[সুজন চৌধুরী, আমাদের সুজন্দাকে...]
এটা কিছু হইলো
মানবতা বলে আর বাকী কিছু রইলো!
আইনের মুণ্ডুটা দুই হাতে চটকে
পাঁচটারে মাঝরাতে ধরে দিলা লটকে
মুজিবের খুনি বলে ওরা ক্ষমা পায় না
গণতন্ত্রের সাথে এটা যায়? যায় না!
যাই হোক, এইবার ক’টা দিন দম নে
রাজাকার ইস্যুটাকে মুখে বাপ কম নে
বুঝে গেছি ঘাতকের ক্ষমতার ধ্বস কী
মরা লাশে জুতা ছুড়ে জনগণ (কস কী!)
ভিজে গেছে পায়জামা দেখে ক্ষোভ ঘিন্না
এবারের ম...
খবর: এখানে
দু:খু, বড় দু:খু হয়
এই জমানায় ক্যামনে মানুষ
এত্ত বড় মুখ্যু হয় ?
ভাবছিলো তো বাঁইচ্যা যাবে
জীবনভরই নাইচ্যা যাবে
বুঝতারেনাই মরার আগে
প্ল্যানটা এরম কাইচ্যা যাবে।
ঝুলবে গলায় ফাঁসটা রে
ছয়টা আরো রইলো বাকি
হইলো খতম পাঁচটা রে!
এইখানে ঠিক শেষ না করে
সামনে আরো দেক্তে চাই
খুব অচিরেই একটা আবার
এমুন ছড়া লেক্তে চাই।
তার আগে তক কই নিজামী
আর মুজাহিদ ...
গণ্ডার মেরে ভাণ্ডার লোটা? না ভাই, আমরা পুয়োর,
তাই বাংলার কাদা-জল ঘেঁটে শিকার করছি শুয়োর!
দানাপানি খেয়ে ছানাপোনা যত হচ্ছে বরাহ তাগড়া,
বাগড়া বসাব এ সুখি রীতিতে দু-গালে কষিয়ে নাগরা!
নিষ্ঠার সাথে বিষ্ঠা সাঁটিয়ে ওগরাতে যারা চায়,
আমাদের মতো বরাহশিকারী তাহাদের ভালো পায়!
খোঁয়াড়ে বসেই গোঁয়ারের মতো কথার জোয়ারে ভেসে
শূকর কখনো হয় নি মানুষ সোনার বাংলাদেশে!
পশ্চিমা দেশে ব্যাপক চাহিদা, পিস প...
মাঝে মধ্যে হুড়মুড় করে কটা লাইন মাথায় চলে আসে। এর নাম হঠাৎ কাব্য। সম্পাদনা-পুনঃসম্পাদনাবিহীন আনকোরা ছড়া।
গঠনমূলক আলোচনায়
পঠনমূলক বক্তিমা
অনেক হলো, আর পারি না।
আর বাকি নেই শক্তি, মা!
এখনো কি জানতে বাকি?
সব খুনেরই এক খুনি।
বাগান-দালান পরেই বানান
কবর খুঁড়ুন এক্ষুনি।
মনটা অত খারাপ নাতো কাঁদবো ছিঁড়ে গলার তার
(ভালও তো নেই সেই পরিমাণ গাঁথবো মালা বিন সুতার!)
শরীরে নেই তেল অতটা সাঁতরাবো মাঝরাত্তিরে
(এক্কেবারে কমও তো নেই, জ্বলবে কুপি বাত্তি রে!)
অসুস্থ? নাহ.. থাকলে পরে, লাগতো জানি বিদঘুটে
(তারপরো ক্যান জিভটা লাগে গিললে পানি তিতকুটে?)
জটিল আমি? নয়কো মোটেও, জটিল তোদের আইনস্টাইন
(সরলই বা কেমনে বলি.. লাগলে ভাল.. রামস্টাইন..)
মিনমিনিয়ে বলছি নাকি? ধ্যাৎ ওটা তোর ...
আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত।
খুব ভালো হতো
কেউ অন্তত
যদি এই কথাটুকু জানত।
আমি বিপ্লব পুষি পাঁজরে।
তোমরা গাধা
জীবন বাঁধা
কুমড়ো-পটল-গাজরে।
আমি সংগ্রামী এক সৈনিক।
ঠিক কোনভাবে
দিন বদলাবে
তাই বসে ভাবি দৈনিক।
আমি চিৎকার করি সজোরে।
কন্ঠার হাড়
ভেঙে চুরমার
পড়ে না কি তা নজরে?
আমি জ্বালব আগুন যজ্ঞে।
দেবীর আশায়
দিন কেটে যায়
বুঝবে তা কোন অজ্ঞে?
আমি হবো না তবুও ক্ষান্ত।
খুব ভালো হতো
[justify]
এই যে কথাগুলো বলছি, এ সবই হচ্ছে ছিলকামাত্র। প্রথম পাতায় যাতে ছড়াগুলির পায়ের গোছ দেখা না যায়, সেজন্যে পুশিদামূলক ব্যবস্থা।
লিমেরিক লিখতে খুব ভাল্লাগে আমার। ভাল্লাগে শব্দ নিয়ে খেলতেও। পড়েছিলাম, লিমেরিক নাকি ঐতিহ্যগত অশালীন ছড়া, শুধু ককখখক ছন্দসজ্জা হলেই চলবে না, একটু খাইষ্টুপিষ্টু হলেই ছড়াখানার লিমেরিকত্ব ফুটে উঠবে ঠিকমতো। আমি এটাকে এক ধাপ ওপরে চড়াতে চাই বলে নামটাকে এক...
গপ্পো না কাব্য-
পরে বসে ভাববো ।
ভাবনার কেঠো নদী
অতীব অনাব্য ।
জল নেই জলাতে
যাই কলতলাতে
চার ফোঁটা ভাগ পেতে
ঝুলি কারো গলাতে ।
বেতালের শাসনে
বসে রাজ-আসনে
তিতকুটে ক্ষীর খাই
টকে যাওয়া বাসনে ।
ভেতো জিভে তেতো স্বাদ-
ক্ষীণ দেঁতো প্রতিবাদ ।
আবাল্য বেতো মনে
বায়বীয় বুনিয়াদ ।
সিলিকন স্বর্গে
যা খুশি কর্ গে ।
পাশ ফিরে পড়ে থাক্
শীতাতপ মর্গে ।
বুনোহাঁস
শুনছো, সীতা ?
তোমার চিতা
নয় এখনো শান্ত
তোমার দহন
করছি বহন
রাম যদি তা জানতো !!
শীতের সাঁঝে কে যায় তেড়ে
বনের মাঝে ঘোড়ায় চড়ে?
ঘোড়ার পিঠে সওয়ার বাবা
জাপটে বুকে ছোট্ট থাবা
লেপ্টে আছে ওম গরমে
বাবার ছেলে ঘুম নরমে
হঠাৎ শোনে ফিসফিসানি
বরফ বাতাস হিসহিসানি..
- 'দেখছো বাবা, বনের রাজা!
মাথায় মুকুট, পাকিয়ে ন্যাজা!
আসছে দেখো সাথে সাথে,
ধরতে আমায় লম্বা হাতে!'
-'খোকন আমার তুই যে বোকা
এসব যে তোর চোখের ধোঁকা
পাসনে রে ভয় এই কুয়াশায়
পৌঁছে যাবো ...