাস
খানা বাদে সবতাতে মহা উল্লাস!
সারাদিন ওর পিছে মরি মাথা কুটি
এঘর-ওঘর শুধু খাওয়া নিয়ে ছুটি।
বলে তার খিদে নেই, খাওয়া আজ শেষ...
দাও যদি চিপ্স-কোক; সেটা লাগে বেশ।
ছোটমেয়ে দুরন্ত,...
শীতের দেশে বসন্তকাল আবছা চোখে পড়ে,
চির-বর্ষার দ্বীপে এখন অঝোরে জল ঝরে।
নতুন-পুরোন গল্প ভাসে বাতাসে বাতাসে
এর মাঝেতে দুই আনাড়ি গান বাঁধিতে বসে।
এক জনেতে ব্যবসায়ী, তার বন্ধুটি বৈজ্ঞানিক
অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী, সাহস আছে খানিক।
কথার পরে কথা বসায়, গান হল কি মোটে?
কথার সাথে জুড়তে গেলে সুর যদি না জোটে?
হারমোনিয়াম ঝেড়ে-ঝুড়ে সুর যদি হয় বার,
হিন্দি-উর্দু-আংরেজি তান করে হাহাকার।
...