মন খারাপের মাথায় বাড়ি,
রাগের সাথেও নিলাম আড়ি।
কি আর হবে গাল ফুলিয়ে
চোখ,মুখ আর ঠোঁট ঝুলিয়ে,
অযথা এই কষ্ট করে
সময়গুলো নষ্ট করে,
সব ভুলে তাই
মন ভালো চাই,
চোখটা খুলে ফোনটা নিয়ে
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে,
ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি
'আমরা তো বেশ ভালই আছি',
এই যে শুনেন রাণীর পতি
বলছি রানী কঙ্কাবতী,
তোর নাকি আর "ভাল্লাগেনা"
মরিচ খেলেও ঝাল লাগে না,
করতে পারিছ শুধুই প্যাঁচাল
'পড়াশুনা ?সে তো ক্যাচাল'
...
এই যে শুনেন,ঘুরতে যাবেন?
শর্মা নাকি ফুচকা খাবেন?
রাজি হলে জলদি করেন,
টি শার্ট গায়ে বেড়িয়ে পড়েন।
তোমার দেয়া সেই জামাটা,
ভাবছি আজই পরব সেটা,
মনে পড়ে নীল চুড়িটা?
গত ঈদেই দিলে যেটা,
আরেক হাতে থাকবে ঘড়ি,
মাঝে মাঝেই সময় পড়ি।
দাঁড়াব সেই গলির মাথায়
রিক্সা নিয়ে আসবে সেথায়
ঝড় বাদলের এমন দিনে
ভিজতে হবেএসব জেনে,
আসার আগে মেসেজ দিব
ছাতা দুটো সঙ্গে নিব,
এবার বল কোথায় যাবে?
আইস্ক্রীম না কফি খা...
২য় পর্ব এবং শেষ
আজকে আড়ং যাবই যাব
আশা করি খোলাই পাব,
খেয়ে দেয়ে পেট পুরিয়ে,
দু চোখ থেকে ঘুম উড়িয়ে
ভর দুপুরে ছাতা মাথায়
যাচ্ছি আমি আড়ং যেথায়,
যাওয়ার পথে খানিক থেমে
রিকশা থেকে একটূ নেমে
কিনে নিলাম ওয়ারিদ সিম,
জিপিটা ছিল ঘোড়ার ডিম।
আবার শুরু রিকশা ভ্রমন,
উদ্দেশ্য আড়ং গমন।
অনেক খানি পথ পেরিয়ে
সিগনাল আর জ্যাম এড়িয়ে ,
রিকশা এসে থামল যখন
আড়ং টা আজ খোলাই তখন ।
উত্তল দর্পণ
...
তুমি নাই,তাই একা একা খাই
থাকলে তুমি,হতাম আমি,আজকে রাঁধুনী
অপেক্ষাতেই কেটে গেলো আজ এই রজনী
এমন দিনে
পড়ল মনে ।
খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজা ,
খাওয়া শেষে বাসন মাজা ,
থাকবে আরো গরু ভুনা
চলবে সাথে গানটা শোনা ।
শুধু দিও সালাদ কেটে
সাথে একটু মশলা বেটে ,
আগের মত ঝাল হবে না ,
তরকারিতে চুল পাবে না ।
খাওয়া শেষে চা বানিয়ে
দোকান থেকে পান আনিয়ে ,
বারান্দা টায় বসে বসে ,
বলব কথা হেসে হেসে ,
করব সব ই আসলে তুম...
ছিঁড়িয়াছি কত, ছিঁড়িতেছি যত, ছিঁড়িবো যে বেশী তার!
ছিঁড়িয়া কাটিয়া ছাটিয়া বাছিয়া করিবো যে ম্যাসাকার!
কষিয়া খিঁচিয়া দাঁত দুই পাটি,
নিয়া তার সব বাঁধিয়া যে আটি,
মন্ত্র পড়িয়া সক্রোধে ফাটিয়া ছুঁড়িবো কপালে তার!!
ঘুঁচিয়া যাইবে কলকাঠি নাড়া ভাগ্য নিয়ন্তার!
ভ্যান গগ
ভরে মগ
খায় দই
দেখো ওই,
দেখো জাঁক
করে বাখ
চোষে মধু
চাটে খই।
পিয়ে সুরা
উড়া ধুরা
মম হাঁকে,
'পিকাসো!
তুমি ক্যান
জোড়া জোড়া..
হইসে কি?
ঠিকাসো?'
এক কোনে
বিটোফেনে
ভাঁজছিলো
পরোটা,
সেঁটে দিলো
পল গঁগা
ফুইয়ে ফুইয়ে
বারোটা।
হাতে র্যাদা
নিয়ে রদ্যাঁ
ঘষে চলে
রেনোয়ার-
দাঁতগুলো
আর বলে,
'চিবিওনা
যেন আর!'
গলা হল
খসখসে
আঁকছিলো
ভিঞ্চি,
ডেকে বলে
'ওহে মম,
রেখো আধা-
ইঞ্চি'।
১।।
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, এগুলো নাকি ধর্মের নাম?
মানুষের আবার ধর্ম কী-ধর্মেরইবা মানুষ কী?
জগতে আছে দুটি ধর্ম, বোঝা যায়না তাদের মর্ম!
মানবিকতা আর পাশবিকতা-এরাই হলো আসল কথা;
পছন্দমত বেছে নাও, নাইলে দূরে তফাত যাও!
২।।
চলে যেতে চাই
চলে যাব তাই?
পৃথিবীর জঞ্জাল সরাতে গিয়ে-
নিজেই হলাম মূর্তিমান এক জঞ্জাল!
তাই-
অন্ততঃ একটি জঞ্জালই নাহয়
সরিয়ে দিয়ে যাই!
৩।।
আচ্ছা, তুমি কি জানো?...
এই ছড়াতে ছন্দ আছে, অশ্লীলতার গন্ধ আছে, বাঁইচা গেছেন যাদের দুচোখ বন্ধ আছে…
ছোট ছোট দু-লাইনে, মনটা কারো দুলাই নে, তবুও যদি একটু খানিক মনটা কারো দোলে… আসেন আমার কোলে!
০১.
ভ্রু কুঁচকে যতই কর শাসন...
এবার হবে "৮" নাম্বার আসন!
০২.
উঠে দুই পাহাড়ে,
কী আনন্দ আহা রে!
০৩.
নাও নামালাম ছোট্ট সরু খালে,
একটু পরেই পানি পাব হালে!
০৪.
ধরুন চেপে জয়েস্টিক...
শুনতে পাবেন নয়েস ঠিক!
০৫.
পাহাড়চূড়ার স্বপ্ন দেখে...
পৃথিবীটা নাচে দেখো
ছোট ছোট লম্ফে
আমি কাঁপি, তুমি কাঁপো
মৃদু ভূমিকম্পে।
মৃদু কবে মহা হবে
নেই কোন ঠিক তার
এই বুঝি সাতে ঘোরা-
ঘুরি করে রিখটার।
হবে না তো লাভ কোন
কাঁড়ি কাঁড়ি টাকাতে
বাস যদি করো ভায়া
চট্টলা, ঢাকাতে।
বিল্ডিং এ খাঁদ র'লে
রও যত অটলই
নয় কচু , আদা, ঘেঁচু
তোলা হবে পটলই!
কাউয়ায় করে কা কা
তার'ই ডাকে
দুরে থাকে
যাবতীয় পাখিরা,
আর বাদ-বাকিরা
নিমিষেই তল্লাট
হয়ে যায় প্রায় ফাঁকা।
কাউয়ায়- চিতকারে
বেবাকের নিদ কাড়ে।
অঘুমের কষ্ট!
শান্তি বি-নষ্ট!!
কাকে তবু চিল্লায়
বারি মেরে ঠিল্লায়।
খালি ঘট বাজে ভালো
সঙ্গীরা দেয় তাল' ও -
তাই কাক তারস্বরে
করে রোজ কাকা কাকা,
কা - কা - করে টরে
কাউয়ার টিকে থাকা।